খৃষ্টান পাদ্রী ও মুসলমান মৌলবীদের মধ্যে গাঁট-ছড়া
বস্তুতঃ প্রফেসর ডঃ হোবেনের ঐ প্রবন্ধ, যাহার সম্বন্ধে উপরোক্ত পত্রিকা উল্লেখ করিয়াছে, উহাতে এই বিষয়টি খুব সুস্পষ্টভাবে বলা হইয়াছে। একদিকে তাহারা বলে যে, নাউযুবিল্লাহ, ইসলাম মৃত ধর্ম। ইসলাম কেবল তলোয়ারের ধর্ম ছিল। ইসলামে এখন তলোয়ার নাই। এই জন্য ইসলামের শক্তি এই যুগে অচল। অন্যদিকে তাহারা আহমদীদের বিরুদ্ধে অনেক আপত্তি উত্থাপন করে এবং যুগপৎ আহমদীয়া জামাতকে বিপজ্জনক বলিয়াও সাব্যস্ত করিয়া চলিয়াছে এবং এতদসংগে ইহাও বলিয়া চলিয়াছে যে, এই জামা’তকে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বমূলক জামা’ত বলাই যাইতে পারে না। এইজন্য মুসলিম জাহান ইহাকে রদ করিয়া দিবে। কেননা, ইহারা মুসলমান নয় এবং খৃষ্টানেরা এই জন্য ইহাদিগকে উপেক্ষা করিবে যে, এই জামা’ত মুসলমানদের প্রতিনিধিই নয়। সুতরাং ইসলামকে রক্ষা করার ইহাদের কি অধিকার রহিয়াছে? বস্তুতঃ এই চিন্তাভাবনাই পরিণামে রীতিমত একটি ষড়যন্ত্রের রূপ ধারণ করিল এবং খৃষ্টানদের সহিত মুসলমান আলেমদের গাঁট-ছড়া তৈয়ার হইল এবং খৃষ্টানদের ইঙ্গিতেই আহমদীদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন চালানো হইতেছে। বস্তুতঃ ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে আহমদীয়া জামা’আতের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন আরম্ভ হইল তখন ঐ সময় দিল্লী হইতে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা এইরূপই একটি গাঁট-ছড়ার সন্ধান দিয়াছিল। “জদীদ উর্দু রিপোর্ট” বোম্বাই, ২০শে ডিসেম্বর ১৯৭৪ এর সংখ্যায় বিষয়টির উল্লেখ করিতে গিয়া লিখিয়াছিল:-
“আজ হইতে দশ বৎসর পূর্বে দিল্লীর সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নয়ী দুনিয়া’ নিম্নলিখিত বক্তব্য রাখিয়াছিল: যেহেতু কাদিয়ানী (তাহারা নিজদিগকে আহমদী বলে) প্রচারকগণ ইউরোপ ও আফ্রিকায় খৃষ্ট-ধর্মের শক্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিতে আরম্ভ করিয়াছে এবং খৃষ্টান মিশনারীরা তাহাদের মোকাবেলায় দুর্বল হইয়া পড়িয়াছে, সেই জন্য আমাদের ধারণা এই যে, পাকিস্তানের গৃহ-যুদ্ধে ইহাদের (অর্থাৎ খৃষ্টান মিশনারীদের—গ্রন্থকার) বড়ই হাত রহিয়াছে। খৃষ্টান মিশনারীরা চাহিতেছে যে, স্বয়ং মুসলমানদের দ্বারা কাদিয়ানী ফেরকাকে এতখানি দুর্বল করিয়া দিতে হইবে যাহাতে তাহাদের মধ্যে খৃষ্টানদের মোকাবেলা করার শক্তিই না থাকে। খৃষ্টান মিশনারী অর্থসম্পদের জোরে সর্বপ্রকারের ফন্দি-ফিকির করিতেছে এবং মুসলমানেরা জানেই না যে, ইহার নীচে ষড়যন্ত্রের বারুদ কে রাখিয়া দিয়াছে।” (নয়ী দুনিয়া, ২৬শে জুন, ১৯৭৪ ইং)। ইহা অদ্ভুত ব্যাপার যে আহমদীয়া জামাতই ইউরোপ বা আফ্রিকায় যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ তবলিগী কাজ সম্পাদন করিতে থাকে তখন পাকিস্তানে খৃষ্টান জগত স্বয়ং মুসলমানদের দ্বারা আহমদীয়া জামা’আতের বিরুদ্ধে কোন একটি হাঙ্গামা সৃষ্টি করিয়া দেয়।” (দৈনিক জদীদ উর্দু-রিপোর্ট, বোম্বাই, ২০শে ডিসেম্বর, ১৯৮৪ ইং ২২তম সংখ্যা, ৫ম খণ্ড)
“আজ হইতে দশ বৎসর পূর্বে দিল্লীর সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নয়ী দুনিয়া’ নিম্নলিখিত বক্তব্য রাখিয়াছিল: যেহেতু কাদিয়ানী (তাহারা নিজদিগকে আহমদী বলে) প্রচারকগণ ইউরোপ ও আফ্রিকায় খৃষ্ট-ধর্মের শক্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিতে আরম্ভ করিয়াছে এবং খৃষ্টান মিশনারীরা তাহাদের মোকাবেলায় দুর্বল হইয়া পড়িয়াছে, সেই জন্য আমাদের ধারণা এই যে, পাকিস্তানের গৃহ-যুদ্ধে ইহাদের (অর্থাৎ খৃষ্টান মিশনারীদের—গ্রন্থকার) বড়ই হাত রহিয়াছে। খৃষ্টান মিশনারীরা চাহিতেছে যে, স্বয়ং মুসলমানদের দ্বারা কাদিয়ানী ফেরকাকে এতখানি দুর্বল করিয়া দিতে হইবে যাহাতে তাহাদের মধ্যে খৃষ্টানদের মোকাবেলা করার শক্তিই না থাকে। খৃষ্টান মিশনারী অর্থসম্পদের জোরে সর্বপ্রকারের ফন্দি-ফিকির করিতেছে এবং মুসলমানেরা জানেই না যে, ইহার নীচে ষড়যন্ত্রের বারুদ কে রাখিয়া দিয়াছে।” (নয়ী দুনিয়া, ২৬শে জুন, ১৯৭৪ ইং)। ইহা অদ্ভুত ব্যাপার যে আহমদীয়া জামাতই ইউরোপ বা আফ্রিকায় যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ তবলিগী কাজ সম্পাদন করিতে থাকে তখন পাকিস্তানে খৃষ্টান জগত স্বয়ং মুসলমানদের দ্বারা আহমদীয়া জামা’আতের বিরুদ্ধে কোন একটি হাঙ্গামা সৃষ্টি করিয়া দেয়।” (দৈনিক জদীদ উর্দু-রিপোর্ট, বোম্বাই, ২০শে ডিসেম্বর, ১৯৮৪ ইং ২২তম সংখ্যা, ৫ম খণ্ড)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।