ইংরেজদের সহিত যাহারা যুদ্ধ করে তাহারা ফাসাদকারী ও বিদ্রোহী
এখন এই সকল আলেমের অবস্থার কথা শুনুন, যাহারা আজ লম্ফঝম্প দিয়া হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের বিরুদ্ধে অপবাদ লাগাইতেছে। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহারা ঐসময় এই কথাই মুসলমানদের মধ্যে সংগোপনে প্রচার করিত। তাহারা জগতবাসীর নিকট অন্য কিছু বলিত, কিন্তু ইংরেজ সরকারকে নিজেদের ধর্মবিশ্বাস হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কিছু অবহিত করিত। তাহাদের সম্মুখে ইহাদের ধর্মবিশ্বাস সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু পরিদৃষ্ট হইত। মৌলবী মোহাম্মদ হোসেন সাহেব বাটালবী, যিনি হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের সবচাইতে বড় দুশমন ছিলেন এবং জেহাদের ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপনকারী ছিলেন, তিনি লিখেন:-
“১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের বিদ্রোহে যে সকল মুসলমান অংশগ্রহণ করিয়াছিল, তাহারা ভয়ানক পাপীষ্ঠ এবং কুরআন ও হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী তাহারা ছিল ফাসাদকারী, বিদ্রোহী এবং দুস্কৃতিকারী।”
তিনি আরো বলেন:-
“এই সরকারের সহিত যুদ্ধ করা বা তাহাদের সহিত যাহারা যুদ্ধ করে (তাহারা মুসলমান ভাইই হউক না কেন) তাহাদিগকে কোন প্রকারে সাহায্য করা সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা হইবে এবং একটি হারাম কাজ হইবে।” (এশায়াতুস সুন্নাহ, ৯ম খণ্ড, ১০ নম্বর, পৃষ্ঠা–৩০৮)
অতঃপর তাহার নিজ পুস্তক “ইকতেসাদ ফি মাশায়েলুল জেহাদ” এর ১৬ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে:-
“এই সকল দলিল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে ভারতবর্ষ খৃষ্টান সাম্রাজ্যের অধীন হওয়া সত্ত্বেও ইহা ‘দারুল ইসলাম’ (যেখানে তলোয়ারের যুদ্ধ নিষিদ্ধ)। আরবের হউক, আজমের হউক, সুদানী মাহদীই হউক, বা ইরানের হযরত সুলতান শাহই হউক, বা খোরাশানের আমীরই হউক—এই দেশে কোন বাদশাহরই ধর্মবুদ্ধ করা কখনো জায়েজ নয়।” (সূত্র ঐ, পৃঃ–৪৮)
অর্থাৎ ভারতের অভ্যন্তরে যাহারা বসবাস করিতেছে, তাহাদের জন্ম যুগ–বাদশাহের আনুগত্য করা এবং যুগ–সরকারের আদেশ মানা কর্তব্যতে বটেই। কিন্তু মৌলবী মোহাম্মদ হোসেন সাহেব বাটালবী এই ফতুয়া অন্যান্য দেশের জন্যও দিতেছেন—যে, তোমরা যাহারা ইংরেজ সরকারের আওতার বাহিরে বাস করিতেছ, তোমরা যদি ইংরেজ সরকারের সহিত যুদ্ধ কর, তাহা হইলে ইহা তোমাদের জন্যও হারাম হইবে। তিনি আরো বলেন: “ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং তাহাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মুসলমানদের জন্য হারাম।” (এশায়াতুস সুন্নাহ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ১০ নম্বর, পৃষ্ঠা–১৮৭)
“এই যুগে শরীয়তী জেহাদের কোন পরিস্থিতিই নাই। কেননা, এই যুগে মুসলমানদের কোন ইমাম নাই এবং সাংগঠনিক শক্তি নাই এবং ইমামতির শর্ত মওজুদ নাই।” (ইকতেসাদ ফি মাসায়েলুল জেহাদ, পৃষ্ঠা–৪২)
তাহা হইলে আজ এই ইমাম কোথা হইতে আসিয়া গেল? এই ইমামতির জন্য কি সামরিক সরকারের প্রয়োজন হইয়া থাকে? খোদা–তায়ালা সামরিক সরকারের মাধ্যমে ধর্মজগতে কবে ইমাম কায়েম করিয়াছিলেন?
