ক্রুশে নিহত হওয়ার কাহিনী অন্যদের মুখের কথা
মোট কথা, ইহাতো হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের নিজের ভাষায় ঘোষণা যে, ‘আমি ক্রুশ ভাঙ্গিয়া দিয়াছি’। এখন দেখিতে হইবে যে, তাঁহার (আঃ) যাহারা বিরুদ্ধবাদী এবং তাঁহাকে যাহারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখিতেছিলেন, তাহাদের নিকটও কি তাঁহার এই অস্ত্র সফলরূপে বিবেচিত হইয়াছে? এবং মসীহ আলাইহেস সালামের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘোষণা করিয়া তিনি (আঃ) কি খৃষ্ট ধর্মের কোমর ভাঙ্গিয়া দেন নাই?
এই প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম আমি ঐ সকল আলেমের লেখার একটি উদ্ধৃতি পড়িতেছি, যাহারা কেবলমাত্র অ-আহমদীই ছিলেন না, বরং আহমদীদের কঠোর বিরুদ্ধবাদী দলের সহিত সম্পর্ক রাখিতেন। কিন্তু ইহা ঐ যুগ ছিল যখন কিনা আলেমদের মধ্যে সততার কিছুটা লেশ বিদ্যমান ছিল এবং কোন কোন সময় তাহারা সত্য কথা বলিতে বাধ্য হইয়া পড়িত। বস্তুতঃ এই সকল আলেমের মধ্যে মৌলবী নূর মোহাম্মদ নক্সাবন্দী চিশতী সাহেব অন্যতম। তিনি মৌলবী আশরাফ আলী থানবী সাহেবের কুরআন করীমের তরজমার একটি দীর্ঘ ভূমিকা লিখিয়াছিলেন। তিনি এই ভূমিকার ৩০ পৃষ্ঠায় লিখেনঃ-
“এই যুগে পাদ্রী লেফ্রয় পাদ্রীদের একটি খুব বড় দল লইয়া এই হলফ করিয়া ইংল্যান্ড হইতে রওয়ানা হইল যে, তাহারা অল্প দিনের মধ্যেই সমগ্র ভারতবর্ষকে খৃষ্টান করিয়া ফেলিবে। ইংল্যান্ডের খৃষ্টানদের নিকট হইতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য লইয়া এবং ভবিষ্যৎ সাহায্যের অব্যাহত ওয়াদার অঙ্গীকার লইয়া তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করিয়া ভয়ংকর ঝড় তুলিলেন (দেখুন, ইহাই হইল ইংরেজদের স্বার্থ। জানিনা কত লক্ষ টাকা তাহারা ঐ যুগে ব্যয় করিয়াছিল এবং খুব বড় পাহলোয়ান তৈয়ার করিয়া ভারতবর্ষে পাঠাইয়াছিল এবং তিনি মুসলমান আলেমদের দৃষ্টিতে ঐ কাজ করিয়া দেখাইয়াছেন, যেন সমগ্র ভারতবর্ষে ঝড় তুলিলেন – গ্রন্থকার)। হযরত ঈসা (আঃ)-এর স্বশরীরে আকাশে জীবিত থাকা এবং অন্যান্য নবীদের মাটিতে কবরস্থ হওয়ার আক্রমণ যখন তাহার (অর্থাৎ পাদ্রী লেফ্রয়ের) ধারণানুযায়ী জনগণের জন্য কার্যকরী হইল, তখন মৌলবী গোলাম আহমদ কাদিয়ানী দাঁড়াইয়া গেলেন। (এই বেচারা হইলেন মৌলবী সাহেব। কাজেই তিনি হযরত মির্যা গোলাম আহমদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামকে ‘মৌলবী’ বলিতেছেন। কিন্তু তিনি নিজের পক্ষ হইতে সম্মানের সহিত বলিতেছেন। ইহাতে ক্রোধের কোন কথা নাই। এ যুগে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের নাম কিছু না কিছু সম্মানের সহিত লওয়ার লোকও বিদ্যমান ছিল। সকল জাতির মধ্যে সকল ধরনের লোক থাকে। সত্যপরায়ণ লোকও থাকে। বস্তুতঃ নূর মোহাম্মদ নক্সাবন্দী সাহেবকে আমি সম্মান করি। তিনি বলেন, মৌলবী গোলাম আহমদ কাদিয়ানী দাঁড়াইয়া গেলেন – গ্রন্থকার) এবং পাদ্রী লেফ্রয়ের সম্প্রদায়কে বলিলেন, যে ঈসা (আঃ)-এর নাম তোমরা নিয়া থাক, তিনি অন্যান্য মানুষের মত মৃত্যু বরণ করিয়া কবরস্থ হইয়া গিয়াছেন এবং যে ঈসা আঃ-এর আগমনের সংবাদ রহিয়াছে, আমিই হইলাম সেই ঈসা (আঃ)। অতএব যদি তোমরা সরল হও তাহা হইলে আমাকে গ্রহণ কর। এই পন্থা দ্বারা তিনি লেফ্রয়কে এতখানি অতিষ্ঠ করিয়া তুলিয়াছিলেন যে, তাহার হাত হইতে লেফ্রয়ের ছাড়া পাওয়াই মুস্কিল হইয়া পড়িল এবং এই পন্থায় তিনি ভারতবর্ষ হইতে আরম্ভ করিয়া ইংল্যান্ড পর্যন্ত পাদ্রীদিগকে পরাস্ত করিয়া দিলেন।” (ভূমিকা, পৃষ্ঠা ৩০, মৌলভী নূর মোহাম্মদ নক্সাবন্দী চিশতী সাহেব, মালেক আছায়াল মাতাবেহ্ দিল্লী)
