আপত্তির জবাব

ওহাবীরা ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ

প্রকৃত অবস্থাতো কখনো গোপন থাকে না। আল্লাহতায়ালা স্বয়ং বিরুদ্ধবাদীদের মুখ দ্বারাই তাহাদের নিজেদের ফিরকা সম্বন্ধে এই শব্দগুলি (অর্থাৎ ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ) ব্যবহার করাইয়া দিয়াছেন। পক্ষান্তরে হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালামের বর্ণনায় তো জামায়াতের কোন উল্লেখই নাই। কিন্তু তাহারা একে অন্যের ফিরকা সম্বন্ধে এই বচনটি (অর্থাৎ ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ—অনুবাদক) ব্যবহার করিতে শুরু করিয়াছে।
বস্তুতঃ খোদার তরফ হইতে অদ্ভুত এক প্রতিশোধ এই যে, সাপ্তাহিক “চাটান” (লাহোর) ১৯৬৩ সালের ১৫ই অক্টোবর সংখ্যায় বেরলবীদের সম্বন্ধে লিখেছে:
“ইংরেজদের 'উলিল আমর' (যাহারা আদেশ দান করার অধিকারী) হওয়ার ব্যাপারে ইহারা ঘোষণা করিয়াছে এবং ফতওয়া দিয়াছে যে, ভারতবর্ষ ‘দারুল ইসলাম’ (শান্তির আবাসস্থল)। ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ কিছু দিন পরে একটি ধর্মীয় আন্দোলনে পরিণত হইল।”
এখন বলুন, কোন সন্দেহের অবকাশ কি রহিয়াছে যে ইহা ব্যক্তিগত কথা হইতেছে, না একটি জামায়াতের কথা হইতেছে? ইহার উত্তর শুনুন, যাহা সাপ্তাহিক “তুফান” এর সম্পাদক সাহেব লিখিয়াছেন:
“ইংরেজরা খুবই সতর্কতা ও চালাকীর সহিত নজদীয়াত আন্দোলনের বৃক্ষ (অর্থাৎ আহলে হাদীস, যাহাকে ওহাবী আন্দোলন বা নজদীয়াত আন্দোলনও বলা হয়) ভারতবর্ষেও রোপন করিয়াছে এবং অতঃপর ইহাকে নিজেদের হাত দ্বারাই উচ্চ শিখরে আরোহন করাইয়াছে।” (তুফান, ৭ই নভেম্বর, ১৯৬২ ইং)।

অতএব, ইহাতে স্বরোপিত বৃক্ষ বলিয়া আরও অধিক প্রতীয়মান হইল।

আপনার উত্তর যোগ করুন

আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।