দাজ্জালের একটি ভয়ংকর কৌশলগত তৎপরতা
হল্যান্ডে যখন আহমদীয়া জামা’তের মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানকার M.66 নামে একটি ক্যাথলিক পত্রিকাও আহমদীয়া জামা’ত সম্বন্ধে তাহাদের রায় প্রকাশ করে। কিন্তু তাহাদের রায় বর্ণনা করার পূর্বে ইহা বলা আবশ্যক, যে তাহারা কেন এই রায় প্রকাশ করে এবং কেন তাহাদের ইহার প্রয়োজনীতা দেখা দিয়াছিল। আহমদীয়া জামা’তের পক্ষ হইতে হল্যান্ডে মিশন প্রতিষ্ঠা করার সময় ডঃ হোবেন নামক এক ব্যক্তি জামা’তের বিরুদ্ধে অপবাদ আরোপের একটি নেহায়েত ভয়ংকর তৎপরতা আরম্ভ করিয়া দিল এবং খৃষ্টান জগতকে এই বলিয়া সজাগ করিল যে, এই জামা’ত একটি যারপরনাই বিপদজনক জামা’ত। ইহা হইতে বাঁচিয়া থাক এবং ইহা হইতে বাঁচিয়া থাকার কৌশলগত তৎপরতার কথাও তাহাদিগকে বলিয়া দিল। উক্ত কৌশলগত তৎপরতা এই ছিল যে, মুসলমানরাতো আহমদীদিগকে মুসলমানই মনে করে না। এই জন্য ইহাদের প্রতিকার এই যে, ইহাদিগকে এই বলিয়া অমুসলমান ঘোষণা করিতে হইবে যে, তাহারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করার কে এবং তাহাদের সহিত ইসলামের কি সম্পর্ক রহিয়াছে?
কিন্তু স্বয়ং ইসলাম সম্বন্ধে সে লিখে যে, ‘ইহা তো কোন শক্তিরূপেই টিকিয়া নাই। ইহা তো একটি ক্ষুদ্র জিনিষ। ইহাকে নিশ্চিহ্ন করিয়া দেওয়াতো কোন মুশকিলের ব্যাপার নয় এবং অন্যদিকে আহমদীয়া জামা’ত তো মুসলমানই নহে। তাহাদের সহিত সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া দেওয়া উচিত এবং সমগ্র জগতবাসীর ইহা ভাবা উচিত যে, আহমদীরা হইল অমুসলমান।’ অবশ্য ইহাতে আমাদের (অর্থাৎ আহমদীদের) কিছু আসে যায় না।
আহমদীয়াতের বিরুদ্ধে খৃষ্টান চিন্তাবিদের একটি উস্কানীমুলক বচন
সুতরাং ইহা ছিল ঐ পন্থা, যাহা গতকাল একজন ইংরেজ আবিষ্কার করিয়াছিল এবং ইউরোপের লোক গ্রহণ করিয়াছিল এবং আজ মুসলমান ইহা ব্যবহার করিতেছে। বস্তুতঃ যখন ডঃ হোবেন আহমদীয়াতের বিরুদ্ধে অনেক অপবাদ প্রকাশ করিলেন এবং কৌশলগত তৎপরতা পেশ করিলেন, তখন “M 66” একটি ক্যাথলিক পত্রিকা হওয়া সত্ত্বেও তাহারা সত্য কথা বলিতে বাধ্য হইয়া পড়িল। তাহারা ডঃ হোবেনকে সম্বোধন করিয়া লিখিল:-
“প্রফেসর ডঃ হোবেন ইসলাম সম্বন্ধে লেখে যে, ইহা এক দুর্ধর্ষ, পরাক্রমশালী এবং শাস্তিদাতা খোদার ধারণা উপস্থাপন করে, যিনি অতীতের কিস্সা-কাহিনী স্বরূপ রহিয়া গিয়াছেন। আজিকার পৃথিবীতে কোন বিবেক-সম্পন্ন ব্যক্তি এইরূপ দুর্ধর্ষ, পরাক্রমশালী ও শাস্তিদাতা খোদাকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত নহে। এই জন্য বুদ্ধি-জ্ঞানের দিক হইতে এবং যুক্তি-প্রমাণের দিক হইতে ইসলাম একটি মৃত শক্তিতে পরিণত হইয়াছে। এই দিকে ইঙ্গিত করিতে গিয়া পত্রিকা লিখে, ডঃ হোবেনের