আহমদীয়াতের দুশমনেরা হিন্দুদের সহিত এক সুরে কথা বলে
এখন মনুর আইন শুনুন। ঐ আইন কি, যাহা সম্বন্ধে মৌলবী মৌদূদী, আতাউল্লাহ শাহ বোখারী এবং হামিদ বাদাউনী সাহেব বলেন যে, মুসলমানদের উপর নির্দিধায় মনু শাস্ত্রের আইন প্রয়োগ হউক। ইহাতে তাহাদের কিছু যায় আসে না। শ্রী মনু বেদের আলোকে বলেন যেঃ—
“যদি ‘রজিল’ (ম্লেচ্ছ বা নিম্ন জাত) স্ত্রীলোকের সহিত কোন সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ প্রভৃতি ব্যাভিচার করে, তাহা হইলে ইহাতে দোষ কিছুই নাই। এবং ইহার জন্য কোন প্রকারের শাস্তি নাই।”
অর্থাৎ অহিন্দু বা নীচু জাতের লোকদিগকে ‘রজিল’ (ম্লেচ্ছ) বলা হয়। তাহাদের স্ত্রীলোকদিগের ইজ্জত যদি ব্রাহ্মণ হরণ করে, তাহা হইলে বলা হইতেছে যে, ইহাতে দোষের কিছুই নাই এবং ইহার দরুন তাহাদিগকে কোন শাস্তি দেওয়া হইবে না। কিন্তু অন্যদিকে মৌলবী মৌদূদী, সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহ বোখারী এবং হামিদ বাদায়ুনী বলিতেছেন যে, যদি মুসলমান স্ত্রীলোকদের সহিত ভারতে এই আচরণ করা হয় তাহাতে তাহাদের কিছু যায় আসে না, তাহাদের হৃদয়ের স্পন্দনের গতি দ্রুত হইবে না এবং রক্ত ঝরাতো দূরের কথা, তাহারা এক ফোঁটা অশ্রুও বিসর্জন করিবে না। ধিক্, শত ধিক্! উম্মতে মোহাম্মদীয়ার মা-বোন ও মেয়েদের জন্য এই মৌলবীদের হৃদয়ে এতটুকু আত্মাভিমান নাই। ইসলামের জন্য তাহাদের আবেগ ও অনুরাগ এই পর্যন্তই যে, আহমদীদের জান, মাল ও ইজ্জতের ক্ষতি সাধনে তৎপর হও।
শ্রী মনুর ভাষায় আরো কিছু কথা শুনুন। শ্লোক নম্বর ৩৮০ তে লেখা আছে:-
“ব্রাহ্মণ যত বড় অপরাধেই অপরাধী হউক না কেন, তাহাকে হত্যা করা যাইবে না। ব্রাহ্মণকে হতাশ করার মত বড় কোন পাপ নাই। ব্রাহ্মণ নীচু জাতের মেয়েকে স্বীয় স্ত্রীত্বে গ্রহণ করিতে পারে এবং যদি কোন নীচু জাতের লোকের নিকট স্বর্ণ, রৌপ্য বা সুন্দর কোন জিনিষ থাকে, তাহা হইলে ব্রাহ্মণ তাহা দখল করিতে পারে। কিন্তু যদি কোন নীচু জাতের লোক এইরূপ কাজ করে, তাহা হইলে জ্বলন্ত লৌহখণ্ডে তাহাকে জ্বালাইয়া মারিতে হইবে। অনুরূপভাবে যদি ব্রাহ্মণ কোন শূদ্রকে বেদ পাঠ করিতে শুনে, তাহা হইলে তাহার কানে গলিত শীশা এবং জ্বলন্ত মোম ঢালিয়া দিতে হইবে।”
আজকাল পাকিস্তানে যে শরীয়তের প্রবর্তন করা হইতেছে, তাহা কোরআন করীম হইতে নেওয়া হয় নাই। কেননা কোরআন করীম তো একটি নেহায়েতই সুন্দর ও জ্ঞানপূর্ণ কিতাব, যাহা মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে, মানুষের সাম্যের পতাকাবাহক এবং দয়া, নম্রতা, ন্যায়নীতিরও শিক্ষা দান করে। ইহাতে তো মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার জন্য এইরূপ কোন শিক্ষা নাই। কিন্তু মনে হইতেছে যে, পাকিস্তানে শ্রী মনুর নিকট হইতে শরিয়ত গ্রহণ করা হইয়াছে এবং বর্তমানে এই সকল লোক মনুর শিক্ষা সেখানে (অর্থাৎ পাকিস্তানে) মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রবর্তন করিতে চাহিতেছে এবং এখানেও (ইংল্যাণ্ডেও) মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রবর্তন করিতে চাহিতেছে।
শ্রী মনুর আইনে ইহাও লিখিত আছে:-
“(উচ্চ জাতের হিন্দু যদি) নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কোন বৈশ্য বা শূদ্রের গৃহ হইতে স্বয়ং চুরি করে বা অন্যকে দিয়া চুরি করাইয়া নেয়, তাহা হইলে রাজার নিকট এইরূপ মজলুম ব্যক্তির ফরিয়াদ পৌঁছান উচিত নহে। শূদ্রের মুক্তি ইহার মধ্যেই রহিয়াছে যে, সে ব্রাহ্মণ–সেবা করিবে। অন্য সব কাজ নিষ্ফল ও বৃথা। নীচু জাতের অর্থ জমা করার অনুমতি নাই, পাছে সে বিত্তশালী হইয়া উচ্চ জাতের লোকদিগকে (মনু সংহিতা অধ্যায়) আদেশ দিয়া বসে।”
