ইংরেজরা মসীহ মওউদ আঃ-এর খান্দানকে কি দিয়াছে?
এই খান্দানের সহিত ইংরেজদের কি সম্পর্ক ছিল তাহাও শুনুন। হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাম এই খান্দানের সেবার কথা বলিয়া এবং ইংরেজ সরকারের তরফ হইতে তাহাদের পক্ষে যে সকল সার্টিফিকেট জারী হইয়াছিল, উহাদের দরুন তিনি এই খান্দানকে স্বরোপিত বৃক্ষ আখ্যা দিয়াছিলেন। কিন্তু কিরূপে তাহারা 'স্বরোপিত বৃক্ষ' হইয়াছিল এবং তাহাদের কি এহসান ছিল? এতদসত্ত্বেও হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাম এই স্থলে ইংরেজদের কোন এহসানের কথা উল্লেখ করেন নাই। তিনি কেবলমাত্র এই খান্দানের সেবার কথা উল্লেখ করিয়াছেন। ঐ এহসান কি ছিল? ঐ এহসান ইহা ব্যতীত আর কিছু ছিল না যে, ইংরেজরা শিখ স্বৈর শাসন হইতে তাহাদিগকে মুক্তি দান করিয়াছিল। শিখেরা এই খান্দানের উপর অবিরাম আক্রমণ করিয়া তাহাদিগকে দুর্বল করিয়া দিয়াছিল এবং কোন এক সময় তাহাদিগকে নির্বাসিত করিয়াছিল। বস্তুতঃই এই খান্দান শিখদের দরুন বৎসরের পর বৎসর মাতৃভূমি হারা অবস্থায় ছিল। অতঃপর ইংরেজ শাসনামলে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় এই খান্দান ফিরিয়া আসিয়া কাদিয়ানে পুনর্বাসিত হইল। সুতরাং ইহা ঐ এহসান যাহার দরুন হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম তাহাদিগকে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ বলিয়া আখ্যায়িত করিতেছেন।
কিন্তু তাহাদের এইরূপ কিছু খেদমত বা সেবামূলক কাজ ছিল, যাহার দরুন তাহাদের পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল—এই ব্যাপারে নাউজুবিল্লাহ ইহাই বলিতে হয় যে, ইহার মধ্যে কোন সত্যতা নাই। যাহা হউক ইংরেজরা এই খান্দানকে যে পুরস্কার দিয়াছেন, উহার কথাও শুনুন।
“পাঞ্জাব চীফস” অর্থাৎ পাঞ্জাবের প্রধানদের সম্বন্ধে ইংরেজ সরকারের পক্ষ হইতে প্রকাশিত একটি প্রসিদ্ধ পুস্তক রহিয়াছে। ইহা একটি ঐতিহাসিক সনদ। এই পুস্তকে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালামের খান্দানদের সহিত ইংরেজদের আচরণ সম্বন্ধে লিপিবদ্ধ আছে যে:
“পাঞ্জাব একত্রীকরণের সময় এই খান্দানের সমগ্র জায়গার বাজেয়াপ্ত করিয়া নেয়া হইয়াছিল। যে দুই-তিনটি গ্রামের উপর মালিকানা সত্ত্ব ছিল, ঐগুলি ব্যতীত আর কিছুই ছাড়িয়া দেওয়া হয় নাই এবং মির্যা গোলাম মোর্তুজা (হযরত মসীহ মওউদ আঃ-এর পিতা) ও তাহার ভ্রাতৃগণের জন্য সাতশত টাকার একটি পেনসন ধার্য্য করা হইয়াছিল।” (পাঞ্জাব চীফস) কিন্তু পরবর্তীতে এই পেনসন ধীরে ধীরে কমাইতে কমাইতে বিলুপ্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছিল।
ইহা ছিল ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ এবং ইংরেজদের সহিত এই বৃক্ষের সম্পর্ক। অবশ্য শিখদের সহিত যুদ্ধকালীন সময়ে তাহাদিগকে দুর্বল করিয়া দেওয়া হইয়াছিল এবং যে সকল খানদানকে নিজ নিজ মাতৃভূমি হই বিতাড়িত করা হইয়াছিল তাহাদিগকে নিজ নিজ মাতৃভূমিতে পুনর্বাসিত করা ব্যতীত হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালামের খান্দানের উপর ইংরেজদের কোন এহসান ছিল না। হ্যাঁ, ইহাও ঠিক যে, ইংরেজ সরকার সত্তরটি গ্রামের সম্পত্তিও এই খান্দানের নিকট হইতে ছিনাইয়া লইয়াছিল। ইহার দরুন এই খান্দানের বুজুর্গগণ দীর্ঘকালব্যাপী মোকদ্দমা চালাইয়া ছিলেন এবং যাহা কিছু অবশিষ্ট ছিল, উহাও তাহারা এই পথে নষ্ট করিয়া দিলেন। হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম অবিরাম