অতঃপর তিনি আরো বলেন:-
“বর্তমানে মুসলমানদের না কোন ইমাম রহিয়াছে, না ইমামতির শর্ত মওজুত রহিয়াছে এবং না তাহাদের এইরূপ সাংগঠনিক শক্তি রহিয়াছে, যদ্বারা তাহারা নিজেদের বিরুদ্ধবাদীদের উপর বিজয় লাভের আশা (পূর্ব সূত্র) করিতেপারে।” (পূর্ব সূত্র)
স্যার সৈয়দ আহমদ খান সাহেব ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে যে সকল লোক অংশ গ্রহণ করিয়াছিল, তাহাদের সম্বন্ধে লিখেন যেঃ-
“এই সকল লোক হারাম-জাদার কাজ করিয়াছে এবং ইহাদের সহিত ইসলামের কোন সম্পর্কই নাই।” (বিস্তারিত জানার জন্য স্যার সৈয়দ আহমদ খানের “বাগায়তে হিন্দ” পুস্তক দেখুন)
আহলে সুন্নত বেরলবী ফেরকার ইমাম আলা হযরত সৈয়দ আহমদ রেজা খান সাহেব বলেন:-
“ভারতবর্ষ হইল ‘দারুল ইসলাম’। ইহাকে ‘দারুল হরব’ (যেখানে তলোয়ারের জেহাদ ফরজ) বলা কখনো সঠিক নহে।” (নুসরতুল আবরার, পৃষ্ঠা ১২৯, লাহোরে মুদ্রিত)
“১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের বিদ্রোহে যে সকল মুসলমান অংশগ্রহণ করিয়াছিল, তাহারা ভয়ানক পাপীষ্ঠ এবং কুরআন ও হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী তাহারা ছিল ফাসাদকারী, বিদ্রোহী এবং দুস্কৃতিকারী।”
তিনি আরো বলেন:-
“এই সরকারের সহিত যুদ্ধ করা বা তাহাদের সহিত যাহারা যুদ্ধ করে (তাহারা মুসলমান ভাইই হউক না কেন) তাহাদিগকে কোন প্রকারে সাহায্য করা সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা হইবে এবং একটি হারাম কাজ হইবে।” (এশায়াতুস সুন্নাহ, ৯ম খণ্ড, ১০ নম্বর, পৃষ্ঠা–৩০৮)
অতঃপর তাহার নিজ পুস্তক “ইকতেসাদ ফি মাশায়েলুল জেহাদ” এর ১৬ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে:-
“এই সকল দলিল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে ভারতবর্ষ খৃষ্টান সাম্রাজ্যের অধীন হওয়া সত্ত্বেও ইহা ‘দারুল ইসলাম’ (যেখানে তলোয়ারের যুদ্ধ নিষিদ্ধ)। আরবের হউক, আজমের হউক, সুদানী মাহদীই হউক, বা ইরানের হযরত সুলতান শাহই হউক, বা খোরাশানের আমীরই হউক—এই দেশে কোন বাদশাহরই ধর্মবুদ্ধ করা কখনো জায়েজ নয়।” (সূত্র ঐ, পৃঃ–৪৮)
অর্থাৎ ভারতের অভ্যন্তরে যাহারা বসবাস করিতেছে, তাহাদের জন্ম যুগ–বাদশাহের আনুগত্য করা এবং যুগ–সরকারের আদেশ মানা কর্তব্যতে বটেই। কিন্তু মৌলবী মোহাম্মদ হোসেন সাহেব বাটালবী এই ফতুয়া অন্যান্য দেশের জন্যও দিতেছেন—যে, তোমরা যাহারা ইংরেজ সরকারের আওতার বাহিরে বাস করিতেছ, তোমরা যদি ইংরেজ সরকারের সহিত যুদ্ধ কর, তাহা হইলে ইহা তোমাদের জন্যও হারাম হইবে। তিনি আরো বলেন: “ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং তাহাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মুসলমানদের জন্য হারাম।” (এশায়াতুস সুন্নাহ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ১০ নম্বর, পৃষ্ঠা–১৮৭)
“এই যুগে শরীয়তী জেহাদের কোন পরিস্থিতিই নাই। কেননা, এই যুগে মুসলমানদের কোন ইমাম নাই এবং সাংগঠনিক শক্তি নাই এবং ইমামতির শর্ত মওজুদ নাই।” (ইকতেসাদ ফি মাসায়েলুল জেহাদ, পৃষ্ঠা–৪২)
তাহা হইলে আজ এই ইমাম কোথা হইতে আসিয়া গেল? এই ইমামতির জন্য কি সামরিক সরকারের প্রয়োজন হইয়া থাকে? খোদা–তায়ালা সামরিক সরকারের মাধ্যমে ধর্মজগতে কবে ইমাম কায়েম করিয়াছিলেন?
অতঃপর তিনি আরো বলেন:-
“বর্তমানে মুসলমানদের না কোন ইমাম রহিয়াছে, না ইমামতির শর্ত মওজুত রহিয়াছে এবং না তাহাদের এইরূপ সাংগঠনিক শক্তি রহিয়াছে, যদ্বারা তাহারা নিজেদের বিরুদ্ধবাদীদের উপর বিজয় লাভের আশা (পূর্ব সূত্র) করিতেপারে।” (পূর্ব সূত্র)
স্যার সৈয়দ আহমদ খান সাহেব ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে যে সকল লোক অংশ গ্রহণ করিয়াছিল, তাহাদের সম্বন্ধে লিখেন যেঃ-
“এই সকল লোক হারাম-জাদার কাজ করিয়াছে এবং ইহাদের সহিত ইসলামের কোন সম্পর্কই নাই।” (বিস্তারিত জানার জন্য স্যার সৈয়দ আহমদ খানের “বাগায়তে হিন্দ” পুস্তক দেখুন)
আহলে সুন্নত বেরলবী ফেরকার ইমাম আলা হযরত সৈয়দ আহমদ রেজা খান সাহেব বলেন:-
“ভারতবর্ষ হইল ‘দারুল ইসলাম’। ইহাকে ‘দারুল হরব’ (যেখানে তলোয়ারের জেহাদ ফরজ) বলা কখনো সঠিক নহে।” (নুসরতুল আবরার, পৃষ্ঠা ১২৯, লাহোরে মুদ্রিত)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।