আপত্তির জবাব

ন্যায়-নিষ্ঠ আলেম ও চিন্তাবিদগণের দৃষ্টিতে আহমদীয়াত

গতকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি ভিন্ন রকম ছিল। ঐ সময় তখনও মুসলমান আলেম ও চিন্তাবিদগণের মধ্যে সত্য কথা বলার সাহস ছিল এবং সত্যকথা বলিতে তাঁহারা লজ্জা করিতেন না। ইহা ছিল ঐ যুগ, যখন কখনো মৌলানা মুহাম্মাদ হোসাইন বাটালবী সাহেবের কলম হইতেও এই কথা বাহির হইয়া পড়িত যে, ইসলামকে রক্ষা করার জন্য সব চাইতে অধিক পরাক্রমশালী যোদ্ধা যদি কেহ জন্মগ্রহণ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি হইলেন মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। কেহ বলিতে পারেন যে, ইহা মির্যা সাহেবের দাবীর পূর্বের কথা। কিন্তু মৌলবী নূর মোহাম্মাদ নক্‌শাবন্দী সাহেবের যে উদ্ধৃতি আমি পড়িয়াছি, উহা তো দাবীর পূর্বের কথা ছিল না। উহা তো তাঁহার প্রতিশ্রুত মসীহ হওয়ার দাবীর অনেক পরের লেখা।

আরো একটি লেখা এই ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য। ইহা একজন প্রখ্যাত মুসলমান ধর্মীয় আলেম এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের লেখা। ইহা হইতে জানা যায় যে, হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের আগমনের উদ্দেশ্য কি ছিল এবং তাহা তিনি কিভাবে অর্জন তিনি করিয়াছেন। এই লেখা মাওলানা আবুল কালাম আজাদের। তিনি বলেন:-

“... মুদ্দাকথা, মির্যা সাহেবের এই খেদমত ভবিষ্যৎ বংশধরদিগকে এহসানের ভারী বোঝার নীচে রাখিবে। তিনি কলমের জেহাদকারীগণের প্রথম সারিতে থাকিয়া ইসলামের পক্ষ হইতে প্রতিরোধের কর্তব্য পালন করিয়াছেন এবং এইরূপ লিটারেচার (বই–পুস্তকাদি) স্মৃতি হিসাবে রাখিয়া গিয়াছেন যে, যতদিন মুসলমানদের ধমনীতে জিন্দা খুন (জীবন্ত রক্ত) থাকিবে এবং ইসলামী জামা’তের আবেগ তাহাদের জাতীয় চরিত্রের শিরোনামরূপে পরিদৃষ্ট হইবে, ততদিন পর্যন্ত এই লিটারেচারের স্মৃতি কায়েম থাকিবে।” (উকিল পত্রিকা, অমৃতসর, মিল্লাত পত্রিকা, লাহোর, ৭ই জানুয়ারি ১৯১১ খৃষ্টাব্দ, জুন ১৯০৮ খৃঃ)

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।