ইসলামের প্রজ্ঞাপূর্ণ শিক্ষা ও মওদুদীর কুৎসাপূর্ণ অশ্রাব্য ভাষণ
মৌলবী মওদুদীর কলম হইতে কিরূপ জালেমানা ভীতপ্রদ কথা বাহির হইতেছে! তিনি কোনরূপ ভয় পাইতেছেন না! তাহার আওয়াজ শুনুন এবং কুরআন করীমের এই আওয়াজও শুনুন, فذ كران نفعت الذ كرى হে মুহাম্মাদ সাঃ! তুমি নসিহত করিতে থাক। কেননা ইহা নিশ্চিতরূপে সত্য যে তোমার নসিহত ব্যর্থ হইতে পারে না। তোমার পন্থা ও উপায়ই ভিন্ন। তোমার নসিহতে এরূপ একটি শক্তি আছে, যাহা ব্যর্থতার মুখ দেখিতে পারে না এবং যদি তোমার নসিহত সত্ত্বেও কেহ না মানে, তাহা হইলে আমি তোমাকে জবরদস্তীর অনুমতি দিই না।
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
তোমার নসিহতে সৌন্দর্য্য রহিয়াছে, ভালবাসা রহিয়াছে। তোমার কথা হৃদয়গ্রাহী। এমনটি হইতেই পারে না যে তোমার কথা শ্রবণকারীকে প্রভাবান্বিত করিবে না। আমি (অর্থাৎ খোদা) তোমাকে এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতেছি। কিন্তু যদি কোন হতভাগা ইহা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয় এবং ইহা গ্রহণ না করে, তাহা হইলে আমি তোমাকে জবরদস্তী করার অনুমতি দিই না। আমি তোমাকে দারোগা বানাই নাই, তুমি কেবলমাত্র ‘মোজাক্কের’ (যিনি বার বার স্মরণ করাইয়া থাকে إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَঅতঃপর যে কেহ অস্বীকার করিবে আমি তাহাকে পাকড়াও করিব এবং শাস্তি দিব। ইহাতো আল্লাহর কালাম। কিন্তু উহা হইল মওদুদীর কালাম, যিনি এই কথা বলিতেছেন যে:-
“কিন্তু ওয়াজ নসিহত ব্যার্থ হওয়ার পর ইসলামের আহ্বায়ক তলোয়ার হাতে লইলেন এবং
الا كل ما ثورة اودم اوصال
يدى فهو وتحت قدمى حا تبين
[ইহার অনুবাদ হইল এই যে, সাবধান! সকল প্রকার ভেদাভেদ এবং রক্তপাত ও ধনসম্পদ যাহার দিকে আহ্বান জানান হইত, অর্থাৎ যাহার দরুন যুদ্ধের দিকে ডাকা হইত, ঐগুলি আজ আমার পায়ের নীচে অবস্থিত। আপনারা জানেন যে আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এই ঘোষণা কখন প্রদান করিয়াছিলেন। তিনি সাঃ এই ঘোষণা বিদায় হজ্ব উপলক্ষে প্রদান করিয়াছিলেন এবং ইহা তাঁহার শেষ ঘোষণা ছিল। সুতরাং দেখুন, কিভাবে কথাকে বিকৃত করা হইয়াছে। ইহা অসম্ভব যে একজন ধর্মীয় আলেমের এই কথা জানা নাই যে এই ঘোষণা কোন্ উপলক্ষে করা হইয়াছে। কিন্তু তিনি (অর্থাৎ মওদুদী সাহেব-অনুবাদক) কোন্ যুগে লইয়া গিয়া ইহাকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করিতেছেন।]
“ঘোষণা করিয়া সকল আভিজাত্যগত পার্থক্যের সমাপ্তি টানিলেন। তিনি সাঃ সম্মান ও ক্ষমতার সকল প্রচলিত প্রতিমাকে ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন, দেশে একটি সুসংহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত সরকার কায়েম করিলেন, নৈতিক আইনসমূহকে বলপূর্বক প্রয়োগ করিয়া ঐ সকল অপরাধ ও পাপের স্বাধীনতাকে ছিনাইয়া লইলেন, যাহার স্বাদ তাহাদিগকে উন্মত্ত করিয়া রাখিয়াছিল এবং ঐ শান্তিপূর্ণ পরিমণ্ডল সৃষ্টি করিলেন, যাহা নৈতিক গুণাবলী এবং মানবিক সৌন্দর্যের উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনের জন্য সর্বদা অপরিহার্য্য।”
এই কথাটিকে আসবারণ এইভাবে বলেন যে, বিধবা ও এতিমদের আর্তচিৎকারের মধ্যে তিনি (সাঃ) নিজ ধর্ম প্রচার করেন। ইহার পরতো ক্রন্দনরত ও চিৎকাররত লোকদের কোন এক সময় ঘুম আসিয়া যায়।
ইহার নাম মওদুদী সাহেব রাখিয়াছেন “স্বস্তি” (অর্থাৎ বিরুদ্ধবাদীর কণ্ঠ নিস্তব্ধ হইয়া গিয়াছে)। বস্তুতঃ মওদুদী সাহেব ইহার পর আরও লিখেন:-
