মুসলমান নেতারা ইংরেজদের প্রতি একান্তভাবে বিশ্বস্ত ছিলেন
বস্তুতঃ আহমদীয়াতের বর্তমান যুগের শত্রুদের মধ্য হইতেও কেহ কেহ উপরোক্ত কথা স্বীকার করিয়া লইয়াছেন। এডভোকেট মালেক মোহাম্মদ জাফর সাহেব “আহমদীয়া তাহরিক” (আহমদীয়া আন্দোলন) নামে একটি পুস্তক লিখিয়াছিলেন। উক্ত পুস্তকে তিনি লিখেন:-
“মির্যা সাহেবের যুগে তাঁহার খ্যাতনামা ও শক্তিশালী বিরুদ্ধবাদীগণ, যেমন মৌলবী মোহাম্মদ হোসেন বাটালবী, পীর মেহের আলী শাহ গোলড়াবী, মৌলবী ছানাউল্লাহ সাহেব এবং স্যার সৈয়দ আহমদ খান—ইহারা সকলেই ইংরেজদের প্রতি তেমনিভাবে বিশ্বস্ত ছিলেন যেমনভাবে মির্যা সাহেব বিশ্বস্ত ছিলেন। এই কারণেই এই যুগে মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধে যে সকল বই পুস্তক লেখা হইয়াছে, এইগুলিতে এই কথার কোন উল্লেখ দেখা যায় না যে, মির্যা সাহেব তাঁহার শিক্ষা দীক্ষায় দাসত্বের উপর সন্তুষ্ট থাকার জন্য তাকিদ করিয়াছেন।” (পৃষ্ঠা ২৪৩, লাহোরের সিন্দ সাগর একাডেমী কর্তৃক মুদ্রিত)
সুতরাং কোন কোন বিরুদ্ধবাদীও ইহা স্বীকার করিয়া লইয়াছে যে, মুসলমান আলেমদের উপর দুইটি যুগ আসিয়াছে। একটি যুগ ছিল ইংরেজদের শাসনের যুগ এবং অন্য যুগটি হইল ইহার পরের যুগ। হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের যুগের আলেমরা অন্য কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করিতেন। অর্থাৎ সকল আলেম জেহাদ সম্বন্ধে ঐ ব্যক্তব্যই উপস্থাপন করিতেন, যাহা হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম উপস্থাপন করিতেছিলেন। কিন্তু আজ আলেমদের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে। আজ ইহারা পূর্ব হইতে পশ্চিম দিকে মুখ করিয়া বসিয়াছে। যাহা হউক, সূত্র ও উদ্ধৃতিতে অনেক রহিয়াছে। কিন্তু এখন আমি কোন কোন তাজা উদ্ধৃতি দিয়া জেহাদ সম্বন্ধে আমার ব্যক্তব্য শেষ করিতেছি।
“মির্যা সাহেবের যুগে তাঁহার খ্যাতনামা ও শক্তিশালী বিরুদ্ধবাদীগণ, যেমন মৌলবী মোহাম্মদ হোসেন বাটালবী, পীর মেহের আলী শাহ গোলড়াবী, মৌলবী ছানাউল্লাহ সাহেব এবং স্যার সৈয়দ আহমদ খান—ইহারা সকলেই ইংরেজদের প্রতি তেমনিভাবে বিশ্বস্ত ছিলেন যেমনভাবে মির্যা সাহেব বিশ্বস্ত ছিলেন। এই কারণেই এই যুগে মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধে যে সকল বই পুস্তক লেখা হইয়াছে, এইগুলিতে এই কথার কোন উল্লেখ দেখা যায় না যে, মির্যা সাহেব তাঁহার শিক্ষা দীক্ষায় দাসত্বের উপর সন্তুষ্ট থাকার জন্য তাকিদ করিয়াছেন।” (পৃষ্ঠা ২৪৩, লাহোরের সিন্দ সাগর একাডেমী কর্তৃক মুদ্রিত)
সুতরাং কোন কোন বিরুদ্ধবাদীও ইহা স্বীকার করিয়া লইয়াছে যে, মুসলমান আলেমদের উপর দুইটি যুগ আসিয়াছে। একটি যুগ ছিল ইংরেজদের শাসনের যুগ এবং অন্য যুগটি হইল ইহার পরের যুগ। হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের যুগের আলেমরা অন্য কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করিতেন। অর্থাৎ সকল আলেম জেহাদ সম্বন্ধে ঐ ব্যক্তব্যই উপস্থাপন করিতেন, যাহা হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম উপস্থাপন করিতেছিলেন। কিন্তু আজ আলেমদের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে। আজ ইহারা পূর্ব হইতে পশ্চিম দিকে মুখ করিয়া বসিয়াছে। যাহা হউক, সূত্র ও উদ্ধৃতিতে অনেক রহিয়াছে। কিন্তু এখন আমি কোন কোন তাজা উদ্ধৃতি দিয়া জেহাদ সম্বন্ধে আমার ব্যক্তব্য শেষ করিতেছি।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।