এইরূপ উক্তি সরাসরি বিভ্রান্তিকর এবং এই কথা বলা যে, ইসলামে সংস্কার ও পুনরুজ্জীবনের শক্তি শেষ হইয়াছে, ইহার সহিত সত্যের দূরতম সম্পর্কও নাই। কেননা স্বয়ং আহমদীয়া জামায়াত ইসলামের সংস্কার ও পুনরুজ্জীবনের একটি জীবন্ত প্রমাণ এবং সম্ভবতঃ এই জন্যই তাহারা খৃষ্টান পাদ্রীদের জন্য ভয়-ভীতির কারণ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। কিছু দিন পূর্বে প্রফেসর ডঃ ক্যাম্পসও এইরূপ মতামতই ব্যক্ত করিয়াছেন এবং এই জামা’ত সম্বন্ধে সতর্ক থাকার জন্য মনোযোগ আকর্ষণ করিয়াছেন।”
অতঃপর পত্রিকাটি আরো লিখে:-
“আহমদীয়াত ইসলামের বিভিন্ন আকৃতির মধ্যে একটি আকৃতি। কিন্তু ইহা ইসলামের এইরূপ একটি আকৃতি, যাহা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করার পূর্ণ অধিকার রাখে। এই আন্দোলনকে ভিন্নমত পোষণকারী মুসলমানদের নিকট হইতে নিশ্চিতভাবে কঠোর বিরুদ্ধাচরণের সম্মুখীন হইতে হইয়াছে। কিন্তু এই বিরুদ্ধবাদীরা জ্ঞান-বুদ্ধির আলোকে কথা বলিতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম এবং ইহারা ক্যাথলিক মন-মানসিকা-সম্পন্ন বলিয়া পরিদৃষ্ট হইতেছে, যাহারা ভিন্নমত পোষণকারীদিগকে কাফের ও ধর্মের গণ্ডি হইতে বহিস্কৃত সাব্যস্ত করে।”
ইহাই হইল উপরোক্ত পত্রিকার বিশ্লেষণ। তাহারা (পত্রিকা কর্তৃপক্ষ) স্বয়ং ক্যাথলিক। কিন্তু তাহারা বড় সত্য কথা বলিয়া গিয়াছে এবং আরো বলিতেছে যে, হে আহমদীদের বিরুদ্ধবাদীরা! তোমাদের অবস্থাতো আমাদের মত। যেভাবে আমরা ভীরু ও সঙ্কীর্ণ-চিত্ত এবং নিজেদের বিরুদ্ধবাদীদিগকে কাফির মনে করি এবং খৃষ্ট-ধর্মের গণ্ডি হইতে বহিষ্কৃত সাব্যস্ত করি, তোমরাও এই একই আচরণ আহমদীদিগের সহিত করিতেছ। কিন্তু সত্য কথা এই যে, খৃষ্টান জগতই আহমদীয়াতের বিরুদ্ধে এই বচনটি (অর্থাৎ আহমদীরা অমুসলমান—অনুবাদক) আজিকার মুসলমান আলেমদের মুখে তুলিয়া দিয়াছে এবং ইহা তাহাদেরই শিখানো বুলি।
কিন্তু স্বয়ং ইসলাম সম্বন্ধে সে লিখে যে, ‘ইহা তো কোন শক্তিরূপেই টিকিয়া নাই। ইহা তো একটি ক্ষুদ্র জিনিষ। ইহাকে নিশ্চিহ্ন করিয়া দেওয়াতো কোন মুশকিলের ব্যাপার নয় এবং অন্যদিকে আহমদীয়া জামা’ত তো মুসলমানই নহে। তাহাদের সহিত সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া দেওয়া উচিত এবং সমগ্র জগতবাসীর ইহা ভাবা উচিত যে, আহমদীরা হইল অমুসলমান।’ অবশ্য ইহাতে আমাদের (অর্থাৎ আহমদীদের) কিছু আসে যায় না।
আহমদীয়াতের বিরুদ্ধে খৃষ্টান চিন্তাবিদের একটি উস্কানীমুলক বচন
সুতরাং ইহা ছিল ঐ পন্থা, যাহা গতকাল একজন ইংরেজ আবিষ্কার করিয়াছিল এবং ইউরোপের লোক গ্রহণ করিয়াছিল এবং আজ মুসলমান ইহা ব্যবহার করিতেছে। বস্তুতঃ যখন ডঃ হোবেন আহমদীয়াতের বিরুদ্ধে অনেক অপবাদ প্রকাশ করিলেন এবং কৌশলগত তৎপরতা পেশ করিলেন, তখন “M 66” একটি ক্যাথলিক পত্রিকা হওয়া সত্ত্বেও তাহারা সত্য কথা বলিতে বাধ্য হইয়া পড়িল। তাহারা ডঃ হোবেনকে সম্বোধন করিয়া লিখিল:-
