খৃষ্টানদের উল্লসিত অভিনন্দন
বস্তুতঃ সরকার যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করিল তখন ঐ সময় পাকিস্তানী খৃষ্টানদের পক্ষ হইতে উহাকে যেভাবে উল্লাসের সহিত অভিনন্দিত করা হইয়াছিল, তাহাও শ্রবণ করুনঃ-
“রাওয়ালপিণ্ডি, ৩০শে এপ্রিল:- পাকিস্তান মাইনরিটি কাউন্সিল আওর ইস্লাহে মোয়াশেরা কমিটি (পাকিস্তান সখ্যালঘু পরিষদ ও সমাজ সংস্কার কমিটি)-এর চেয়ারম্যান চৌধুরী সলিম আখতার (ইনি একজন গোঁড়া খৃষ্টান—গ্রন্থকার) মির্যায়ীদের ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ হইতে জারীকৃত সম্প্রতিক অর্ডিন্যান্সকে (অধ্যাদেশকে) সোল্লাসে অভিনন্দন করিতে গিয়া বলেন যে, প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ জিয়াউল হক নির্ভিক পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়া কেবলমাত্র উম্মতে মোসলেমার হৃদয়ই জয় করেন নাই, বরং তিনি পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির হৃদয়ও জয় করিয়াছেন। চৌধুরী সলিম আখতার এক বিবৃতিতে বলেন যে, ‘ইংরেজদের রোপিত এই সম্প্রদায়ের (অর্থাৎ আহমদীয়া জামাতের—অনুবাদক) ঘৃণ্য কার্যাবলী কেবলমাত্র ইসলামী শিক্ষার বিরোধীই নহে, বরং তাহা খৃষ্ট ধর্মের শিক্ষারও বিরোধী।”
(আহমদীয়াতকে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ সাব্যস্তকারীরা নিম্নোক্ত বক্তব্যটি পুনরায় একটু পড়ুন। আজিকার একজন দেশীয় খৃষ্টানও এই কথা খুব অবগত আছে যে, আহমদীয়াত খৃষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে একটি ভয়ংকর বিপদ। তাহা হইলে কি বৃটিশ সাম্রাজ্য এই কথা জানিতে পারে নাই যে, তাহারা স্বয়ং নিজেদের হাতে এইরূপ একটি বৃক্ষ রোপন করিল, যাহা খৃষ্ট ধর্মকে বিনাশ করিয়া দিবে?—গ্রন্থকার)
“ইংরেজদের রোপিত এই সম্প্রদায়ের ঘৃণ্য কার্যাবলী কেবলমাত্র ইসলামী শিক্ষার বিরোধীই নহে, বরং তাহা খৃষ্ট ধর্মের শিক্ষারও বিরোধী এবং ইহাদের দ্বারা ইসলামের সাথে খৃষ্ট ধর্মেরও মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হইতেছিল।”
একদিকে পাকিস্তানী খৃষ্টানেরা এই কথা বলিতেছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় খৃষ্টানেরা এই কথা বলিতেছে যে, আহমদীয়া জামা’তের প্রচার-কার্যের দরুন খৃষ্ট-ধর্মের ক্ষতি সাধিত হইতেছে এবং ইসলাম উপকৃত হইতেছে এবং ইসলামের হস্ত শক্তিশালী হইতেছে ও ইসলাম একটি মহান শক্তিতে পরিণত হইয়া চলিয়াছে। আজিকার ইউরোপে খৃষ্টান পাদ্রী তো এই কথা বলিতেছে যে, আহমদীরা ইউরোপে খৃষ্ট-ধর্মের জন্যও বিপজ্জনক এবং আফ্রিকায় খৃষ্ট-ধর্মের জন্যও বিপজ্জনক। কিন্তু চাটুকারেরা সরকারের মেজাজ ও হাবভাব দেখিয়া কথা বলে। এই জন্য এই খৃষ্টান চৌধুরী এই রীটও দায়ের করিতেছে যে, আহমদীয়াত ইসলামের জন্যও বিপজ্জনক (নাউযুবিল্লাহ) এবং ইহা ইসলামের সাথে সাথে খৃষ্টধর্মেরও ভয়ানক ক্ষতি সাধন করিতেছে। কথা এইখানেই শেষ হইয়া যায় নাই। বরং আরো লেখা হইয়াছে:—