এই প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম আমি ঐ সকল আলেমের লেখার একটি উদ্ধৃতি পড়িতেছি, যাহারা কেবলমাত্র অ-আহমদীই ছিলেন না, বরং আহমদীদের কঠোর বিরুদ্ধবাদী দলের সহিত সম্পর্ক রাখিতেন। কিন্তু ইহা ঐ যুগ ছিল যখন কিনা আলেমদের মধ্যে সততার কিছুটা লেশ বিদ্যমান ছিল এবং কোন কোন সময় তাহারা সত্য কথা বলিতে বাধ্য হইয়া পড়িত। বস্তুতঃ এই সকল আলেমের মধ্যে মৌলবী নূর মোহাম্মদ নক্সাবন্দী চিশতী সাহেব অন্যতম। তিনি মৌলবী আশরাফ আলী থানবী সাহেবের কুরআন করীমের তরজমার একটি দীর্ঘ ভূমিকা লিখিয়াছিলেন। তিনি এই ভূমিকার ৩০ পৃষ্ঠায় লিখেনঃ-
“এই যুগে পাদ্রী লেফ্রয় পাদ্রীদের একটি খুব বড় দল লইয়া এই হলফ করিয়া ইংল্যান্ড হইতে রওয়ানা হইল যে, তাহারা অল্প দিনের মধ্যেই সমগ্র ভারতবর্ষকে খৃষ্টান করিয়া ফেলিবে। ইংল্যান্ডের খৃষ্টানদের নিকট হইতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য লইয়া এবং ভবিষ্যৎ সাহায্যের অব্যাহত ওয়াদার অঙ্গীকার লইয়া তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করিয়া ভয়ংকর ঝড় তুলিলেন (দেখুন, ইহাই হইল ইংরেজদের স্বার্থ। জানিনা কত লক্ষ টাকা তাহারা ঐ যুগে ব্যয় করিয়াছিল এবং খুব বড় পাহলোয়ান তৈয়ার করিয়া ভারতবর্ষে পাঠাইয়াছিল এবং তিনি মুসলমান আলেমদের দৃষ্টিতে ঐ কাজ করিয়া দেখাইয়াছেন, যেন সমগ্র ভারতবর্ষে ঝড় তুলিলেন – গ্রন্থকার)। হযরত ঈসা (আঃ)-এর স্বশরীরে আকাশে জীবিত থাকা এবং অন্যান্য নবীদের মাটিতে কবরস্থ হওয়ার আক্রমণ যখন তাহার (অর্থাৎ পাদ্রী লেফ্রয়ের) ধারণানুযায়ী জনগণের জন্য কার্যকরী হইল, তখন মৌলবী গোলাম আহমদ কাদিয়ানী দাঁড়াইয়া গেলেন। (এই বেচারা হইলেন মৌলবী সাহেব। কাজেই তিনি হযরত মির্যা গোলাম আহমদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামকে ‘মৌলবী’ বলিতেছেন। কিন্তু তিনি নিজের পক্ষ হইতে সম্মানের সহিত বলিতেছেন। ইহাতে ক্রোধের কোন কথা নাই। এ যুগে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের নাম কিছু না কিছু সম্মানের সহিত লওয়ার লোকও বিদ্যমান ছিল। সকল জাতির মধ্যে সকল ধরনের লোক থাকে। সত্যপরায়ণ লোকও থাকে। বস্তুতঃ নূর মোহাম্মদ নক্সাবন্দী সাহেবকে আমি সম্মান করি। তিনি বলেন, মৌলবী গোলাম আহমদ কাদিয়ানী দাঁড়াইয়া গেলেন – গ্রন্থকার) এবং পাদ্রী লেফ্রয়ের সম্প্রদায়কে বলিলেন, যে ঈসা (আঃ)-এর নাম তোমরা নিয়া থাক, তিনি অন্যান্য মানুষের মত মৃত্যু বরণ করিয়া কবরস্থ হইয়া গিয়াছেন এবং যে ঈসা আঃ-এর আগমনের সংবাদ রহিয়াছে, আমিই হইলাম সেই ঈসা (আঃ)। অতএব যদি তোমরা সরল হও তাহা হইলে আমাকে গ্রহণ কর। এই পন্থা দ্বারা তিনি লেফ্রয়কে এতখানি অতিষ্ঠ করিয়া তুলিয়াছিলেন যে, তাহার হাত হইতে লেফ্রয়ের ছাড়া পাওয়াই মুস্কিল হইয়া পড়িল এবং এই পন্থায় তিনি ভারতবর্ষ হইতে আরম্ভ করিয়া ইংল্যান্ড পর্যন্ত পাদ্রীদিগকে পরাস্ত করিয়া দিলেন।” (ভূমিকা, পৃষ্ঠা ৩০, মৌলভী নূর মোহাম্মদ নক্সাবন্দী চিশতী সাহেব, মালেক আছায়াল মাতাবেহ্ দিল্লী)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।