তাঁর লেখায় মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে আপত্তি
১ ও ৪. আপত্তি : হযরত মসীহ মওউদ (মির্যা কাদিয়ানী) এ ব্যাপারে অনেক তাগিদ দিয়েছে যে, এখানে (কাদিয়ান) যে ব্যক্তি বারবার আসবে না, তার ঈমানের ব্যাপারে আমার আশংকা আছে। যে কাদিয়ানের সাথে সম্পর্ক রাখবে না, সে আলাদা হয়ে যাবে। তোমরা সতর্ক হও। যাতে তোমাদের মধ্যে কেউ আলাদা না হয়। তারপর এই তাজা দুধ (মক্কা-মদীনা) আর কতদিন থাকবে? একদিন তো মায়ের দুধও শুকিয়ে যায়। মক্কা-মদীনার বুক থেকে কি সেই দুধ এখনো শুকায়নি? (হাকীকতে রুইয়া ৪৬)
কাদিয়ান কি? আল্লাহর গাম্ভীর্যতা ও কুদরতের প্রজ্জলিত আলামত। কাদিয়ান আল্লাহর মসীহর (মির্যা সাহেব) জন্ম ও বাসভূমি এবং সমাধি। (আল ফযল, ৩ সেপ্টেম্বর ১৯২১)
উত্তর: যারা মসীহ্ মাওউদ (আ.)-এর হাতে বয়াত করে আহমদীয়া জামা’তে দীক্ষা নিবে তাদের জন্য তাদের ইমামের জন্মভূমি, তার আবাসস্থল, তাঁর সমাধীস্থল অবশ্যই পবিত্র ও আল্লাহ্ নিদর্শনের বিকাশস্থল এবং পবিত্র ভূমি হিসাবে গণ্য হবে। আপত্তিকারীর বিশ্বাস মতে যে বা যিনিই সত্যিকার ইমাম মাহদী বা মসীহ্ হয়ে আসবেন তাঁর জন্মভূমি ও আবাসস্থল সম্পর্কে তাঁর অনুভূতি কী হবে?
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
কাদিয়ান কি? আল্লাহর গাম্ভীর্যতা ও কুদরতের প্রজ্জলিত আলামত। কাদিয়ান আল্লাহর মসীহর (মির্যা সাহেব) জন্ম ও বাসভূমি এবং সমাধি। (আল ফযল, ৩ সেপ্টেম্বর ১৯২১)
উত্তর: যারা মসীহ্ মাওউদ (আ.)-এর হাতে বয়াত করে আহমদীয়া জামা’তে দীক্ষা নিবে তাদের জন্য তাদের ইমামের জন্মভূমি, তার আবাসস্থল, তাঁর সমাধীস্থল অবশ্যই পবিত্র ও আল্লাহ্ নিদর্শনের বিকাশস্থল এবং পবিত্র ভূমি হিসাবে গণ্য হবে। আপত্তিকারীর বিশ্বাস মতে যে বা যিনিই সত্যিকার ইমাম মাহদী বা মসীহ্ হয়ে আসবেন তাঁর জন্মভূমি ও আবাসস্থল সম্পর্কে তাঁর অনুভূতি কী হবে?
