আমি খোদার নিকট তাঁর সন্তান তুল্য
আপত্তিঃ হযরত মির্যা সাহেব ‘আরবাঈন’ পুস্তকে লিখেছেন, “আমি খোদার নিকট তাঁর সন্তান তুল্য।”।
উত্তরঃ হযরত মির্যা সাহেব লিখেছেন, "আমি খোদার নিকট তাঁর সন্তান তুল্য" (আরবাঈন)। আপত্তিকারীর উদ্ধৃতিটি আরবাঈন পুস্তক থেকে নয়।
(ক) হযরত মির্যা সাহেবের আসল লেখাটি হলো তাঁর কিতাব ‘হাকীকাতুল ওহী’ হতে। মূল এবারতটি হলো:
انت منی بمنزلة ولدى (حقيقة الوحى ٧٦)
ইহা একটি ইলহাম, যার অর্থ হলো, “তুমি আমার নিকটে আমার সন্তানতুল্য” (হাকীকাতুল ওহী, ৮৬ পৃঃ)।
খোদাতাআলা এই এলহাম দ্বারা ইহা বলতে চেয়েছেন যে, তুমি আমার নৈকট্যপ্রাপ্ত, প্রিয়।
(খ) ولدى ‘আমার পুত্র’ এখানে আলংকারিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মর্ম হলো আমার নৈকট্যপ্রাপ্ত, অতি প্রিয়।
(গ) মাওলানা রুম বলেনঃ
اولیاء اطفال حق انداے پسر
অর্থাৎ হে পুত্র! আওলিয়ারা খোদার পুত্র।
(ঘ) আওলিয়ারা যে খোদার পুত্র তা রূপকভাবে বলা হয়েছে, ঠিক যেভাবে হাদীসে বর্ণিত আছেঃ
الخلق عيال الله فاحب الخلق الى الله من احسن الى عياله - (مشكوة باب الشفقة )
অর্থাৎ সমস্ত মানবজাতি আল্লাহ্র পরিবার। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই যে আল্লাহ্ পরিবারের সাথে ভালো ব্যবহার করে (মিশকাত বাব আশাফাকাত)। হযরত মির্যা সাহেবের যে ইলহামের উপর দোষারোপ করা হয়েছে, সেখানেও উপরোক্ত হাদীসের মর্মই প্রযোজ্য। কাজেই এতে দোষের কিছুই নেই।
(ঙ) হযরত মির্যা সাহেব নিজেই তাঁর উপরোক্ত ইলহামের ব্যাখ্যা ইলহামের সাথেই দিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন,
“মনে রেখো খোদার কোন পুত্র নেই, তিনি ইহা হতে পবিত্র। তাঁর কোন অংশীদার নেই। কারও কোন অধিকার নেই যে, সে নিজেকে খোদা বা খোদার পুত্র বলে অভিহিত করে। কিন্তু আমাকে যে সম্বোধন করা হয়েছে, সেখানে রূপক এবং আলংকারিকভাবে করা হয়েছে। যেইভাবে খোদাতাআলা কুরআনে বলেছেনঃ
يدالله فوق ايديهم
(আল্ ফাত্হঃ ১১ আয়াত) অর্থাৎ “তাদের হাতের উপর আল্লাহ্র হাত” (হাকীকাতুল ওহী ৮৬ পৃঃ টিকা)।
(চ) কুরআন মাজীদে আল্লাহতাআলা বলেন,
فاذكروا الله كذكركم آباء كم او اشد ذكرا
অর্থাৎ তোমরা আল্লাহতাআলাকে তোমাদের পিতৃপুরুষগণের মত স্মরণ কর (বাকারাঃ ২০১ আয়াত) এখানে আল্লাহতাআলা নিজেকে আমাদের পিতার সমতুল্য বলেছেন। এখানে আল্লাহতালা নিজেকে রূপকভাবে তোমাদের পিতা বলেছেন। তেমনি তিনি রূপকভাবে কোন ব্যক্তিকে তাঁর পুত্রও বলতে পারেন।
প্রমাণ হলো, অপবাদটি উদ্দেশ্যমূলক, ইহা কুফরী মতবাদ নয়।
