খৃষ্টধর্মের বিরুদ্ধে কাদিয়ান হইতে উত্থিত আওয়াজ
দেখার বিষয় এই যে, ঐ যুগে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাম কি বলিতেছিলেন এবং জগতবাসীকে কোন ভাষায় সম্বোধন করিতেছিলেন এবং মুসলমানদিগকে কিভাবে ঝাঁকুনী দিয়া জাগাইতেছিলেন। একদিকে লণ্ডন হইতে এই আওয়াজ উঠিতেছিল যে, ইংরেজদের স্বার্থ এই বিষয়টির সহিত জড়িত যে, ভারতবর্ষে খৃষ্টধর্মকে যত শীঘ্র পারা যায় বিস্তার দান করিতে হইবে। অন্যদিকে কাদিয়ানের একটি ক্ষুদ্র গ্রাম হইতে ঘুমন্ত মুসলমান জাতিকে জাগাইবার জন্য এই সুর ধ্বনিত হইতেছিল যেঃ-
“দেখ, হে গাফিলেরা দেখ! ইসলামী প্রাসাদকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দেওয়ার জন্য ইহারা (অর্থাৎ ইংরেজ এবং তাদের পাদ্রীরা—অনুবাদক) কোন পর্যায়ে চেষ্টা করিতেছে এবং কত বিপুল পরিমাণে উপকরণ যোগাড় করিয়াছে এবং এই গুলিকে বিস্তৃত করার জন্য নিজেদের জীবনকেও বিপদাপন্ন করিয়া এবং নিজেদের ধন-সম্পদও পানির মত বহাইয়া দিয়া চেষ্টা করিয়াছে। ইহারা মানবীয় শক্তিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজে লাগাইয়াছে। এমন কি, এই পথে নেহায়েত লজ্জাধর পন্থা এবং পবিত্রতা-বিরোধী পরিকল্পনা কাজে লাগানো হইয়াছে এবং সত্য ও ঈমানদারীকে হরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুড়ঙ্গ তৈয়ার করা হইয়াছে। ... ... সুতরাং, এই বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করা উচিত যে, ইহারাই হইল ‘মসীহ-দাজ্জাল,’ যাহারা গীর্জা হইতে বাহির হইবে এবং যাহাদের যাদুর মোকাবেলায় মোজেযার (অলৌকিক নিদর্শনের) প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যদি অস্বীকার কর, তাহা হইলে এই যুগের দাজ্জালের মধ্য হইতে ইহাদের দৃষ্টান্ত পেশ কর।” (এজালায়ে আওহাম, দ্বিতীয় অংশ, পৃষ্ঠা ৩৬৫, ৩৬৬)।
“দেখ, হে গাফিলেরা দেখ! ইসলামী প্রাসাদকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দেওয়ার জন্য ইহারা (অর্থাৎ ইংরেজ এবং তাদের পাদ্রীরা—অনুবাদক) কোন পর্যায়ে চেষ্টা করিতেছে এবং কত বিপুল পরিমাণে উপকরণ যোগাড় করিয়াছে এবং এই গুলিকে বিস্তৃত করার জন্য নিজেদের জীবনকেও বিপদাপন্ন করিয়া এবং নিজেদের ধন-সম্পদও পানির মত বহাইয়া দিয়া চেষ্টা করিয়াছে। ইহারা মানবীয় শক্তিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজে লাগাইয়াছে। এমন কি, এই পথে নেহায়েত লজ্জাধর পন্থা এবং পবিত্রতা-বিরোধী পরিকল্পনা কাজে লাগানো হইয়াছে এবং সত্য ও ঈমানদারীকে হরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুড়ঙ্গ তৈয়ার করা হইয়াছে। ... ... সুতরাং, এই বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করা উচিত যে, ইহারাই হইল ‘মসীহ-দাজ্জাল,’ যাহারা গীর্জা হইতে বাহির হইবে এবং যাহাদের যাদুর মোকাবেলায় মোজেযার (অলৌকিক নিদর্শনের) প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যদি অস্বীকার কর, তাহা হইলে এই যুগের দাজ্জালের মধ্য হইতে ইহাদের দৃষ্টান্ত পেশ কর।” (এজালায়ে আওহাম, দ্বিতীয় অংশ, পৃষ্ঠা ৩৬৫, ৩৬৬)।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।