“যদি ‘রজিল’ (ম্লেচ্ছ বা নিম্ন জাত) স্ত্রীলোকের সহিত কোন সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ প্রভৃতি ব্যাভিচার করে, তাহা হইলে ইহাতে দোষ কিছুই নাই। এবং ইহার জন্য কোন প্রকারের শাস্তি নাই।”
অর্থাৎ অহিন্দু বা নীচু জাতের লোকদিগকে ‘রজিল’ (ম্লেচ্ছ) বলা হয়। তাহাদের স্ত্রীলোকদিগের ইজ্জত যদি ব্রাহ্মণ হরণ করে, তাহা হইলে বলা হইতেছে যে, ইহাতে দোষের কিছুই নাই এবং ইহার দরুন তাহাদিগকে কোন শাস্তি দেওয়া হইবে না। কিন্তু অন্যদিকে মৌলবী মৌদূদী, সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহ বোখারী এবং হামিদ বাদায়ুনী বলিতেছেন যে, যদি মুসলমান স্ত্রীলোকদের সহিত ভারতে এই আচরণ করা হয় তাহাতে তাহাদের কিছু যায় আসে না, তাহাদের হৃদয়ের স্পন্দনের গতি দ্রুত হইবে না এবং রক্ত ঝরাতো দূরের কথা, তাহারা এক ফোঁটা অশ্রুও বিসর্জন করিবে না। ধিক্, শত ধিক্! উম্মতে মোহাম্মদীয়ার মা-বোন ও মেয়েদের জন্য এই মৌলবীদের হৃদয়ে এতটুকু আত্মাভিমান নাই। ইসলামের জন্য তাহাদের আবেগ ও অনুরাগ এই পর্যন্তই যে, আহমদীদের জান, মাল ও ইজ্জতের ক্ষতি সাধনে তৎপর হও।
শ্রী মনুর ভাষায় আরো কিছু কথা শুনুন। শ্লোক নম্বর ৩৮০ তে লেখা আছে:-
“ব্রাহ্মণ যত বড় অপরাধেই অপরাধী হউক না কেন, তাহাকে হত্যা করা যাইবে না। ব্রাহ্মণকে হতাশ করার মত বড় কোন পাপ নাই। ব্রাহ্মণ নীচু জাতের মেয়েকে স্বীয় স্ত্রীত্বে গ্রহণ করিতে পারে এবং যদি কোন নীচু জাতের লোকের নিকট স্বর্ণ, রৌপ্য বা সুন্দর কোন জিনিষ থাকে, তাহা হইলে ব্রাহ্মণ তাহা দখল করিতে পারে। কিন্তু যদি কোন নীচু জাতের লোক এইরূপ কাজ করে, তাহা হইলে জ্বলন্ত লৌহখণ্ডে তাহাকে জ্বালাইয়া মারিতে হইবে। অনুরূপভাবে যদি ব্রাহ্মণ কোন শূদ্রকে বেদ পাঠ করিতে শুনে, তাহা হইলে তাহার কানে গলিত শীশা এবং জ্বলন্ত মোম ঢালিয়া দিতে হইবে।”
আজকাল পাকিস্তানে যে শরীয়তের প্রবর্তন করা হইতেছে, তাহা কোরআন করীম হইতে নেওয়া হয় নাই। কেননা কোরআন করীম তো একটি নেহায়েতই সুন্দর ও জ্ঞানপূর্ণ কিতাব, যাহা মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে, মানুষের সাম্যের পতাকাবাহক এবং দয়া, নম্রতা, ন্যায়নীতিরও শিক্ষা দান করে। ইহাতে তো মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার জন্য এইরূপ কোন শিক্ষা নাই। কিন্তু মনে হইতেছে যে, পাকিস্তানে শ্রী মনুর নিকট হইতে শরিয়ত গ্রহণ করা হইয়াছে এবং বর্তমানে এই সকল লোক মনুর শিক্ষা সেখানে (অর্থাৎ পাকিস্তানে) মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রবর্তন করিতে চাহিতেছে এবং এখানেও (ইংল্যাণ্ডেও) মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রবর্তন করিতে চাহিতেছে।
শ্রী মনুর আইনে ইহাও লিখিত আছে:-
“(উচ্চ জাতের হিন্দু যদি) নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কোন বৈশ্য বা শূদ্রের গৃহ হইতে স্বয়ং চুরি করে বা অন্যকে দিয়া চুরি করাইয়া নেয়, তাহা হইলে রাজার নিকট এইরূপ মজলুম ব্যক্তির ফরিয়াদ পৌঁছান উচিত নহে। শূদ্রের মুক্তি ইহার মধ্যেই রহিয়াছে যে, সে ব্রাহ্মণ–সেবা করিবে। অন্য সব কাজ নিষ্ফল ও বৃথা। নীচু জাতের অর্থ জমা করার অনুমতি নাই, পাছে সে বিত্তশালী হইয়া উচ্চ জাতের লোকদিগকে (মনু সংহিতা অধ্যায়) আদেশ দিয়া বসে।”
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।