“তিনি (সাঃ) তলোয়ার হাতে লওয়ার পর মানুষের মন হইতে ক্রমে ক্রমে পাপ ও দুষ্কৃতির কালিমা দূর হইতে লাগিল। তাহাদের প্রকৃতি হইতে আপনা-আপনি ক্লেদ দূর হইয়া গেল। তাহাদের মনের গ্লানি পরিষ্কার হইয়া গেল।”
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
তোমার নসিহতে সৌন্দর্য্য রহিয়াছে, ভালবাসা রহিয়াছে। তোমার কথা হৃদয়গ্রাহী। এমনটি হইতেই পারে না যে তোমার কথা শ্রবণকারীকে প্রভাবান্বিত করিবে না। আমি (অর্থাৎ খোদা) তোমাকে এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতেছি। কিন্তু যদি কোন হতভাগা ইহা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয় এবং ইহা গ্রহণ না করে, তাহা হইলে আমি তোমাকে জবরদস্তী করার অনুমতি দিই না। আমি তোমাকে দারোগা বানাই নাই, তুমি কেবলমাত্র ‘মোজাক্কের’ (যিনি বার বার স্মরণ করাইয়া থাকে إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَঅতঃপর যে কেহ অস্বীকার করিবে আমি তাহাকে পাকড়াও করিব এবং শাস্তি দিব। ইহাতো আল্লাহর কালাম। কিন্তু উহা হইল মওদুদীর কালাম, যিনি এই কথা বলিতেছেন যে:-
“কিন্তু ওয়াজ নসিহত ব্যার্থ হওয়ার পর ইসলামের আহ্বায়ক তলোয়ার হাতে লইলেন এবং
الا كل ما ثورة اودم اوصال
يدى فهو وتحت قدمى حا تبين
[ইহার অনুবাদ হইল এই যে, সাবধান! সকল প্রকার ভেদাভেদ এবং রক্তপাত ও ধনসম্পদ যাহার দিকে আহ্বান জানান হইত, অর্থাৎ যাহার দরুন যুদ্ধের দিকে ডাকা হইত, ঐগুলি আজ আমার পায়ের নীচে অবস্থিত। আপনারা জানেন যে আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এই ঘোষণা কখন প্রদান করিয়াছিলেন। তিনি সাঃ এই ঘোষণা বিদায় হজ্ব উপলক্ষে প্রদান করিয়াছিলেন এবং ইহা তাঁহার শেষ ঘোষণা ছিল। সুতরাং দেখুন, কিভাবে কথাকে বিকৃত করা হইয়াছে। ইহা অসম্ভব যে একজন ধর্মীয় আলেমের এই কথা জানা নাই যে এই ঘোষণা কোন্ উপলক্ষে করা হইয়াছে। কিন্তু তিনি (অর্থাৎ মওদুদী সাহেব-অনুবাদক) কোন্ যুগে লইয়া গিয়া ইহাকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করিতেছেন।]
“ঘোষণা করিয়া সকল আভিজাত্যগত পার্থক্যের সমাপ্তি টানিলেন। তিনি সাঃ সম্মান ও ক্ষমতার সকল প্রচলিত প্রতিমাকে ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন, দেশে একটি সুসংহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত সরকার কায়েম করিলেন, নৈতিক আইনসমূহকে বলপূর্বক প্রয়োগ করিয়া ঐ সকল অপরাধ ও পাপের স্বাধীনতাকে ছিনাইয়া লইলেন, যাহার স্বাদ তাহাদিগকে উন্মত্ত করিয়া রাখিয়াছিল এবং ঐ শান্তিপূর্ণ পরিমণ্ডল সৃষ্টি করিলেন, যাহা নৈতিক গুণাবলী এবং মানবিক সৌন্দর্যের উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনের জন্য সর্বদা অপরিহার্য্য।”
এই কথাটিকে আসবারণ এইভাবে বলেন যে, বিধবা ও এতিমদের আর্তচিৎকারের মধ্যে তিনি (সাঃ) নিজ ধর্ম প্রচার করেন। ইহার পরতো ক্রন্দনরত ও চিৎকাররত লোকদের কোন এক সময় ঘুম আসিয়া যায়।
ইহার নাম মওদুদী সাহেব রাখিয়াছেন “স্বস্তি” (অর্থাৎ বিরুদ্ধবাদীর কণ্ঠ নিস্তব্ধ হইয়া গিয়াছে)। বস্তুতঃ মওদুদী সাহেব ইহার পর আরও লিখেন:-
“তিনি (সাঃ) তলোয়ার হাতে লওয়ার পর মানুষের মন হইতে ক্রমে ক্রমে পাপ ও দুষ্কৃতির কালিমা দূর হইতে লাগিল। তাহাদের প্রকৃতি হইতে আপনা-আপনি ক্লেদ দূর হইয়া গেল। তাহাদের মনের গ্লানি পরিষ্কার হইয়া গেল।”
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।