আপত্তির জবাব

একটি হিন্দু পত্রিকার দৃষ্টিতে আহমদীয়াতের আযমত ও গৌরব

ইহাই হইল ইংরেজদের স্বার্থ, যাহা আহমদীয়া জামা'তের সহিত সম্পর্কিত ছিল। যদি ইহাই স্বার্থ হয় তাহা হইলে এই স্বার্থে আপনারাও আহমদীয়া জামা'তকে কেন সাহায্য করেন না? কেননা ইহার সহিত ইংরেজদের স্বার্থ নয়, ইসলামের স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে। খৃষ্টধর্মের নয়, বরং ইহার সহিত হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ও তাঁহার ধর্মের স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে। বস্তুতঃ যে কথা আজিকার মৌলবীরা বুঝিতেছেন না, তাহা গতকালের হিন্দুরাও বুঝিতেছিল। তাহারা এই ব্যাপারে মৌলবীদের চাইতে অধিক বুদ্ধিমান ছিল এবং তাহারা বুঝিত যে, আহমদীয়াতের মাহাত্ম্য কি এবং ইহা কি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, যদিও আহমদীয়াতের বিরুদ্ধাচরণে তাহারা হিন্দু পত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখিয়াছিল। এই সম্পাদকীয় হইতে আমি একটি উদ্ধৃতি গ্রহণ করিতেছি। তাহারা হিন্দুদিগকে আহমদীদের বিরুদ্ধে সতর্ক করার জন্য এই সম্পাদকীয় লিখিয়াছিল এবং উহাতে বলিয়াছিল যে, যাহাদিগকে তোমরা সামান্য মনে করিতেছ, তাহারাতো বড় ধরণের বিপদ। তাহারা তোমাদের জন্য একটি পাহাড়ে পরিণত হইবে। কিন্তু সম্পাদক ছিলেন ধী-শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি। অতএব তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, আহমদীয়াতের মাহাত্ম্য কি। এই জন্য তিনি আহমদীয়াতের অতীত ইতিহাসের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া এবং খৃষ্টান জগতে ইহার কি প্রতিক্রিয়া হইয়াছে, উহার প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া লেখেনঃ-

“আজ হইতে ত্রিশ চল্লিশ বৎসর পূর্বে ফিরিয়া যান, যখন কিনা এই জামা’ত ইহার প্রাথমিক অবস্থায় ছিল এবং দেখুন, ঐ যুগে হিন্দু ও মুসলমানেরা এই জামা’তকে কতখানি তুচ্ছ ও নগণ্য মনে করিত। ... কিন্তু ঘটনা প্রবাহ এই কথা বলিয়া দিতেছে যে, ইহাদিগকে যাহারা হাসি-বিদ্রূপ করিয়া উড়াইয়া দেয় তাহারা নিজেরাই নির্বোধ ও আহাম্মক। এই ব্যাপারে খৃষ্টান মিশনারীরা আক্কেল-বুদ্ধির পরিচয় দিয়াছে। আহমদীরা সবেমাত্র ইউরোপ ও আমেরিকায় পা রাখিয়াছে, অমনি সমগ্র পাদ্রী সমাজ তাহাদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হইয়া গিয়াছে।” (আখবার তেজ, দিল্লী, ২৫ শে জুলাই ১৯২৭ খৃষ্টাব্দ)

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।