“চৌধুরী সলিম আখতার রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিকট আবেদন করিয়াছেন যে, মির্যায়ীদের সকল বই–পুস্তক বে–আইনী ঘোষণা করিয়া বাজেয়াপ্ত করার পর ঐগুলিকে আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া হউক এবং ভবিষ্যতে এগুলি প্রকাশ করিলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হউক।” (দৈনিক জং, ১লা মে, ১৯৮৪ ইং)।
বস্তুতঃ তিনি তো রাষ্ট্র প্রধানকে মোবারকবাদ দিতেছেন। আমি সলিম আখতার সাহেবকে মোবারকবাদ দিতেছি যে, রাষ্ট্র–প্রধান হুবহু আপনার আকাঙ্খা ও ইচ্ছানুযায়ী কাজ করিতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন এবং এই কাজে দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতেছেন। বিপুল পরিমাণে আহমদীয়া জামা’তের বই–পুস্তকাদি বাজেয়াপ্ত করা হইতেছে এবং আগুনেও পোড়াইয়া দেওয়া হইতেছে এবং যে সকল আহমদীর নিকট এই সকল বই–পুস্তক পাওয়া যায় তাহাদিগকে বিপুল সংখ্যায় পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হইতেছে ও কারাগারে নিক্ষেপ করা হইতেছে। বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর যদি এই সকল বই–পুস্তক তাহাদের নিকট পাওয়া যায়, তাহা হইলেই কেবলমাত্র তাহাদিগকে জেলে ঢোকান হইতেছে না, বরং বাজেয়াপ্ত হওয়ার পূর্বেও যদি এই সকল বই–পুস্তক তাহাদের নিকট পাওয়া যায়, তাহা হইলে এই অপরাধেও এই কথা বলিয়া তাহাদিগকে জেলে ঢোকান হইতেছে যে এই সকল বই–পুস্তক বাজেয়াপ্ত করার পূর্বেই বা কেন তোমাদের নিকট ছিল? সুতরাং সলিম আখতার সাহেবের ধারণার চাইতেও অধিক অগ্রসর হইয়া পাকিস্তান সরকার তাহাদের নিজেদের ধারণানুযায়ী ইসলামের খেদমতে এবং খৃষ্টানদের স্বীকারূক্তি অনুযায়ী খৃষ্টধর্মের মহান সেবায় নিয়োজিত রহিয়াছে।
“রাওয়ালপিণ্ডি, ৩০শে এপ্রিল:- পাকিস্তান মাইনরিটি কাউন্সিল আওর ইস্লাহে মোয়াশেরা কমিটি (পাকিস্তান সখ্যালঘু পরিষদ ও সমাজ সংস্কার কমিটি)-এর চেয়ারম্যান চৌধুরী সলিম আখতার (ইনি একজন গোঁড়া খৃষ্টান—গ্রন্থকার) মির্যায়ীদের ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ হইতে জারীকৃত সম্প্রতিক অর্ডিন্যান্সকে (অধ্যাদেশকে) সোল্লাসে অভিনন্দন করিতে গিয়া বলেন যে, প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ জিয়াউল হক নির্ভিক পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়া কেবলমাত্র উম্মতে মোসলেমার হৃদয়ই জয় করেন নাই, বরং তিনি পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির হৃদয়ও জয় করিয়াছেন। চৌধুরী সলিম আখতার এক বিবৃতিতে বলেন যে, ‘ইংরেজদের রোপিত এই সম্প্রদায়ের (অর্থাৎ আহমদীয়া জামাতের—অনুবাদক) ঘৃণ্য কার্যাবলী কেবলমাত্র ইসলামী শিক্ষার বিরোধীই নহে, বরং তাহা খৃষ্ট ধর্মের শিক্ষারও বিরোধী।”
(আহমদীয়াতকে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ সাব্যস্তকারীরা নিম্নোক্ত বক্তব্যটি পুনরায় একটু পড়ুন। আজিকার একজন দেশীয় খৃষ্টানও এই কথা খুব অবগত আছে যে, আহমদীয়াত খৃষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে একটি ভয়ংকর বিপদ। তাহা হইলে কি বৃটিশ সাম্রাজ্য এই কথা জানিতে পারে নাই যে, তাহারা স্বয়ং নিজেদের হাতে এইরূপ একটি বৃক্ষ রোপন করিল, যাহা খৃষ্ট ধর্মকে বিনাশ করিয়া দিবে?—গ্রন্থকার)
