তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদদের ধারণা
পবিত্রকরণ শক্তি, বুঝানো-সুঝানো, আলোচনা, দোয়া—এইগুলি যখন প্রভাব সৃষ্টি করিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হইয়া গেল (নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক), তখন মওদুদী সাহেবের উক্তি অনুযায়ী তলোয়ার চালানো হইল এবং ইহা যাবতীয় কাজ সম্পাদন করিয়া দেখাইয়া দিল। এইজন্য মওদুদী সাহেব বলেন:-
“কেবলমাত্র চক্ষুই আবরণমুক্ত হইয়া সত্যের আলো দৃশ্যমান হইল না, পরন্তু তাহাদিগের ঘাড়ের সেই কঠোরতা এবং তাহাদিগের মস্তিষ্কে সেই অহংকারও রহিল না, যাহা সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর মানুষকে উহার সম্মুখে নতি স্বীকারে বিরত রাখে। আরবের ন্যায় অন্য দেশগুলিও এত তাড়াতাড়ী ইসলাম গ্রহণ করিল যে, এক শতাব্দীর মধ্যে এক চতুর্থাংশ পৃথিবী মুসলমান হইয়া পড়িল। ইহার কারণ এই ছিল যে, ইসলামের তলোয়ার হৃদয়ের উপরস্থিত সকল আবরণ ছিন্ন-ভিন্ন করিয়া দিল।” (আল-জেহাদ ফিল ইসলাম, ১৩৭-১৩৮ পৃষ্ঠা)
ইহা কোন্ আবরণ? ইহা সম্বন্ধে কুরআন করীম বলে, ختم الله على قلوبهم و على سمعهم و على ابصارهم غشاوة (‘তাহাদের হৃদয় ও কর্ণের উপর আল্লাহ মোহর মারিয়া দিলেন এবং তাহাদের চক্ষুর উপর আবরণ রহিয়াছে’ - অনুবাদক) ইহারা ঐ সমস্ত লোক, যাহারা ঈমান আনিবে না।
سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ ءَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
এখানে “ছাওয়ায়ুন আলাইহিম” ওয়ালাদের ছবি অংকন করা হইয়াছে। আল্লাহ্তায়ালা বলেন যে, যুলুম-নির্যাতনের আবরণ ছিন্ন হয় না। কিন্তু মওদুদী সাহেব বলেন, আল্লাহ্ কিছু জানেন না; তিনি জানেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তলোয়ার ধারণ করা হয় নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত আবরণ ছিন্ন হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তলোয়ার ধারণ করা হয় নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহতায়ালা সঠিক কথা বলিতেছিলেন; কিন্তু যখন তলোয়ার ধারণ করা হয় নাই তখন সকল আবরণ ছিন্ন-ভিন্ন হইয়া গেল।
“কেবলমাত্র চক্ষুই আবরণমুক্ত হইয়া সত্যের আলো দৃশ্যমান হইল না, পরন্তু তাহাদিগের ঘাড়ের সেই কঠোরতা এবং তাহাদিগের মস্তিষ্কে সেই অহংকারও রহিল না, যাহা সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর মানুষকে উহার সম্মুখে নতি স্বীকারে বিরত রাখে। আরবের ন্যায় অন্য দেশগুলিও এত তাড়াতাড়ী ইসলাম গ্রহণ করিল যে, এক শতাব্দীর মধ্যে এক চতুর্থাংশ পৃথিবী মুসলমান হইয়া পড়িল। ইহার কারণ এই ছিল যে, ইসলামের তলোয়ার হৃদয়ের উপরস্থিত সকল আবরণ ছিন্ন-ভিন্ন করিয়া দিল।” (আল-জেহাদ ফিল ইসলাম, ১৩৭-১৩৮ পৃষ্ঠা)
ইহা কোন্ আবরণ? ইহা সম্বন্ধে কুরআন করীম বলে, ختم الله على قلوبهم و على سمعهم و على ابصارهم غشاوة (‘তাহাদের হৃদয় ও কর্ণের উপর আল্লাহ মোহর মারিয়া দিলেন এবং তাহাদের চক্ষুর উপর আবরণ রহিয়াছে’ - অনুবাদক) ইহারা ঐ সমস্ত লোক, যাহারা ঈমান আনিবে না।
سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ ءَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
এখানে “ছাওয়ায়ুন আলাইহিম” ওয়ালাদের ছবি অংকন করা হইয়াছে। আল্লাহ্তায়ালা বলেন যে, যুলুম-নির্যাতনের আবরণ ছিন্ন হয় না। কিন্তু মওদুদী সাহেব বলেন, আল্লাহ্ কিছু জানেন না; তিনি জানেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তলোয়ার ধারণ করা হয় নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত আবরণ ছিন্ন হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তলোয়ার ধারণ করা হয় নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহতায়ালা সঠিক কথা বলিতেছিলেন; কিন্তু যখন তলোয়ার ধারণ করা হয় নাই তখন সকল আবরণ ছিন্ন-ভিন্ন হইয়া গেল।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।