ইসলাম-জগতে নূতন জীবনের চিহ্নাবলী
হল্যান্ডের একজন বিখ্যাত পাদ্রী দূর প্রাচ্য সফরের সময় কাদিয়ানেও অবস্থান করিয়াছিলেন। ইনি একজন ওলন্দাজ পাদ্রী। তাঁহার নাম ডঃ করিমর। তিনি আহমদীয়া জামা’তের সংগঠন ও তবলীগের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখিয়া খুবই প্রভাবান্বিত হইয়াছিলেন। পরে তিনি “মুসলিম ওয়ার্ল্ড”, ১৯৩১ সালের এপ্রিল সংখ্যায় স্বীয় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। তাহারা আজ ইসলামের মুজাহিদ সাজিয়া বসিয়াছে এবং আহমদীদিগকে বিশ্বাসঘাতক বলিতেছে। তাহারা একটু দেখুক তো, যে খৃষ্টানেরা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতেছিল আহমদীদের সম্বন্ধে তাহাদের কি প্রতিক্রিয়া ছিল এবং আজই বা তাহাদের প্রতিক্রিয়া কি। বস্তুতঃ তাহাদের প্রতিক্রিয়া পাদ্রী করিমরের ভাষায় দেখুন। উক্ত পাদ্রী সাহেব লিখেন:-
“সাধারণভাবে ভারতীয় মুসলমানেরা হতাশায় জর্জরিত। ইহার বিপরীত আহমদীয়া জামা’তের মধ্যে নুতন জীবনের চিহ্নাবলী দেখিতে পাওয়া যায় এবং এইদিক হইতে এই জামা’ত মনোযোগ আকর্ষণ করার যোগ্য। আহমদীরা নিজেদের সকল মনোযোগ ও শক্তি ইসলামের তবলীগের জন্য খরচ করিতেছে এবং তাহারা রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করে না। তাহাদের ধর্ম-বিশ্বাস হইল এই যে, মানুষ যে সরকারের অধীনে থাকে, ঐ সরকারের প্রতি তাহার বিশ্বস্ত থাকা উচিত। তাহারা কেবলমাত্র এই বিষয়ের পরোয়া করে যে কোন সরকারের অধীনে তাহারা ইসলামের তবলীগের সুযোগ সুবিধা অধিক লাভ করে। তাহারা ইসলামকে একটি ধর্মীয় দল হিসাবে বা ইহাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী হইতে দেখে না, বরং ইহাকে কেবলমাত্র সত্য ও নির্মল সত্য মনে করিয়া তাহার তবলীগের জন্য সচেষ্ট। এইদিক হইতে এই জামা’ত বর্তমান যুগে মুসলমানদের নেহায়েত অদ্ভুত জামা’ত এবং মুসলমানদের মধ্যে কেবলমাত্র ইহাই একটিমাত্র জামা’ত রহিয়াছে যাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হইল ইসলামের তবলীগ।
এই জামা’তের প্রভাব তাহাদের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশী সুদূর প্রসারী ও ব্যাপক। ধর্মের ব্যাপারে তাহাদের যুক্তি-প্রমাণ অনেক শিক্ষিত মুসলমান গ্রহণ করিয়া লইয়াছে এবং তাহারা মনে করে যে, মুসলমান হিসাবে থাকিতে হইলে আহমদীদের বিদ্যা-বুদ্ধি যৌক্তিকভাবে মানিতে হয়।”
ইহা হইল বাহিরের স্বাধীন জগতের প্রতিক্রিয়া। ইহা হইল ঐ জগতের প্রতিক্রিয়া, যাহারা জানে যে ধর্মীয় যুদ্ধের ময়দানে আজ কি হইতেছে। ইহা হইল ঐ জগতের প্রতিক্রিয়া, যাহারা আহমদীয়া জামা’ত সম্বন্ধেও অবগত আছে এবং তাহাদের বিরুদ্ধবাদীদের সম্বন্ধেও অবগত আছে। যাহারা দেড় ইঞ্চি ইটের গাঁথুনী দিয়া মসজিদ নির্মাণ করে, কিন্তু পৃথিবীর অবস্থা সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ, তাহারা অন্ধকারে বসিয়া রহিয়াছে। ইহারা কু-ধারণা লইয়া কাজ করিয়া থাকে। ইহারা পৃথিবীর কোন খবর রাখে না। ইহারা জানে না যে, পৃথিবীতে কি হইতেছে! ইহারা বসিয়া বসিয়া এই অপবাদ আরোপ করিতেছে যে, আহমদীয়া জামা’ত ইংরেজদের লাগানো বৃক্ষ ছিল এবং জামা’তকে এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে যে, তাহারা ইংরেজ সরকারের স্বার্থ রক্ষা করিবে।
