আপত্তির জবাব

কাদিয়ানে হজ্জ করতে বলেছেন

হযরত মির্যা সাহেবের উপর এই অপবাদ দেযা হয় যে, তিনি কাদিয়ানে হজ্জ করতে বলেছেন। অথবা বলা হয় যে, আহমদীদের হজ্জ হয় কাদিয়ানে। এই অপবাদটি অতি বড় মিথ্যা ও জাজ্বল্যমান জালিয়াতি! আহমদীয়া জামাতের ধর্ম-বিশ্বাস এই জামাতের প্রকাশিত প্রায় সকল পুস্তক-পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। সুধী পাঠকবৃন্দ তা অনায়াসে দেখতে পারেন। আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রথম খলীফা ও দ্বিতীয় খলীফা এবং আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও বায়তুল্লাহ্ (কা’বা) শরীফের হজ্জ করেছেন। সুতরাং সাহেবযাদা আবদুল লতীফ সাহেবকে কাদিয়ানে হজ্জের জন্য বলা, কথাটি সম্পূর্ণভাবে মনগড়া মিথ্যা।

তবে এটা জানা আবশ্যক যে, সূফীগণ বুযর্গদের দর্শনকেও হজ্জ বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন বড় পীর গাওসুল আযম আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) তাঁর পুস্তক “আল্ ফাতহুর রব্বানী’র ৪৩তম মজলিসে বলেন,

جاهل پهلے میرا حج کرپھر بیت اللہ کاحج کر ـ مــیـں کـعـبـه کادروازہ میرے پاس ا

অর্থাৎ মুর্খ প্রথমে আমার হজ্জ কর; তারপরে বায়তুল্লাহ্‌র হজ্জ কর। আমি কা’বার দরজা। আমার নিকট আইস।

সুলতানুল মাশায়েখ হযরত আবুল হাসান খিরকানী (রহঃ) বলেন,

ايك مؤمن کی زیارت کر نے کاثواب سو مقبول حجون میں نہ پاؤگے


অর্থাৎ এক মু’মিন ব্যক্তির যিয়ারত (দর্শন)-এর সওয়াব একশ’ মকবুল হজ্জেও পাবেন না (জহুরুল আসফিয়া, ৫০৪ পৃঃ)।

‘তাযকেরাতুল আওলিয়াতে’ হযরত বায়েযীদ বুস্তামী (রহঃ), হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ) এবং আরও অন্যান্য বুযর্গানের অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে. হযরত রসূল করীম (সঃ) বলেছেনঃ

من قضى لاخيه المسلم حاجة كان له من الاجركمن حج - (جامع الصغير للسير طی جلد ۲ ص ۱۷۸)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের কোন অভাবকে পুরণ করে দিবে, তার জন্য হজ্জকারী ব্যক্তির মতই পুরস্কার রয়েছে (জামেউস সগীর লিস্ সূউতী, দ্বিতীয় খণ্ড, ১৭৮ পৃঃ)।

(পুস্তকঃ অযথা বিভ্রান্তি)

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।