“প্রফেসর ডঃ হোবেন ইসলাম সম্বন্ধে লেখে যে, ইহা এক দুর্ধর্ষ, পরাক্রমশালী এবং শাস্তিদাতা খোদার ধারণা উপস্থাপন করে, যিনি অতীতের কিস্সা-কাহিনী স্বরূপ রহিয়া গিয়াছেন। আজিকার পৃথিবীতে কোন বিবেক-সম্পন্ন ব্যক্তি এইরূপ দুর্ধর্ষ, পরাক্রমশালী ও শাস্তিদাতা খোদাকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত নহে। এই জন্য বুদ্ধি-জ্ঞানের দিক হইতে এবং যুক্তি-প্রমাণের দিক হইতে ইসলাম একটি মৃত শক্তিতে পরিণত হইয়াছে। এই দিকে ইঙ্গিত করিতে গিয়া পত্রিকা লিখে, ডঃ হোবেনের এইরূপ উক্তি সরাসরি বিভ্রান্তিকর এবং এই কথা বলা যে, ইসলামে সংস্কার ও পুনরুজ্জীবনের শক্তি শেষ হইয়াছে, ইহার সহিত সত্যের দূরতম সম্পর্কও নাই। কেননা স্বয়ং আহমদীয়া জামায়াত ইসলামের সংস্কার ও পুনরুজ্জীবনের একটি জীবন্ত প্রমাণ এবং সম্ভবতঃ এই জন্যই তাহারা খৃষ্টান পাদ্রীদের জন্য ভয়-ভীতির কারণ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। কিছু দিন পূর্বে প্রফেসর ডঃ ক্যাম্পসও এইরূপ মতামতই ব্যক্ত করিয়াছেন এবং এই জামা’ত সম্বন্ধে সতর্ক থাকার জন্য মনোযোগ আকর্ষণ করিয়াছেন।”
অতঃপর পত্রিকাটি আরো লিখে:-
“আহমদীয়াত ইসলামের বিভিন্ন আকৃতির মধ্যে একটি আকৃতি। কিন্তু ইহা ইসলামের এইরূপ একটি আকৃতি, যাহা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করার পূর্ণ অধিকার রাখে। এই আন্দোলনকে ভিন্নমত পোষণকারী মুসলমানদের নিকট হইতে নিশ্চিতভাবে কঠোর বিরুদ্ধাচরণের সম্মুখীন হইতে হইয়াছে। কিন্তু এই বিরুদ্ধবাদীরা জ্ঞান-বুদ্ধির আলোকে কথা বলিতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম এবং ইহারা ক্যাথলিক মন-মানসিকা-সম্পন্ন বলিয়া পরিদৃষ্ট হইতেছে, যাহারা ভিন্নমত পোষণকারীদিগকে কাফের ও ধর্মের গণ্ডি হইতে বহিস্কৃত সাব্যস্ত করে।”
ইহাই হইল উপরোক্ত পত্রিকার বিশ্লেষণ। তাহারা (পত্রিকা কর্তৃপক্ষ) স্বয়ং ক্যাথলিক। কিন্তু তাহারা বড় সত্য কথা বলিয়া গিয়াছে এবং আরো বলিতেছে যে, হে আহমদীদের বিরুদ্ধবাদীরা! তোমাদের অবস্থাতো আমাদের মত। যেভাবে আমরা ভীরু ও সঙ্কীর্ণ-চিত্ত এবং নিজেদের বিরুদ্ধবাদীদিগকে কাফির মনে করি এবং খৃষ্ট-ধর্মের গণ্ডি হইতে বহিষ্কৃত সাব্যস্ত করি, তোমরাও এই একই আচরণ আহমদীদিগের সহিত করিতেছ। কিন্তু সত্য কথা এই যে, খৃষ্টান জগতই আহমদীয়াতের বিরুদ্ধে এই বচনটি (অর্থাৎ আহমদীরা অমুসলমান—অনুবাদক) আজিকার মুসলমান আলেমদের মুখে তুলিয়া দিয়াছে এবং ইহা তাহাদেরই শিখানো বুলি।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।