একটি সনাতন নিয়ম
আমি বলিয়াছি যে, ইনশাল্লাহতায়ালা, আমার একটি পুরাতন অঙ্গীকার অনুযায়ী পাকিস্তান সরকারের তরফ হইতে প্রকাশিত, কষ্ট-কল্পিত শ্বেত-পত্র সম্বন্ধে আলোচনা করিব এবং ইহাতে উত্থাপিত প্রত্যেকটি আপত্তির উত্তর প্রদান করিব।
আল্লাহতায়ালা সুরা তওবার ৩০ হইতে ৩২ নম্বর আয়াতে বলেন যে, যাহারা আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করে তাহারা একটিও নুতন কথা উদ্ভাবন করিয়া বলিতে পারে না। বরং তাহারা যাহা কিছু বলে এসব কথা পূর্বেকার লোকদের নিকট হইতে নকল করা কথা। আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পূর্বেকার নবীগণের বিরুদ্ধে যে সকল আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছিল, ঐগুলিই এই যুগের লোকেরা তাঁহার (সাঃ) বিরুদ্ধে উত্থাপন করিয়া থাকে। ইহা একটি সনাতন নিয়ম যে প্রত্যেক যুগের নবীর বিরুদ্ধে যে সকল আপত্তি উত্থাপন করা হইয়া থাকে, ঐগুলি প্রকৃতপক্ষে পুরাতন আপত্তি এবং প্রতিবার ইহার পুনরাবৃত্তি হইয়া থাকে।
সর্বপ্রথম নবী সম্বন্ধে যে সকল আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছিল, উহার বিস্তারিত বিবরণ আমাদের জানা নাই। কিন্তু যাহা হউক ঐ সকল আপত্তিতো প্রথমবারই উত্থাপন করা হইয়াছিল। কিন্তু ইহার পর এই নিয়ম সদাসর্বদা চলিয়া আসিতেছে এবং ইহার প্রতিই কুরআন করীম ইঙ্গিত করিতেছে। সুরা আল-ফুরকানের ৫ম আয়াতে বলা হইয়াছে যে,
وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ هَـٰذَآ إِلَّآ إِفْكٌ ٱفْتَرَىٰهُ وَأَعَانَهُۥ عَلَيْهِ قَوْمٌ ءَاخَرُونَ ۖ فَقَدْ جَآءُو ظُلْمًۭا وَزُورًۭا
অর্থাৎ-এই সকল লোক বলে যে মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) একটি মিথ্যা উদ্ভাবন করিয়া লইয়াছে এবং এই ব্যাপারে তাঁহার পশ্চাতে অন্য কোন জাতি রহিয়াছে। তাহারা তাঁহাকে ( সাঃ ) সাহায্য করিতেছে। বস্তুতঃ আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের সাহায্যের ব্যাপারে যে জাতি সম্বন্ধে অভিযোগ আনয়ন করা হইয়াছে, তাহাদের সম্বন্ধে কুরআন করীমে অন্যত্র বলা হইয়াছে যে তাহাদিগকে ‘আজমী’ (অনারব) বলা হইত। ইহার উত্তরে বলা হইয়াছে যে যদি কোন ‘আজমী’ তাঁহাকে সাহায্য করিয়া থাকে এবং তাঁহাকে লিখিয়া দেয় এবং একজন আজমীর সাহায্যে তিনি নবুয়তের দাবী করিয়া থাকেন, তাহা হইলে কেন তাঁহার (সাঃ) কালামে কোন ‘আজমী ধরণ’ দৃষ্টিগোচর হয় না? ইহা কিরূপে সম্ভবপর যে সাহায্যকারী হইল ‘আজমী’, কিন্তু তাঁহার (সাঃ) কালামের ধরন ‘আজমী’ হইতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক?
আল্লাহতায়ালা সুরা তওবার ৩০ হইতে ৩২ নম্বর আয়াতে বলেন যে, যাহারা আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করে তাহারা একটিও নুতন কথা উদ্ভাবন করিয়া বলিতে পারে না। বরং তাহারা যাহা কিছু বলে এসব কথা পূর্বেকার লোকদের নিকট হইতে নকল করা কথা। আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পূর্বেকার নবীগণের বিরুদ্ধে যে সকল আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছিল, ঐগুলিই এই যুগের লোকেরা তাঁহার (সাঃ) বিরুদ্ধে উত্থাপন করিয়া থাকে। ইহা একটি সনাতন নিয়ম যে প্রত্যেক যুগের নবীর বিরুদ্ধে যে সকল আপত্তি উত্থাপন করা হইয়া থাকে, ঐগুলি প্রকৃতপক্ষে পুরাতন আপত্তি এবং প্রতিবার ইহার পুনরাবৃত্তি হইয়া থাকে।
সর্বপ্রথম নবী সম্বন্ধে যে সকল আপত্তি উত্থাপন করা হইয়াছিল, উহার বিস্তারিত বিবরণ আমাদের জানা নাই। কিন্তু যাহা হউক ঐ সকল আপত্তিতো প্রথমবারই উত্থাপন করা হইয়াছিল। কিন্তু ইহার পর এই নিয়ম সদাসর্বদা চলিয়া আসিতেছে এবং ইহার প্রতিই কুরআন করীম ইঙ্গিত করিতেছে। সুরা আল-ফুরকানের ৫ম আয়াতে বলা হইয়াছে যে,
وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ هَـٰذَآ إِلَّآ إِفْكٌ ٱفْتَرَىٰهُ وَأَعَانَهُۥ عَلَيْهِ قَوْمٌ ءَاخَرُونَ ۖ فَقَدْ جَآءُو ظُلْمًۭا وَزُورًۭا
অর্থাৎ-এই সকল লোক বলে যে মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) একটি মিথ্যা উদ্ভাবন করিয়া লইয়াছে এবং এই ব্যাপারে তাঁহার পশ্চাতে অন্য কোন জাতি রহিয়াছে। তাহারা তাঁহাকে ( সাঃ ) সাহায্য করিতেছে। বস্তুতঃ আঁ-হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের সাহায্যের ব্যাপারে যে জাতি সম্বন্ধে অভিযোগ আনয়ন করা হইয়াছে, তাহাদের সম্বন্ধে কুরআন করীমে অন্যত্র বলা হইয়াছে যে তাহাদিগকে ‘আজমী’ (অনারব) বলা হইত। ইহার উত্তরে বলা হইয়াছে যে যদি কোন ‘আজমী’ তাঁহাকে সাহায্য করিয়া থাকে এবং তাঁহাকে লিখিয়া দেয় এবং একজন আজমীর সাহায্যে তিনি নবুয়তের দাবী করিয়া থাকেন, তাহা হইলে কেন তাঁহার (সাঃ) কালামে কোন ‘আজমী ধরণ’ দৃষ্টিগোচর হয় না? ইহা কিরূপে সম্ভবপর যে সাহায্যকারী হইল ‘আজমী’, কিন্তু তাঁহার (সাঃ) কালামের ধরন ‘আজমী’ হইতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক?
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।