মসীহ মওউদ আঃ খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে জেহাদের ঝাণ্ডা সমুন্নত করেন
এখন দেখুন, অন্যান্য আলেমদের কি ভূমিকা ছিল। তাহারা ভারতবর্ষকে ‘দারুল ইসলাম’ (যেখানে তলোয়ারের যুদ্ধ নিষেধ) ঘোষণা করিতে ছিলেন, যখন কিনা হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের ‘আরেফ বিল্লাহ’ (আল্লাহ সম্পর্কে তত্ত্বজ্ঞানী) দৃষ্টি ইহাকে ‘দারুল ইসলাম’ রূপে দেখে নাই, বরং তিনি ইহাকে ‘দারুল হরব’ (যেখানে তলোয়ারের যুদ্ধ ফরয) মনে করিয়াছেন। কেননা জেহাদের প্রকৃত তত্ত্বজ্ঞান তাঁহার ছিল। তিনি জানিতেন জেহাদ কাহাকে বলা হয়। কেননা যেখানে জেহাদ ফরয, সে-স্থান ‘দারুল ইসলাম’ হইতে পারে না। সে স্থান তো হইল ‘দারুল হরব’। কিন্তু কি অর্থে ইহা ‘দারুল হরব’? তিনি স্বয়ং ইহার ব্যাখ্যা দান করেন:-
“পাদ্রীদের মোকাবেলায় এই দেশ (অর্থাৎ ভারতবর্ষ) হইল ‘দারুল হরব’। অতএব, আমাদের নিষ্ক্রিয় বসিয়া থাকা উচিত নহে। কিন্তু স্মরণ রাখ, আমাদের যুদ্ধ হইবে তাহাদের যুদ্ধের ধরনে। যে ধরনের অস্ত্র লইয়া তাহারা ময়দানে অবর্তীর্ণ হইয়াছে, ঐ ধরনের অস্ত্র লইয়াই আমাদিগকে বাহির হইতে হইবে এবং ঐ অস্ত্র হইল ‘কলম’। এই কারণেই আল্লাহ্তায়ালা এই বিনীত দাসের নাম ‘সুলতানুল কলম’ (অর্থাৎ লেখনী সম্রাট-অনুবাদক) রাখিয়াছেন এবং আমার কলমকে ‘জুলফিকার আলী’ (অর্থাৎ আলীর তলোয়ার-অনুবাদক) আখ্যায়িত করিয়াছেন। ইহার মধ্যে এই রহস্যই নিহিত রহিয়াছে যে, এই যুগ যুদ্ধ-বিগ্রহের যুগ নহে, বরং ইহা কলমের যুগ।” (মালফুজাত, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৩২)
অতঃপর তিনি (আঃ) সম্মানীতা সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়াকে সম্বোধন করিয়া বলেন:-
“হে সম্মানীতা সম্রাজ্ঞী! আমি অবাক হইতেছি যে, তুমি পরিপূর্ণ আশীষ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ইসলাম ধর্মের অস্বীকারকারী (ইহা কি তোষামোদকারী ভাষা? যদি তোমরা তোষামোদকারী না হইয়া থাক, তাহা হইলে তোমরা কেন এইরূপ কথা বলার তওফিক লাভ কর নাই?) ... ... এবং যেরূপ চিন্তা-ভাবনা ও দুরদর্শীতার দৃষ্টি লইয়া রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনা কর, তদ্রূপ দৃষ্টি লইয়া ইসলাম সম্বন্ধে কেন চিন্তা কর না? ঘোর অন্ধকারের পরে এখন যখন সূর্য উদিত হইয়াছে, তখনও কি তুমি দেখিতে পাও না? তুমি জানিয়া রাখ, (আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করুন) সুনিশ্চিতরূপে ইসলাম ধর্মই সকল জ্যোতির আধার, সকল স্রোতস্বিনীর উৎস এবং সকল ফলের উদ্যান। সকল ধর্ম ইহারই অংশ। সুতরাং তুমি ইহার সৌন্দর্য অবলোকন কর এবং ঐ সকল লোকের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাও, যাহারা ইহা হইতে রেজেক লাভ করিয়া থাকে এবং ইহার বাগান হইতে ফলমূল খাইয়া থাকে। নিশ্চিতভাবে ঐ ধর্মই জীবিত এবং ইহা সকল কল্যাণ ও বরকতের আধার এবং নিদর্শনাবলীর বিকাশস্থল। ইহা পবিত্র কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজ হইতে বিরত রাখে এবং যে কেহ ইহার বিরুদ্ধাচরণ করে বা নাফরমানী করে, সে ব্যর্থ ও অকৃতকার্য হইয়া থাকে। হে সম্মানীতা সম্রাজ্ঞী! পার্থিব পুরস্কারের দিক হইতে খোদা তোমাকে খুব বড় আশীষে ভুষিত করিয়াছেন। সুতরাং এখন তুমি পরকালের বাদশাহীতেও মনোযোগ দাও ও আগ্রহ সৃষ্টি কর এবং তওবা কর এবং এক ও অদ্বিতীয় খোদার আজ্ঞানুবর্তীতা এখতেয়ার কর যে, নাতো তাঁহার কোন পুত্র আছে এবং নাতো বাদশাহীতে তাঁহার কোন অংশীদার আছে। সুতরাং তুমি তাঁহারই মহিমা ঘোষণা কর। তাঁহাকে ছাড়া তুমি কি উহাদিগকেও উপাস্য বানাইতেছ, যাহারা কোন বস্তু সৃষ্টি করিতে পারে না বরং উহাদিগকে সৃষ্টি করা হইয়াছে। সুতরাং যদি তুমি কোন সংশয়ে থাক, তাহা হইলে আস, আমি তোমাকে তাঁহার সত্যতার নিদর্শনাবলী দেখাইতে প্রস্তুত আছি। তিনি সর্বাবস্থায় আমার সহিত রহিয়াছেন। যখন আমি তাঁহাকে ডাকি তিনি আমার ডাকের উত্তর প্রদান করেন এবং যখন আমি তাঁহার নিকট আহ্বান জানাই তিনি আমাকে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত হন এবং যখন আমি তাঁহার সাহায্য প্রার্থনা করি, তিনি আমাকে সাহায্য করেন। আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, তিনি সর্বাবস্থায় আমাকে সাহায্য করিবেন এবং আমাকে বিনষ্ট করিবেন না। সুতরাং তুমি কি পুরস্কার ও শাস্তির দিনের ভয়ে আমার নিদর্শনাবলী ও সত্যতার প্রকাশ দেখিতে পছন্দ করিবে না? হে সম্রাজ্ঞী! তওবা কর, এবং আমার কথা শ্রবণ কর যাহাতে খোদা তোমার ধন-সম্পদ এবং তোমার প্রত্যেক বস্তু, যাহার তুমি মালেক, উহাতে কল্যাণ ও আশীষ প্রদান করেন এবং তুমি ঐ সকল লোকের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাও, যাহাদের উপর খোদার রহমতের দৃষ্টি থাকে।” (আয়নায়ে কামালাতে ইসলাম, পৃষ্ঠা ৫৩০ হইতে ৫৩৩, আরবী ভাষ্যের অনুবাদ)
“পাদ্রীদের মোকাবেলায় এই দেশ (অর্থাৎ ভারতবর্ষ) হইল ‘দারুল হরব’। অতএব, আমাদের নিষ্ক্রিয় বসিয়া থাকা উচিত নহে। কিন্তু স্মরণ রাখ, আমাদের যুদ্ধ হইবে তাহাদের যুদ্ধের ধরনে। যে ধরনের অস্ত্র লইয়া তাহারা ময়দানে অবর্তীর্ণ হইয়াছে, ঐ ধরনের অস্ত্র লইয়াই আমাদিগকে বাহির হইতে হইবে এবং ঐ অস্ত্র হইল ‘কলম’। এই কারণেই আল্লাহ্তায়ালা এই বিনীত দাসের নাম ‘সুলতানুল কলম’ (অর্থাৎ লেখনী সম্রাট-অনুবাদক) রাখিয়াছেন এবং আমার কলমকে ‘জুলফিকার আলী’ (অর্থাৎ আলীর তলোয়ার-অনুবাদক) আখ্যায়িত করিয়াছেন। ইহার মধ্যে এই রহস্যই নিহিত রহিয়াছে যে, এই যুগ যুদ্ধ-বিগ্রহের যুগ নহে, বরং ইহা কলমের যুগ।” (মালফুজাত, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৩২)
অতঃপর তিনি (আঃ) সম্মানীতা সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়াকে সম্বোধন করিয়া বলেন:-
