আপত্তির জবাব

আহলে হাদীস ও দেওবন্দী আলেমদের দৃষ্টিতে ইংরেজ সরকার

আহলেহাদীস ও দেওবন্দী ফেরকা, যাহারা বর্তমানে আহমদীয়া জামাতের বিরুদ্ধাচরণে শীর্ষস্থানীয় এবং প্রকৃতপক্ষে ইহারাই আজকাল পাকিস্তান সরকারের ডান হাত, ইহাদের দলীয় আলেম ও বুজুর্গ শামসুল উলামা মাওলানা নজির আহমদ দেহলবী বলেন:

“সমগ্র ভারতবর্ষের কল্যাণ ইহার মধ্যেই নিহিত রহিয়াছে যে, কোন বহিরাগত শাসক এই দেশ শাসন করুক। তিনি না হিন্দ হইবেন, না মুসলমান হইবেন। তিনি ইউরোপের কোন বাদশাই হউন (ইংরেজই হইবেন এমন কোন কথা নয়। ইউরোপের যে কেহ হইলে চলিবে)। কিন্তু খোদার অশেষ মেহেরবানী যে, সময়ের প্রয়োজনে ইংরেজ বাদশা হইয়াছেন।” (বক্তৃতাগুচ্ছ, মাওলানা নজির আহমদ দেহলবী, পৃষ্ঠা ৪-৫, ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত)।
অতঃপর তিনি বলেন:
“সরকার যদি পরাক্রমশালী ও শক্তিধর হয় তাহা হইলে তাহারা তো বাপ-মায়ের চাইতেও অধিক বন্ধু হয়।” (বক্তৃতাগুচ্ছ, মাওলানা নজির আহমদ দেহলবী, পৃষ্ঠা ১৯, ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত)।
অতঃপর তিনি আরো বলেন:
“আমি নিজের জ্ঞানানুযায়ী এই সময়কার ভারতীয় শাসকবর্গের উপর দৃষ্টি দৌড়াইলাম এবং বার্মা, নেপাল এবং আফগানিস্তান, বরং পারস্য, মিশর এবং আরবের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলাম। কিন্তু আমি একজন ব্যক্তিকেও এইরূপ পাইলাম না, যাহাকে আমি ভারতবর্ষের বাদশাহ করিব (অর্থাৎ মনে মনে যদি আমি কাহাকেও বাদশাহ করিতাম তাহা হইলে কাহাকে করিতাম)। বাদশাহীর প্রার্থীগণের মধ্যে অন্য কোন দল এই সময় মওজুদ ছিল না যাহার বাদশাহ হওয়ার অধিকার সম্বন্ধে আমি ভাবিতে পারি। সুতরাং এই সময় আমার এই সিদ্ধান্ত ছিল যে ইংরেজরাই ভারতের বাদশাহ হওয়ার যোগ্য; ইহাদেরই বাদশাহ হওয়ার অধিকার রহিয়াছে। ইহাদেরই বাদশারূপে বহাল থাকা উচিত।” (বক্তৃতাগুচ্ছ, মাওলানা নজির আহমদ দেহলবী, পৃষ্ঠা ২৬)।

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।