পাকিস্তানী খৃষ্টানদের দাবী এবং এই দাবীর প্রতি পাকিস্তান সরকারের উদার পদক্ষেপ
ইহা তো হইল ভারতীয় একটি পত্রিকার পর্যালোচনা। স্বয়ং পাকিস্তানে ইহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ এইরূপে পাওয়া যায় যে, আজিকার খৃষ্টান জগতের, বিশেষভাবে পাকিস্তানে বসবাসকারী খৃষ্টানদের, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা সম্বন্ধে এবং আহমদীয়া জামা’তের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া, উহা তাহাদের ভাষাতেই শ্রবণ করুন। দৈনিক পত্রিকা “ইমরোজ”, লাহোর, উহার ২২শে জুন, ১৯৮৪ ইং তারিখের সংখ্যায় এই সংবাদ পরিবেশন করেঃ-
“লাহোর হাইকোর্টে পাকিস্তান ন্যাশনাল মসীহ কাশতকার পার্টি (পাকিস্তান জাতীয় খৃষ্টান কৃষক পার্টি)-এর চেয়ারম্যান মিস্টার পিটার গুলের রীট আবেদন ১৯৮৩ সালের ২রা ডিসেম্বরে দায়ের করা হইয়াছিল। উহাতে এই দাবী করা হইয়াছিল যে, মির্যায়ীদের (অর্থাৎ আহমদীদের) কাদিয়ানী এবং লাহোরী গ্রুপের ষড়যন্ত্র হইতে পাকিস্তানের খৃষ্টানদিগকে রক্ষা করা হউক এবং সরকারকে আদেশ দান করা হউক, তাহারা যেন সকল মির্যায়ীকে অবাঞ্ছিত রাজনৈতিক দল বলিয়া ঘোষণা করিয়া তাহাদের যাবতীয় বই-পুস্তকাদি বাজেয়াপ্ত করে এবং তাহাদের সকল কেন্দ্র এবং প্রার্থনা গৃহ বন্ধ করিয়া দেয়।”
ইহা অবাক কাণ্ড যে, আদালতের মাধ্যমে আদেশ দেওয়ার তাহাদের কি প্রয়োজন ছিল? তাহাদের পক্ষ হইতে যাহা প্রকাশিত হইয়াছিল, উহাই তো সরকারের জন্য আদেশতুল্য ছিল। বস্তুতঃ হুবহু তাহাদের ইচ্ছা-নুযায়ী আহমদীয়া জামা’তের বিরুদ্ধে ঐ কার্যক্রমই গ্রহণ করা হইয়াছে, যাহা খৃষ্টানদের প্রতিনিধি মিস্টার পিটার গুল সাহেব চাহিতেছিলেন। তিনি হাইকোর্টে আহমদীয়া জামা’তের বিরুদ্ধে যে মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছিলেন এবং আদালতের নিকট দাবী করিয়াছিলেন যে, সরকারকে আদেশ দেওয়া হউক তাহারা যেন আহমদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সরকার ঠিক ঐ দাবীই আহমদীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী করিয়াছে।
“লাহোর হাইকোর্টে পাকিস্তান ন্যাশনাল মসীহ কাশতকার পার্টি (পাকিস্তান জাতীয় খৃষ্টান কৃষক পার্টি)-এর চেয়ারম্যান মিস্টার পিটার গুলের রীট আবেদন ১৯৮৩ সালের ২রা ডিসেম্বরে দায়ের করা হইয়াছিল। উহাতে এই দাবী করা হইয়াছিল যে, মির্যায়ীদের (অর্থাৎ আহমদীদের) কাদিয়ানী এবং লাহোরী গ্রুপের ষড়যন্ত্র হইতে পাকিস্তানের খৃষ্টানদিগকে রক্ষা করা হউক এবং সরকারকে আদেশ দান করা হউক, তাহারা যেন সকল মির্যায়ীকে অবাঞ্ছিত রাজনৈতিক দল বলিয়া ঘোষণা করিয়া তাহাদের যাবতীয় বই-পুস্তকাদি বাজেয়াপ্ত করে এবং তাহাদের সকল কেন্দ্র এবং প্রার্থনা গৃহ বন্ধ করিয়া দেয়।”
ইহা অবাক কাণ্ড যে, আদালতের মাধ্যমে আদেশ দেওয়ার তাহাদের কি প্রয়োজন ছিল? তাহাদের পক্ষ হইতে যাহা প্রকাশিত হইয়াছিল, উহাই তো সরকারের জন্য আদেশতুল্য ছিল। বস্তুতঃ হুবহু তাহাদের ইচ্ছা-নুযায়ী আহমদীয়া জামা’তের বিরুদ্ধে ঐ কার্যক্রমই গ্রহণ করা হইয়াছে, যাহা খৃষ্টানদের প্রতিনিধি মিস্টার পিটার গুল সাহেব চাহিতেছিলেন। তিনি হাইকোর্টে আহমদীয়া জামা’তের বিরুদ্ধে যে মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছিলেন এবং আদালতের নিকট দাবী করিয়াছিলেন যে, সরকারকে আদেশ দেওয়া হউক তাহারা যেন আহমদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সরকার ঠিক ঐ দাবীই আহমদীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী করিয়াছে।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।