“হে সম্মানীতা সম্রাজ্ঞী! আমি অবাক হইতেছি যে, তুমি পরিপূর্ণ আশীষ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ইসলাম ধর্মের অস্বীকারকারী (ইহা কি তোষামোদকারী ভাষা? যদি তোমরা তোষামোদকারী না হইয়া থাক, তাহা হইলে তোমরা কেন এইরূপ কথা বলার তওফিক লাভ কর নাই?) ... ... এবং যেরূপ চিন্তা-ভাবনা ও দুরদর্শীতার দৃষ্টি লইয়া রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনা কর, তদ্রূপ দৃষ্টি লইয়া ইসলাম সম্বন্ধে কেন চিন্তা কর না? ঘোর অন্ধকারের পরে এখন যখন সূর্য উদিত হইয়াছে, তখনও কি তুমি দেখিতে পাও না? তুমি জানিয়া রাখ, (আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করুন) সুনিশ্চিতরূপে ইসলাম ধর্মই সকল জ্যোতির আধার, সকল স্রোতস্বিনীর উৎস এবং সকল ফলের উদ্যান। সকল ধর্ম ইহারই অংশ। সুতরাং তুমি ইহার সৌন্দর্য অবলোকন কর এবং ঐ সকল লোকের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাও, যাহারা ইহা হইতে রেজেক লাভ করিয়া থাকে এবং ইহার বাগান হইতে ফলমূল খাইয়া থাকে। নিশ্চিতভাবে ঐ ধর্মই জীবিত এবং ইহা সকল কল্যাণ ও বরকতের আধার এবং নিদর্শনাবলীর বিকাশস্থল। ইহা পবিত্র কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজ হইতে বিরত রাখে এবং যে কেহ ইহার বিরুদ্ধাচরণ করে বা নাফরমানী করে, সে ব্যর্থ ও অকৃতকার্য হইয়া থাকে। হে সম্মানীতা সম্রাজ্ঞী! পার্থিব পুরস্কারের দিক হইতে খোদা তোমাকে খুব বড় আশীষে ভুষিত করিয়াছেন। সুতরাং এখন তুমি পরকালের বাদশাহীতেও মনোযোগ দাও ও আগ্রহ সৃষ্টি কর এবং তওবা কর এবং এক ও অদ্বিতীয় খোদার আজ্ঞানুবর্তীতা এখতেয়ার কর যে, নাতো তাঁহার কোন পুত্র আছে এবং নাতো বাদশাহীতে তাঁহার কোন অংশীদার আছে। সুতরাং তুমি তাঁহারই মহিমা ঘোষণা কর। তাঁহাকে ছাড়া তুমি কি উহাদিগকেও উপাস্য বানাইতেছ, যাহারা কোন বস্তু সৃষ্টি করিতে পারে না বরং উহাদিগকে সৃষ্টি করা হইয়াছে। সুতরাং যদি তুমি কোন সংশয়ে থাক, তাহা হইলে আস, আমি তোমাকে তাঁহার সত্যতার নিদর্শনাবলী দেখাইতে প্রস্তুত আছি। তিনি সর্বাবস্থায় আমার সহিত রহিয়াছেন। যখন আমি তাঁহাকে ডাকি তিনি আমার ডাকের উত্তর প্রদান করেন এবং যখন আমি তাঁহার নিকট আহ্বান জানাই তিনি আমাকে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত হন এবং যখন আমি তাঁহার সাহায্য প্রার্থনা করি, তিনি আমাকে সাহায্য করেন। আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, তিনি সর্বাবস্থায় আমাকে সাহায্য করিবেন এবং আমাকে বিনষ্ট করিবেন না। সুতরাং তুমি কি পুরস্কার ও শাস্তির দিনের ভয়ে আমার নিদর্শনাবলী ও সত্যতার প্রকাশ দেখিতে পছন্দ করিবে না? হে সম্রাজ্ঞী! তওবা কর, এবং আমার কথা শ্রবণ কর যাহাতে খোদা তোমার ধন-সম্পদ এবং তোমার প্রত্যেক বস্তু, যাহার তুমি মালেক, উহাতে কল্যাণ ও আশীষ প্রদান করেন এবং তুমি ঐ সকল লোকের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাও, যাহাদের উপর খোদার রহমতের দৃষ্টি থাকে।” (আয়নায়ে কামালাতে ইসলাম, পৃষ্ঠা ৫৩০ হইতে ৫৩৩, আরবী ভাষ্যের অনুবাদ)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।