আহরারী দলের বিশ্বাসঘাতকতা
১৯৩৫ সালে যখন মসজিদে শহীদগঞ্জের ঘটনার সময় লক্ষ লক্ষ মুসলমান জীবনবাজী রাখিয়াছিল এবং লাহোরের অলিতে গলিতে শহীদদের রক্ত প্রবাহিত হইতেছিল, তখন এই আহরার দলই নিজেদের কংগ্রেস প্রভুদের জন্য মুসলমানদের স্বার্থ বিক্রয় করিয়াছিল। এই আহরার দলই ইংরেজ গভর্ণরের সহিত মুসলমানদের ঈমান এবং তাহাদের ইজ্জতের সওদা করিয়াছিল এবং কার্যতঃ তাহাদের নিকট মসজিদ বিক্রয় করিয়া দিয়াছিল। কিন্তু তাহারা বড়ই নির্লজ্জভাবে পত্র-পত্রিকায় এই বিবৃতি দিয়াছিল যে, “মসজিদ শহীদ (অর্থাৎ বিধ্বস্ত) হইলে কি আসে যায়? আমরা হইলাম গোলাম জাতি। গোলাম জাতির মসজিদ কিভাবে আযাদ হইতে পারে? যদি আমাদের একটি মসজিদ গোলাম হইয়া গিয়া থাকে, তাহাতে কি আসে যায়? আমরাতো হইলাম ঐ জাতি যাহাদের প্রত্যেকটি মানুষ গোলাম। অতএব কোন চিন্তা নাই। শিখদিগকে নিতে দাও এবং তাহাদিগকে বিধ্বস্ত করিতে দাও। পরে তাহারাই ফিরাইয়া দিবে।” বস্তুতঃ এই সকল লোকদের ঐ সমস্ত লেখা মুদ্রিতাবস্থায় মওজুদ রহিয়াছে। ঐ যুগে হিন্দুরাও কেবলমাত্র এই কথা স্বীকারই করে নাই যে, হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আহরাররা এই পদক্ষেপ উঠাইয়াছিল, বরং প্রকাশ্যে তাহারা পত্র-পত্রিকায় ইহাদের নিকট কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করিয়াছিল। ভারতে প্রকাশিত হিন্দুদের খ্যাতনামা পত্রিকা “বন্দে মাতরম” ১৩ই অক্টোবর, ১৯৩৫ সালে নিম্নোক্ত ভাষায় মজলিসে আহরারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে:-
“আমরা মজলিসে আহরারের কাজে খুবই সন্তুষ্ট এবং তাহাদিগকে মোবারকবাদ দিতেছি যে, তাহারা নেহায়েত সাহসিকতা ও অবিচল দৃঢ়তার সহিত নিজেদের সমধর্মীদের বিরুদ্ধেও জাতি ও দেশের স্বার্থে চ্যালেঞ্জ দিয়াছে এবং ইহা সব চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কুরবানী যাহা আমাদের আহরারী বন্ধুরা সম্পাদন করিয়াছে। অতএব মজলিসে আহরার নিশ্চিতভাবে দেশবাসীর কৃতজ্ঞতার দাবীদার।”
“আমরা মজলিসে আহরারের কাজে খুবই সন্তুষ্ট এবং তাহাদিগকে মোবারকবাদ দিতেছি যে, তাহারা নেহায়েত সাহসিকতা ও অবিচল দৃঢ়তার সহিত নিজেদের সমধর্মীদের বিরুদ্ধেও জাতি ও দেশের স্বার্থে চ্যালেঞ্জ দিয়াছে এবং ইহা সব চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কুরবানী যাহা আমাদের আহরারী বন্ধুরা সম্পাদন করিয়াছে। অতএব মজলিসে আহরার নিশ্চিতভাবে দেশবাসীর কৃতজ্ঞতার দাবীদার।”
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।