আপত্তির জবাব

কল্পিত শ্বেতপত্রের অদ্ভুত গবেষণা

উল্লিখিত যে গবেষণা এই ব্যাপারে তাহাদের পক্ষ হইতে প্রকাশ করা হইয়াছে, উহাতে এইরূপ একটি পুস্তকের উল্লেখ করা হইয়াছে, যাহা তাহাদের বর্ণনানুসারে (*The arrival of British Empire in India, cited by Ajame Israil, page 19) ইংল্যাণ্ডের কোন প্রেস হইতে প্রকাশিত হইয়াছে। ইহাতে না-কি এই কথা স্বীকার করা হইয়াছে যে ইংরেজরা নিজেদের পার্লামেন্টে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিল যে ভারতকে কাবু করার জন্য সেখানে একজন মিথ্যা নবী দাঁড় করাইয়া দিতে হইবে এবং তাহার নাম রাখিতে হইবে ‘যিল্লী নবী’ (প্রতিচ্ছায়া নবী)! “যিল্লী নবী” যেন ইংরেজদের চয়ন করা শব্দ! তাহারা বলিল যে আসল প্রতিকারতো এই যে, ভারতে একজন ‘যিল্লী নবী’ সৃষ্টি করিতে হইবে এবং তাহার মাধ্যমে সমগ্র মুসলমানকে কাবু করিয়া লইতে হইবে। বস্তুতঃ যখন আমি (ইহা খুবই পুরাতন ব্যাপার। ঐ সময় আমি ওয়াক্‌ফে জদীদে ছিলাম) এখানকার অর্থাৎ লণ্ডনের ইমাম সাহেবকে লিখিলাম যে যদিও ইহা সুস্পষ্টরূপে মিথ্যা কথা, তপাপি আপনি ঐ পুস্তক দেখুন, উহাতে এইরূপ কোন কথা রহিয়াছে কি না অথবা এমন হইতে পারে যে অন্য কোন ধরনের কথা থাকিতে পারে, যাহা বিকৃত করা হইয়াছে। তখন ইমাম সাহেব উত্তর দিলেন যে এই নামেরতো কোন পুস্তক নাই। আমি বলিলাম, পুনরায় অনুসন্ধান করুন এবং প্রেসের লোকদের জিজ্ঞাসা করুন। অতঃপর আমি তাঁহার নিকট হইতে এই উত্তর পাইলাম যে, তিনি ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান করিয়াছেন। কিন্তু পুস্তকতো দূরের কথা, এই নামের কোন প্রেসই নাই। অতঃপর এই ব্যাপারে বৃটিশ মিউজিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও বিভাগের অনুসন্ধান করা হইল। কিন্তু সকলেই সরাসরি উত্তর দিল যে, ‘আমরা কি রেফারেন্স দিব? এইরূপ কোন পুস্তকই নাই, না এই নামের কোন প্রেস রহিয়াছে, না এই নামের কোন পুস্তক রহিয়াছে এবং না কোথাও এই ধরনের কোন কথার উল্লেখ রহিয়াছে’। সুতরাং ইহারা হইলেন পাকিস্তান সরকারের ঐ সকল “আধুনিক গবেষক”, যাহাদের গবেষণা হইল এইরূপ! ইহাদের জন্যতো “গবেষক” শব্দটি ব্যবহার করিতে লজ্জা লাগে। যাহা হউক, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ হইতে ইহাদিগকে আধুনিক গবেষক নাম দিয়া বড় গর্বের সহিত জগতের নিকট উপস্থাপন করা হইয়াছে। শ্বেতপত্রের বিভিন্ন জায়গায় যে সকল ব্যঙ্গোক্তি ও কটু কথা বলা হইয়াছে, উহাদের সারমর্ম এই দাঁড়ায় যে, হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম ইংরেজদিগকে সীমাতিরিক্ত প্রশংসা করিয়াছেন এবং খোশামোদ করিয়াছেন। অতএব একটি দলিলতো এই হইল যে তিনি ইংরেজদের রোপিত বৃক্ষ এবং অন্য একটি দলিল এই যে কোন এক সময় আহমদীয়া জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নিজেই স্বীকার করিয়াছেন যে তিনি এবং আহমদীয়া জামাত ইংরেজদের রোপিত বৃক্ষ। ইহা লিখিত ও মুদ্রিত অবস্থায় মওজুদ রহিয়াছে। বস্তুতঃ এই দুইটি বিষয় সম্বন্ধে আমি কতিপয় বাস্তব সত্য উপস্থাপন করিতে চাই।

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।