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
২. আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন। (পয়গামে সুলহ ১৯ এপ্রিল ১৯৩৩)
উত্তর : ছায়া হজ্জের কোন বিধান ইসলামে নেই। ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব যে পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে ছায়া হজ্জের প্রসঙ্গ টেনেছেন এই পত্রিকাটি আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পত্রিকাই নয়। আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর মৃত্যুর আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ইসলামী শিক্ষা ব্যক্ত করে ১৯০৮ সালে পয়গামে সুলেহ নামক একটি পুস্তিকা রচনা করেন। ‘আল্লামা’ ১৯শে এপ্রিল ১৯৩৩ সালের পয়গামে সুলেহ এক পত্রিকার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। এই প্রত্রিকাটি আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক মতবাদ প্রচারে লিপ্ত আর আহমদীয়া খিলাফতের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত। এই বিদ্বেষীদের উদ্ধৃতি দিয়ে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বক্তব্য উপস্থাপন করা আপনার মত ‘গবেষক আল্লামা’-র শোভা পায় না। এখন দেখুন হজ্জ সম্বন্ধে হযরত মির্যা সাহেবের শিক্ষা কি? তিনি বলেছেন, হযরত মসীহ্ মাওউদ (আ.) বলেন, ‘যার জন্য হজ্জ ফরজ হয়েছে আর এই হজ্জ পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই সে যেন হজ্জ করে। পুণ্যকাজ সুচারুরূপে আদায় কর আর পাপ ও নোংরামী অবজ্ঞাভরে পরিহার কর। মনে রাখবে, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তাকওয়াশূন্য কোন আমল গৃহীত হয় না। কেননা তাকওয়াই হল সকল পুণ্যের মূল। যে কাজে এই মূল নষ্ট হবে না তার কর্মও বৃথা যাবে না। (রূহানী খাযায়েন ১৯শ খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫)
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
উত্তর : ছায়া হজ্জের কোন বিধান ইসলামে নেই। ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব যে পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে ছায়া হজ্জের প্রসঙ্গ টেনেছেন এই পত্রিকাটি আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পত্রিকাই নয়। আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর মৃত্যুর আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ইসলামী শিক্ষা ব্যক্ত করে ১৯০৮ সালে পয়গামে সুলেহ নামক একটি পুস্তিকা রচনা করেন। ‘আল্লামা’ ১৯শে এপ্রিল ১৯৩৩ সালের পয়গামে সুলেহ এক পত্রিকার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। এই প্রত্রিকাটি আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক মতবাদ প্রচারে লিপ্ত আর আহমদীয়া খিলাফতের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত। এই বিদ্বেষীদের উদ্ধৃতি দিয়ে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বক্তব্য উপস্থাপন করা আপনার মত ‘গবেষক আল্লামা’-র শোভা পায় না। এখন দেখুন হজ্জ সম্বন্ধে হযরত মির্যা সাহেবের শিক্ষা কি? তিনি বলেছেন, হযরত মসীহ্ মাওউদ (আ.) বলেন, ‘যার জন্য হজ্জ ফরজ হয়েছে আর এই হজ্জ পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই সে যেন হজ্জ করে। পুণ্যকাজ সুচারুরূপে আদায় কর আর পাপ ও নোংরামী অবজ্ঞাভরে পরিহার কর। মনে রাখবে, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তাকওয়াশূন্য কোন আমল গৃহীত হয় না। কেননা তাকওয়াই হল সকল পুণ্যের মূল। যে কাজে এই মূল নষ্ট হবে না তার কর্মও বৃথা যাবে না। (রূহানী খাযায়েন ১৯শ খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫)
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
৩. আপত্তি: মানুষ নফল হজ্জ করার জন্য যায়। কিন্তু এখানে (কাদিয়ানে) সওয়াব বেশি। গাফেল ও উদাসীন থাকলে ক্ষতি। কেননা, ধারাটা আসমানী আর হুকুমটা খোদায়ী। (রূহানী খাযায়েন ৫/৩৫২)
উত্তর: এখানে কি মক্কার ফরয হজ্জ পালন করতে ঘুণাক্ষরেও না করেছেন? কক্ষনো না। বরং ইস্তেখারা করার জন্য কাদিয়ানে এসে দোয়া করার জন্য বিশেষ একজন অতিথিকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। আর বলা হয়েছে, যাদের জন্য হজ্জ ফরয হয় নি তারাও অনেক সময় আদেশটির সম্মান রক্ষার্থে নফল হজ্জ করতে চলে যায়। আপনি যুগের ইমাম ও প্রত্যাদিষ্ট মহাপুরুষের আগমনবার্তা পেয়ে তার সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য কি একটু কষ্ট করে ইস্তেখারা করবেন না? কাদিয়ানে এসে আমার কাছে থেকে ইস্তেখারা করলে আমিও আপনার জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষভাবে দোয়া করতে পারতাম যেন আল্লাহ্ আপনাকে সত্য জানিয়ে দেন। অতএব এ বাক্যে প্রত্যাদিষ্ট মহাপুরুষকে মান্য করার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে, ফরয হজ্জকে খাটো করা হয় নি। হজ্জ প্রসঙ্গে হযরত মির্যা সাহেবের শিক্ষাটি আবার পড়ে নিন। হযরত মসীহ্ মাওউদ(আ.) বলেন, “যার জন্য হজ্জ ফরজ হয়েছে আর এই হজ্জ পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই সে যেন হজ্জ করে।” (রূহানী খাযায়েন ১৯শ খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫)
