রাসুল করিম (সাঃ)-এর পবিত্রকরণ শক্তি ও দোয়াই বিপ্লব ঘটাইয়াছিল
ইতিহাস সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ ব্যক্তির পক্ষেই এইরূপ লিখা সম্ভব হইতে পারে। এই ঘোষণার এক একটি শব্দকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিটি মুসলমান মিথ্যা প্রতিপন্ন করিতেছে। এই ঘোষণার একএকটি শব্দকে চীনের চার প্রদেশের অধিবাসী, যাহাদের সকলে মুসলমান হইয়া গিয়াছে, তাহারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করিতেছে। ইসলামের কোন তলোয়ার ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে নাই, না মালয়ে পৌঁছিয়াছিল, না চীনে পৌঁছিয়াছিল। তাহাদের এক একটি শিশু, তাহাদের এক একজন স্ত্রীলোক, তাহাদের এক একজন পুরুষ, তাহাদের এক একজন যুবক এবং তাহাদের এক একজন বৃদ্ধ মওদুদী সাহেবের এই ঘোষণাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করিতেছে এবং ঘোষণা করিতেছে যে, খোদার কসম, মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের তলোয়ার নহে, তাঁহার (সাঃ) সৌন্দর্য্য আমাদিগকে আকৃষ্ট করিয়াছিল, এবং তাঁর সৌন্দর্য্য, পবিত্রকরণ শক্তি আমাদের হৃদয় জয় করিয়াছিল। বিপ্লব কিরূপে সংঘটিত হইয়াছিল এবং ইহা কোন্ জেহাদ ছিল, যাহার দরুন আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের মহান বিজয় লাভের সৌভাগ্য ঘটিয়াছিল – ইহা সম্বন্ধে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম বলেন যে, আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বিপ্লব দোয়া’র ফলেই সংঘটিত হইয়াছিল। তিনি (আঃ) বলেন:-
“আরবের বিয়াবানে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়াছিল। লক্ষ লক্ষ মৃত ব্যক্তি অল্প কিছু দিনের মধ্যে জীবিত হইয়া গেল। অতীতের বিকৃত মানুষগুলি খোদার রঙে রঙীন হইয়া গেল। অন্ধরা চক্ষুস্মান হইল। মুকদের কণ্ঠে খোদার তত্ত্বজ্ঞান জারী হইল। পৃথিবীতে একবারই এইরূপ বিপ্লব ঘটিল। পূর্বে না কেহ ইহা দেখিয়াছে, না কেহ শুনিয়াছে। তোমরা কি জান, উহা কি ছিল? উহা একজন ‘ফানা ফিল্লাহ’র (যিনি আল্লাহতে বিলীন হইয়াছেন) অন্ধকার গভীর রাত্রির দোয়া’ইতো ছিল। তিনি পৃথিবীতে এক শোর সৃষ্টি করিয়া দিলেন এবং ঐ অদ্ভুত ঘটনা ঘটাইয়া দেখাইলেন, যাহা এই নিরক্ষর অসহায় ব্যক্তির পক্ষে এক অসম্ভব ব্যাপার বলিয়া মনে হইতেছিল।” (বারাকাতুদ-দোয়া, পৃঃ ৭)
হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের উপরোক্ত লিখার পাশাপাশি মওদুদী সাহেবের লেখা পড়িয়া দেখুন। উভয় লিখার মধ্যে একটি পার্থক্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট। উভয় লিখায় আসমান–জমীন পার্থক্য রহিয়াছে। একদিকে সত্যের রূহ্ ও ইসলামের রূহ্ কথা বলিতেছে, যাহা হযরতে আকদাস মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের পবিত্র হৃদয়ের উপর বিকশিত হইয়াছে এবং পবিত্র বাণীর আকারে তাঁহার (আঃ) পবিত্র কণ্ঠে জারী হইয়াছে। ইহা ঐ আওয়াজ, যাহা আমাদিগকে ইসলামের বিজয়ের শক্তির