“সাধারণভাবে ভারতীয় মুসলমানেরা হতাশায় জর্জরিত। ইহার বিপরীত আহমদীয়া জামা’তের মধ্যে নুতন জীবনের চিহ্নাবলী দেখিতে পাওয়া যায় এবং এইদিক হইতে এই জামা’ত মনোযোগ আকর্ষণ করার যোগ্য। আহমদীরা নিজেদের সকল মনোযোগ ও শক্তি ইসলামের তবলীগের জন্য খরচ করিতেছে এবং তাহারা রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করে না। তাহাদের ধর্ম-বিশ্বাস হইল এই যে, মানুষ যে সরকারের অধীনে থাকে, ঐ সরকারের প্রতি তাহার বিশ্বস্ত থাকা উচিত। তাহারা কেবলমাত্র এই বিষয়ের পরোয়া করে যে কোন সরকারের অধীনে তাহারা ইসলামের তবলীগের সুযোগ সুবিধা অধিক লাভ করে। তাহারা ইসলামকে একটি ধর্মীয় দল হিসাবে বা ইহাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী হইতে দেখে না, বরং ইহাকে কেবলমাত্র সত্য ও নির্মল সত্য মনে করিয়া তাহার তবলীগের জন্য সচেষ্ট। এইদিক হইতে এই জামা’ত বর্তমান যুগে মুসলমানদের নেহায়েত অদ্ভুত জামা’ত এবং মুসলমানদের মধ্যে কেবলমাত্র ইহাই একটিমাত্র জামা’ত রহিয়াছে যাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হইল ইসলামের তবলীগ।
এই জামা’তের প্রভাব তাহাদের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশী সুদূর প্রসারী ও ব্যাপক। ধর্মের ব্যাপারে তাহাদের যুক্তি-প্রমাণ অনেক শিক্ষিত মুসলমান গ্রহণ করিয়া লইয়াছে এবং তাহারা মনে করে যে, মুসলমান হিসাবে থাকিতে হইলে আহমদীদের বিদ্যা-বুদ্ধি যৌক্তিকভাবে মানিতে হয়।”
ইহা হইল বাহিরের স্বাধীন জগতের প্রতিক্রিয়া। ইহা হইল ঐ জগতের প্রতিক্রিয়া, যাহারা জানে যে ধর্মীয় যুদ্ধের ময়দানে আজ কি হইতেছে। ইহা হইল ঐ জগতের প্রতিক্রিয়া, যাহারা আহমদীয়া জামা’ত সম্বন্ধেও অবগত আছে এবং তাহাদের বিরুদ্ধবাদীদের সম্বন্ধেও অবগত আছে। যাহারা দেড় ইঞ্চি ইটের গাঁথুনী দিয়া মসজিদ নির্মাণ করে, কিন্তু পৃথিবীর অবস্থা সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ, তাহারা অন্ধকারে বসিয়া রহিয়াছে। ইহারা কু-ধারণা লইয়া কাজ করিয়া থাকে। ইহারা পৃথিবীর কোন খবর রাখে না। ইহারা জানে না যে, পৃথিবীতে কি হইতেছে! ইহারা বসিয়া বসিয়া এই অপবাদ আরোপ করিতেছে যে, আহমদীয়া জামা’ত ইংরেজদের লাগানো বৃক্ষ ছিল এবং জামা’তকে এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে যে, তাহারা ইংরেজ সরকারের স্বার্থ রক্ষা করিবে।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।