আপত্তির জবাব

মুসলিম জাহানের স্বার্থ ও আহরারদের নিরুৎসাহ ও নির্লিপ্ততা

মুসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে আহরারদের কোন উৎসাহ নাই যে, তাহাদের কর্মপন্থা ও চিন্তাধারার দরুন মুসলমানদের উপর কি দুর্গতি নামিয়া আসে। তাহাদের হৃদয়ে মুসলিম জাহানের জন্য এক বিন্দু দয়া মায়াও মওজুদ নাই। বস্তুতঃ যে আদালত সম্বন্ধে আমি একটু পূর্বেই বলিয়াছি, উহার বিচারকগণ আহরারী মৌলবীদের সম্মুখে এই বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে তুলিয়া ধরিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, “তোমরা তো এখানে অমুসলমানদের মানবাধিকার ইসলামের নামে হরণ করার দাবী জানাইতেছ। তোমরা এদেশের চার দেওয়ালের মধ্যে হেফাযতে রহিয়াছ, যাহাকে তোমরা পতিতারূপে গ্রহণ করিয়াছ। এই দেশের হেফাযতের বিষয় সম্বন্ধে তোমরা বড় বড় কথা বলিতেছ এবং বলিতেছ যে, ‘খুব ভাল কথা, পাকিস্তান কায়েম হইয়া গিয়াছে। অতএব এখন অমুসলমানদের জন্য এখানে জায়গা নাই এবং আমরা তাহাদের সকল মানবাধিকার হরণ করিয়া লইব।’ তখন বিজ্ঞ বিচারকগণ আহরারী মৌলবীদিগকে জিজ্ঞাসা করেন:-

“যদি আমরা ইসলামী বিধান প্রবর্তন করি, তাহা হইলে পাকিস্তানে অমুসলমাননের অবস্থান কি হইবে? প্রখ্যাত আলেমদের এই রায় ছিল যে, পাকিস্তানের ইসলামী ভূখণ্ডে অমুসলমানদের পদমর্যাদা জিম্মীদের মত হইবে এবং তাহারা পাকিস্তানের পূর্ণ নাগরিক হইবে না। কেননা, তাহারা মুসলমানদের সমান অধিকার লাভ করিবে না। আইন প্রণয়নে তাহাদের কোন ভূমিকা থাকিবে না এবং সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ লাভ করার তাহাদের কোন অধিকার থাকিবে না।” (রিপোর্ট, পৃষ্ঠা–২২৯)

মাওলানা হামিদ বাদায়ুনী সাহেব বলেন:-

“পাকিস্তানের অমুসলমানেরা না তো নাগরিক হইবে, না তাহারা জিম্মি বা অধীনতামূলক মিত্রের মর্যাদা লাভ করিবে।”

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।