“ইংরেজদের রোপিত এই সম্প্রদায়ের ঘৃণ্য কার্যাবলী কেবলমাত্র ইসলামী শিক্ষার বিরোধীই নহে, বরং তাহা খৃষ্ট ধর্মের শিক্ষারও বিরোধী এবং ইহাদের দ্বারা ইসলামের সাথে খৃষ্ট ধর্মেরও মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হইতেছিল।”
একদিকে পাকিস্তানী খৃষ্টানেরা এই কথা বলিতেছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় খৃষ্টানেরা এই কথা বলিতেছে যে, আহমদীয়া জামা’তের প্রচার-কার্যের দরুন খৃষ্ট-ধর্মের ক্ষতি সাধিত হইতেছে এবং ইসলাম উপকৃত হইতেছে এবং ইসলামের হস্ত শক্তিশালী হইতেছে ও ইসলাম একটি মহান শক্তিতে পরিণত হইয়া চলিয়াছে। আজিকার ইউরোপে খৃষ্টান পাদ্রী তো এই কথা বলিতেছে যে, আহমদীরা ইউরোপে খৃষ্ট-ধর্মের জন্যও বিপজ্জনক এবং আফ্রিকায় খৃষ্ট-ধর্মের জন্যও বিপজ্জনক। কিন্তু চাটুকারেরা সরকারের মেজাজ ও হাবভাব দেখিয়া কথা বলে। এই জন্য এই খৃষ্টান চৌধুরী এই রীটও দায়ের করিতেছে যে, আহমদীয়াত ইসলামের জন্যও বিপজ্জনক (নাউযুবিল্লাহ) এবং ইহা ইসলামের সাথে সাথে খৃষ্টধর্মেরও ভয়ানক ক্ষতি সাধন করিতেছে। কথা এইখানেই শেষ হইয়া যায় নাই। বরং আরো লেখা হইয়াছে:—
“চৌধুরী সলিম আখতার রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিকট আবেদন করিয়াছেন যে, মির্যায়ীদের সকল বই–পুস্তক বে–আইনী ঘোষণা করিয়া বাজেয়াপ্ত করার পর ঐগুলিকে আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া হউক এবং ভবিষ্যতে এগুলি প্রকাশ করিলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হউক।” (দৈনিক জং, ১লা মে, ১৯৮৪ ইং)।
বস্তুতঃ তিনি তো রাষ্ট্র প্রধানকে মোবারকবাদ দিতেছেন। আমি সলিম আখতার সাহেবকে মোবারকবাদ দিতেছি যে, রাষ্ট্র–প্রধান হুবহু আপনার আকাঙ্খা ও ইচ্ছানুযায়ী কাজ করিতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন এবং এই কাজে দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতেছেন। বিপুল পরিমাণে আহমদীয়া জামা’তের বই–পুস্তকাদি বাজেয়াপ্ত করা হইতেছে এবং আগুনেও পোড়াইয়া দেওয়া হইতেছে এবং যে সকল আহমদীর নিকট এই সকল বই–পুস্তক পাওয়া যায় তাহাদিগকে বিপুল সংখ্যায় পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হইতেছে ও কারাগারে নিক্ষেপ করা হইতেছে। বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর যদি এই সকল বই–পুস্তক তাহাদের নিকট পাওয়া যায়, তাহা হইলেই কেবলমাত্র তাহাদিগকে জেলে ঢোকান হইতেছে না, বরং বাজেয়াপ্ত হওয়ার পূর্বেও যদি এই সকল বই–পুস্তক তাহাদের নিকট পাওয়া যায়, তাহা হইলে এই অপরাধেও এই কথা বলিয়া তাহাদিগকে জেলে ঢোকান হইতেছে যে এই সকল বই–পুস্তক বাজেয়াপ্ত করার পূর্বেই বা কেন তোমাদের নিকট ছিল? সুতরাং সলিম আখতার সাহেবের ধারণার চাইতেও অধিক অগ্রসর হইয়া পাকিস্তান সরকার তাহাদের নিজেদের ধারণানুযায়ী ইসলামের খেদমতে এবং খৃষ্টানদের স্বীকারূক্তি অনুযায়ী খৃষ্টধর্মের মহান সেবায় নিয়োজিত রহিয়াছে।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।