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
উত্তর: এখানে কি মক্কার ফরয হজ্জ পালন করতে ঘুণাক্ষরেও না করেছেন? কক্ষনো না। বরং ইস্তেখারা করার জন্য কাদিয়ানে এসে দোয়া করার জন্য বিশেষ একজন অতিথিকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। আর বলা হয়েছে, যাদের জন্য হজ্জ ফরয হয় নি তারাও অনেক সময় আদেশটির সম্মান রক্ষার্থে নফল হজ্জ করতে চলে যায়। আপনি যুগের ইমাম ও প্রত্যাদিষ্ট মহাপুরুষের আগমনবার্তা পেয়ে তার সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য কি একটু কষ্ট করে ইস্তেখারা করবেন না? কাদিয়ানে এসে আমার কাছে থেকে ইস্তেখারা করলে আমিও আপনার জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষভাবে দোয়া করতে পারতাম যেন আল্লাহ্ আপনাকে সত্য জানিয়ে দেন। অতএব এ বাক্যে প্রত্যাদিষ্ট মহাপুরুষকে মান্য করার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে, ফরয হজ্জকে খাটো করা হয় নি। হজ্জ প্রসঙ্গে হযরত মির্যা সাহেবের শিক্ষাটি আবার পড়ে নিন। হযরত মসীহ্ মাওউদ(আ.) বলেন, “যার জন্য হজ্জ ফরজ হয়েছে আর এই হজ্জ পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই সে যেন হজ্জ করে।” (রূহানী খাযায়েন ১৯শ খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫)
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
৬. আপত্তি : এই সরকারের (বৃটিশ সরকার) অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মুয়ায্যামা ও মদীনায়ও পাওয়া সম্ভব নয়। রোম সম্রাটের রাজধানী কুস্তুনতুনিয়ায় (কনস্টান্টিনোপল) এ নিরাপত্তা পাওয়া তো সম্ভবই নয়। (রূহানী খাযায়েন ১৫/১৫৬)
উত্তর: একেবারে সত্য কথা, মক্কা ও মদিনায় ব্যাখ্যাগত বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারী মুসলমানদের তখনও নিরাপত্তা ছিল না, আজও নিরাপত্তা নেই। হযরত মির্যা সাহেবের যুগে মক্কা ও মদীনা তুর্কী সুলতানের অধীনে ছিল। কেবল আহমদীদের কথা কেন বলবেন, সাংগঠনিকভাবে তবলীগি জামা’তের কোন প্রতিষ্ঠান আজও কি সেখানে আছে? সেখানে কি জামায়াতে ইসলামীর কোন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আছে? অথবা হেফাযতে ইসলামের কোন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আছে? ওয়াহাবী মতাবলম্বী ছাড়া কেউ কি সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে মত প্রচার বা প্রকাশ করতে পারে? বিষয়টি মক্কা মদিনাকে খাটো করার জন্য নয়, বরং মক্কা মদিনার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে ইসলামের খাঁটি শিক্ষা প্রচার ও প্রসারে ব্রিটিশ সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির অধীনে যে সুযোগ সুবিধা তিনি এবং মুসলমানরা লাভ করেছেন তার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেছেন।
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
উত্তর: একেবারে সত্য কথা, মক্কা ও মদিনায় ব্যাখ্যাগত বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারী মুসলমানদের তখনও নিরাপত্তা ছিল না, আজও নিরাপত্তা নেই। হযরত মির্যা সাহেবের যুগে মক্কা ও মদীনা তুর্কী সুলতানের অধীনে ছিল। কেবল আহমদীদের কথা কেন বলবেন, সাংগঠনিকভাবে তবলীগি জামা’তের কোন প্রতিষ্ঠান আজও কি সেখানে আছে? সেখানে কি জামায়াতে ইসলামীর কোন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আছে? অথবা হেফাযতে ইসলামের কোন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আছে? ওয়াহাবী মতাবলম্বী ছাড়া কেউ কি সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে মত প্রচার বা প্রকাশ করতে পারে? বিষয়টি মক্কা মদিনাকে খাটো করার জন্য নয়, বরং মক্কা মদিনার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে ইসলামের খাঁটি শিক্ষা প্রচার ও প্রসারে ব্রিটিশ সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির অধীনে যে সুযোগ সুবিধা তিনি এবং মুসলমানরা লাভ করেছেন তার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেছেন।
(পুস্তকঃ হে ‘আল্লামা’! - প্রকৃত ইসলামই আমাদের ঠিকানা)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।