স্বীয় পিতার মনোযোগ আকর্ষণ করিয়াছিলেন যে, আপনি এই ব্যাপারটি (অর্থাৎ মামলা মোকদ্দমা) পরিত্যাগ করুন, খোদার প্রতি মন দিন, এই সরকারের নিকট হইতে কিছুই আশা করিবেন না এবং এই বলিয়া সতর্ক করিয়াছিলেন যে, আপনার নিকট যাহা কিছু আছে তাহাও আপনি নষ্ট করিয়া দিবেন। অতএব আপনি মামলা মোকদ্দমা ছাড়িয়া দিন। কিন্তু তাহার পিতার সম্পত্তি হাত ছাড়া হইয়া যাওয়ার এইরূপ দুশ্চিন্তা ছিল যে তিনি তাহার (আঃ) কথা শুনেন নাই, এবং ইহার ফল এই দাঁড়াইয়াছে যে অবশিষ্ট সকল সম্পত্তি এবং পূর্বের সঞ্চিত সকল আয়ও তিনি এই মামলা মোকদ্দমায় হারাইয়া ফেলেন। কিন্তু ইংরেজরা একটি গ্রামও তাহাকে ফিরাইয়া দেয় নাই।
কিন্তু তাহাদের এইরূপ কিছু খেদমত বা সেবামূলক কাজ ছিল, যাহার দরুন তাহাদের পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল—এই ব্যাপারে নাউজুবিল্লাহ ইহাই বলিতে হয় যে, ইহার মধ্যে কোন সত্যতা নাই। যাহা হউক ইংরেজরা এই খান্দানকে যে পুরস্কার দিয়াছেন, উহার কথাও শুনুন।
“পাঞ্জাব চীফস” অর্থাৎ পাঞ্জাবের প্রধানদের সম্বন্ধে ইংরেজ সরকারের পক্ষ হইতে প্রকাশিত একটি প্রসিদ্ধ পুস্তক রহিয়াছে। ইহা একটি ঐতিহাসিক সনদ। এই পুস্তকে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালামের খান্দানদের সহিত ইংরেজদের আচরণ সম্বন্ধে লিপিবদ্ধ আছে যে:
“পাঞ্জাব একত্রীকরণের সময় এই খান্দানের সমগ্র জায়গার বাজেয়াপ্ত করিয়া নেয়া হইয়াছিল। যে দুই-তিনটি গ্রামের উপর মালিকানা সত্ত্ব ছিল, ঐগুলি ব্যতীত আর কিছুই ছাড়িয়া দেওয়া হয় নাই এবং মির্যা গোলাম মোর্তুজা (হযরত মসীহ মওউদ আঃ-এর পিতা) ও তাহার ভ্রাতৃগণের জন্য সাতশত টাকার একটি পেনসন ধার্য্য করা হইয়াছিল।” (পাঞ্জাব চীফস) কিন্তু পরবর্তীতে এই পেনসন ধীরে ধীরে কমাইতে কমাইতে বিলুপ্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছিল।
ইহা ছিল ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ এবং ইংরেজদের সহিত এই বৃক্ষের সম্পর্ক। অবশ্য শিখদের সহিত যুদ্ধকালীন সময়ে তাহাদিগকে দুর্বল করিয়া দেওয়া হইয়াছিল এবং যে সকল খানদানকে নিজ নিজ মাতৃভূমি হই বিতাড়িত করা হইয়াছিল তাহাদিগকে নিজ নিজ মাতৃভূমিতে পুনর্বাসিত করা ব্যতীত হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালামের খান্দানের উপর ইংরেজদের কোন এহসান ছিল না। হ্যাঁ, ইহাও ঠিক যে, ইংরেজ সরকার সত্তরটি গ্রামের সম্পত্তিও এই খান্দানের নিকট হইতে ছিনাইয়া লইয়াছিল। ইহার দরুন এই খান্দানের বুজুর্গগণ দীর্ঘকালব্যাপী মোকদ্দমা চালাইয়া ছিলেন এবং যাহা কিছু অবশিষ্ট ছিল, উহাও তাহারা এই পথে নষ্ট করিয়া দিলেন। হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম অবিরাম স্বীয় পিতার মনোযোগ আকর্ষণ করিয়াছিলেন যে, আপনি এই ব্যাপারটি (অর্থাৎ মামলা মোকদ্দমা) পরিত্যাগ করুন, খোদার প্রতি মন দিন, এই সরকারের নিকট হইতে কিছুই আশা করিবেন না এবং এই বলিয়া সতর্ক করিয়াছিলেন যে, আপনার নিকট যাহা কিছু আছে তাহাও আপনি নষ্ট করিয়া দিবেন। অতএব আপনি মামলা মোকদ্দমা ছাড়িয়া দিন। কিন্তু তাহার পিতার সম্পত্তি হাত ছাড়া হইয়া যাওয়ার এইরূপ দুশ্চিন্তা ছিল যে তিনি তাহার (আঃ) কথা শুনেন নাই, এবং ইহার ফল এই দাঁড়াইয়াছে যে অবশিষ্ট সকল সম্পত্তি এবং পূর্বের সঞ্চিত সকল আয়ও তিনি এই মামলা মোকদ্দমায় হারাইয়া ফেলেন। কিন্তু ইংরেজরা একটি গ্রামও তাহাকে ফিরাইয়া দেয় নাই।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।