উৎসের পথ দেখাইয়াছে এবং আমাদের আত্মার তৃষ্ণা নিবারণ করিয়াছে। ইহা এই অনাদি অনন্ত সত্যের সহিত আমাদিগকে নিবিড়ভাবে পরিচয় করাইয়া দিয়াছে যে, মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বিজয় ও শক্তি এবং ঐশ্বর্য ও গৌরবের রহস্য তাঁহার (সাঃ) পবিত্রকরণ শক্তির মধ্যে নিহিত ছিল, যাহা মঞ্জূরীপ্রাপ্ত দোয়ার আকারে মেঘমালা হইয়া উঠিয়াছিল এবং বিরুদ্ধাচরণের যে আগুন আরবের মরুভূমিতে জ্বালাইয়া দেওয়া হইয়াছিল, উক্ত মেঘমালা এই আগুনকে শীতল করিয়া দিয়াছিল এবং জল-স্থলকে সিঞ্চিত করিয়াছিল এবং এইরূপ জীবন-বারী বর্ষণ করিয়াছিল, যাহা ধূসর মরুভুমিকে শ্যামল এবং বিরানভূমিকে পুষ্পোদ্যানে পরিণত করিয়া দিয়াছিল এবং মৃত জমীনকে জীবিত করিয়া দিয়াছিল।
“আরবের বিয়াবানে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়াছিল। লক্ষ লক্ষ মৃত ব্যক্তি অল্প কিছু দিনের মধ্যে জীবিত হইয়া গেল। অতীতের বিকৃত মানুষগুলি খোদার রঙে রঙীন হইয়া গেল। অন্ধরা চক্ষুস্মান হইল। মুকদের কণ্ঠে খোদার তত্ত্বজ্ঞান জারী হইল। পৃথিবীতে একবারই এইরূপ বিপ্লব ঘটিল। পূর্বে না কেহ ইহা দেখিয়াছে, না কেহ শুনিয়াছে। তোমরা কি জান, উহা কি ছিল? উহা একজন ‘ফানা ফিল্লাহ’র (যিনি আল্লাহতে বিলীন হইয়াছেন) অন্ধকার গভীর রাত্রির দোয়া’ইতো ছিল। তিনি পৃথিবীতে এক শোর সৃষ্টি করিয়া দিলেন এবং ঐ অদ্ভুত ঘটনা ঘটাইয়া দেখাইলেন, যাহা এই নিরক্ষর অসহায় ব্যক্তির পক্ষে এক অসম্ভব ব্যাপার বলিয়া মনে হইতেছিল।” (বারাকাতুদ-দোয়া, পৃঃ ৭)
হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের উপরোক্ত লিখার পাশাপাশি মওদুদী সাহেবের লেখা পড়িয়া দেখুন। উভয় লিখার মধ্যে একটি পার্থক্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট। উভয় লিখায় আসমান–জমীন পার্থক্য রহিয়াছে। একদিকে সত্যের রূহ্ ও ইসলামের রূহ্ কথা বলিতেছে, যাহা হযরতে আকদাস মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামের পবিত্র হৃদয়ের উপর বিকশিত হইয়াছে এবং পবিত্র বাণীর আকারে তাঁহার (আঃ) পবিত্র কণ্ঠে জারী হইয়াছে। ইহা ঐ আওয়াজ, যাহা আমাদিগকে ইসলামের বিজয়ের শক্তির উৎসের পথ দেখাইয়াছে এবং আমাদের আত্মার তৃষ্ণা নিবারণ করিয়াছে। ইহা এই অনাদি অনন্ত সত্যের সহিত আমাদিগকে নিবিড়ভাবে পরিচয় করাইয়া দিয়াছে যে, মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বিজয় ও শক্তি এবং ঐশ্বর্য ও গৌরবের রহস্য তাঁহার (সাঃ) পবিত্রকরণ শক্তির মধ্যে নিহিত ছিল, যাহা মঞ্জূরীপ্রাপ্ত দোয়ার আকারে মেঘমালা হইয়া উঠিয়াছিল এবং বিরুদ্ধাচরণের যে আগুন আরবের মরুভূমিতে জ্বালাইয়া দেওয়া হইয়াছিল, উক্ত মেঘমালা এই আগুনকে শীতল করিয়া দিয়াছিল এবং জল-স্থলকে সিঞ্চিত করিয়াছিল এবং এইরূপ জীবন-বারী বর্ষণ করিয়াছিল, যাহা ধূসর মরুভুমিকে শ্যামল এবং বিরানভূমিকে পুষ্পোদ্যানে পরিণত করিয়া দিয়াছিল এবং মৃত জমীনকে জীবিত করিয়া দিয়াছিল।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।