ইংরেজদের অনুকম্পাপূর্ণ দৃষ্টি লাভের অভিলাষী
মাওলানা জাফর আলী খান এক সময় আহরারদের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন এবং পরে তাহাকে দেশ ও মাতৃভূমির এবং ইসলামের বিদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক বলিয়া আখ্যায়িত করা হইয়াছিল। তিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পর লিখেন:
“মুসলমান এক মুহূর্তের জন্যও এইরূপ সরকার সম্বন্ধে কুধারণা পোষণ করার চিন্তা করিতে পারে না (অর্থাৎ ইংরেজদের সম্বন্ধে)। যদি কোন পাকিস্তানি মুসলমান ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তাহা হইলে আমি বজ্রনিনাদে ঘোষণা করিতেছি যে, উক্ত মুসলমান মুসলমান নয়।” (জমিদার পত্রিকা, লাহোর, ১১ই নভেম্বর ১৯১১ খৃষ্টাব্দ)। ইহাই হইল ফতওয়া যে, বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী মুসলমান মুসলমানই থাকে না!
তিনি আরো বলেন:
“আমি মহামান্য সম্রাটের কপালের এক ফোটা ঘামের পরিবর্তে নিজ দেহের রক্ত প্রবাহিত করার জন্য প্রস্তুত রহিয়াছি এবং ভারতবর্ষের সমগ্র মুসলমানের এই একই অবস্থা।” (জমিদার পত্রিকা, লাহোর, ২৩শে নভেম্বর, ১৯১১ খৃষ্টাব্দ)।
এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই কি ইংরেজরা এই বৃক্ষ রোপন করিয়াছিল (অর্থাৎ হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামকে তাহাদের এজেন্টরূপে দাঁড় করাইয়াছিল—অনুবাদক)? অতঃপর তিনি কবিতাকারে বলেন:
هوا جب تذكره تنگ ايمپر و کا جلالت کو ھے کیا کیا ناز اس پر ده شاهنشاه هے وه بحر و بركا زه قسمت جو هو اك گوشه حاصل ھمیں اس کی نگاہ فیض اثر کا
(জমিদার পত্রিকা, লাহোর, ১৯শে অক্টোবর ১৯১১ খৃঃ)
অর্থাৎ: মহান সম্রাটের মহত্ব সম্বন্ধে যখন আলোচনা হইল তখন শ্রদ্ধাভরে আমার মস্তক নত হইয়া গেল যে, তিনি জল-স্থলের শাহানশাহ্। আমরা কত সৌভাগ্যশালী হইতাম যদি আমরা তাঁর দৃষ্টির একটি কোণ লাভ করিতে পারিতাম। (অনুবাদক)।
“মুসলমান এক মুহূর্তের জন্যও এইরূপ সরকার সম্বন্ধে কুধারণা পোষণ করার চিন্তা করিতে পারে না (অর্থাৎ ইংরেজদের সম্বন্ধে)। যদি কোন পাকিস্তানি মুসলমান ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তাহা হইলে আমি বজ্রনিনাদে ঘোষণা করিতেছি যে, উক্ত মুসলমান মুসলমান নয়।” (জমিদার পত্রিকা, লাহোর, ১১ই নভেম্বর ১৯১১ খৃষ্টাব্দ)। ইহাই হইল ফতওয়া যে, বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী মুসলমান মুসলমানই থাকে না!
তিনি আরো বলেন:
“আমি মহামান্য সম্রাটের কপালের এক ফোটা ঘামের পরিবর্তে নিজ দেহের রক্ত প্রবাহিত করার জন্য প্রস্তুত রহিয়াছি এবং ভারতবর্ষের সমগ্র মুসলমানের এই একই অবস্থা।” (জমিদার পত্রিকা, লাহোর, ২৩শে নভেম্বর, ১৯১১ খৃষ্টাব্দ)।
এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই কি ইংরেজরা এই বৃক্ষ রোপন করিয়াছিল (অর্থাৎ হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালামকে তাহাদের এজেন্টরূপে দাঁড় করাইয়াছিল—অনুবাদক)? অতঃপর তিনি কবিতাকারে বলেন:
هوا جب تذكره تنگ ايمپر و کا جلالت کو ھے کیا کیا ناز اس پر ده شاهنشاه هے وه بحر و بركا زه قسمت جو هو اك گوشه حاصل ھمیں اس کی نگاہ فیض اثر کا
(জমিদার পত্রিকা, লাহোর, ১৯শে অক্টোবর ১৯১১ খৃঃ)
অর্থাৎ: মহান সম্রাটের মহত্ব সম্বন্ধে যখন আলোচনা হইল তখন শ্রদ্ধাভরে আমার মস্তক নত হইয়া গেল যে, তিনি জল-স্থলের শাহানশাহ্। আমরা কত সৌভাগ্যশালী হইতাম যদি আমরা তাঁর দৃষ্টির একটি কোণ লাভ করিতে পারিতাম। (অনুবাদক)।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।