(পুস্তকঃ অযথা বিভ্রান্তি)
উত্তরঃ হযরত মির্যা সাহেব লিখেছেন, "আমি খোদার নিকট তাঁর সন্তান তুল্য" (আরবাঈন)। আপত্তিকারীর উদ্ধৃতিটি আরবাঈন পুস্তক থেকে নয়।
(ক) হযরত মির্যা সাহেবের আসল লেখাটি হলো তাঁর কিতাব ‘হাকীকাতুল ওহী’ হতে। মূল এবারতটি হলো:
انت منی بمنزلة ولدى (حقيقة الوحى ٧٦)
ইহা একটি ইলহাম, যার অর্থ হলো, “তুমি আমার নিকটে আমার সন্তানতুল্য” (হাকীকাতুল ওহী, ৮৬ পৃঃ)।
খোদাতাআলা এই এলহাম দ্বারা ইহা বলতে চেয়েছেন যে, তুমি আমার নৈকট্যপ্রাপ্ত, প্রিয়।
(খ) ولدى ‘আমার পুত্র’ এখানে আলংকারিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মর্ম হলো আমার নৈকট্যপ্রাপ্ত, অতি প্রিয়।
(গ) মাওলানা রুম বলেনঃ
اولیاء اطفال حق انداے پسر
অর্থাৎ হে পুত্র! আওলিয়ারা খোদার পুত্র।
(ঘ) আওলিয়ারা যে খোদার পুত্র তা রূপকভাবে বলা হয়েছে, ঠিক যেভাবে হাদীসে বর্ণিত আছেঃ
الخلق عيال الله فاحب الخلق الى الله من احسن الى عياله - (مشكوة باب الشفقة )
অর্থাৎ সমস্ত মানবজাতি আল্লাহ্র পরিবার। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই যে আল্লাহ্ পরিবারের সাথে ভালো ব্যবহার করে (মিশকাত বাব আশাফাকাত)। হযরত মির্যা সাহেবের যে ইলহামের উপর দোষারোপ করা হয়েছে, সেখানেও উপরোক্ত হাদীসের মর্মই প্রযোজ্য। কাজেই এতে দোষের কিছুই নেই।
(ঙ) হযরত মির্যা সাহেব নিজেই তাঁর উপরোক্ত ইলহামের ব্যাখ্যা ইলহামের সাথেই দিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন,
“মনে রেখো খোদার কোন পুত্র নেই, তিনি ইহা হতে পবিত্র। তাঁর কোন অংশীদার নেই। কারও কোন অধিকার নেই যে, সে নিজেকে খোদা বা খোদার পুত্র বলে অভিহিত করে। কিন্তু আমাকে যে সম্বোধন করা হয়েছে, সেখানে রূপক এবং আলংকারিকভাবে করা হয়েছে। যেইভাবে খোদাতাআলা কুরআনে বলেছেনঃ
يدالله فوق ايديهم
(আল্ ফাত্হঃ ১১ আয়াত) অর্থাৎ “তাদের হাতের উপর আল্লাহ্র হাত” (হাকীকাতুল ওহী ৮৬ পৃঃ টিকা)।
(চ) কুরআন মাজীদে আল্লাহতাআলা বলেন,
فاذكروا الله كذكركم آباء كم او اشد ذكرا
অর্থাৎ তোমরা আল্লাহতাআলাকে তোমাদের পিতৃপুরুষগণের মত স্মরণ কর (বাকারাঃ ২০১ আয়াত) এখানে আল্লাহতাআলা নিজেকে আমাদের পিতার সমতুল্য বলেছেন। এখানে আল্লাহতালা নিজেকে রূপকভাবে তোমাদের পিতা বলেছেন। তেমনি তিনি রূপকভাবে কোন ব্যক্তিকে তাঁর পুত্রও বলতে পারেন।
প্রমাণ হলো, অপবাদটি উদ্দেশ্যমূলক, ইহা কুফরী মতবাদ নয়।
(পুস্তকঃ অযথা বিভ্রান্তি)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।