আপত্তির জবাব

জেহাদ সম্বন্ধে কুরআনী শিক্ষা হইতে বিচ্যুত ধ্যান–ধারণাসমূহ

সুতরাং ইহা তো আঁ–হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বাণী। অতঃপর তিনি (আঃ) “তোফাহে কায়সারিয়া” গ্রন্থের দশ পৃষ্ঠায় লিখেন:-

“অন্য যে নীতির উপর আমাকে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে, তাহা হইল জেহাদের ঐ ভ্রান্ত ধারণার সংশোধন করা, যাহা কোন কোন নির্বোধ মুসলমানের মধ্যে বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছে। অতএব, খোদাতায়ালা আমাকে বুঝাইয়া দিয়াছেন যে, যে পন্থা ও বিধানকে আজকাল জেহাদ মনে করা হইতেছে, তাহা কুরআনী শিক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। নিঃসন্দেহে কুরআন শরীফে যুদ্ধের আদেশ দেওয়া হইয়াছে, যাহা মুসা (আঃ)-এর যুদ্ধসমূহ হইতে অধিকতর যুক্তিযুক্ত ছিল এবং ইউসা বিন নুনের যুদ্ধসমূহের চাইতে অধিক যৌক্তিকতা নিজের মধ্যে ধারণ করিত। এবং ইহার ভিত্তি একমাত্র এই বিষয়ের উপর স্থাপিত ছিল যে, যাহারা মুসলমানদিগকে হত্যা করার জন্য অন্যায়ভাবে তাহাদের উপর তলোয়ার উঠাইয়াছিল এবং অন্যায়ভাবে তাহাদিগকে হত্যা করিয়াছিল এবং তাহাদের উপর যুলুম নির্যাতন চরম সীমায় পৌঁছাইয়া দিয়াছিল, তাহাদিগকে তলোয়ারের দ্বারাই নিহত করিতে হইবে।”

ইহাই হইল জেহাদ সম্বন্ধে কুরআনী শিক্ষার সার–সংক্ষেপ। ইহার বর্ণনা রহিয়াছে সূরা হজ্জের ৪০ ও ৪১ নম্বর আয়াতে। (পাঠকবৃন্দকে অনুরোধ জানানো যাইতেছে যে, তাঁহারা অর্থসহ এই আয়াতদ্বয় কোরআন শরীফে পড়িয়া নিবেন—অনুবাদক)। এমন কোন ধর্মীয় আলেম আছেন কি, যিনি এই কথাগুলির মধ্যে কোন ভুল–ভ্রান্তি প্রমাণ করিয়া দেখাইতে পারেন? কোথাও তাহাদের আপত্তির অবকাশ আছে কি? তাহারা স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে কেবলমাত্র একটি কল্পিত ও মিথ্যা কথা হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের প্রতি আরোপ করিতেছে। পক্ষান্তরে তাহারা নিজেরা তাঁহার (আঃ) কিতাবগুলি পড়িয়াছে। এতদসত্ত্বেও তাহারা সত্য গোপন করিতেছে এবং এই কথা প্রচার করিতেছে, যেন ইংরেজরা হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামকে জেহাদ রহিত করার জন্য দাঁড় করাইয়াছিল এবং যদি তিনি না দাঁড়াইতেন, তাহা হইলে ইংরেজরা মারা যাইত এবং যদি হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম তাহাদের বিরুদ্ধে জেহাদ নিষেধ না করিতেন, তাহা হইলে মুসলমানেরা ইংরেজ সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করিয়া ছাড়িত।

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।