ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর নিজস্ব ভাষা থাকে
দোষারোপ সম্বন্ধে ইহাই বলিতে হয় যে, ইহা তো কোন দলিল নয়। যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে যখন দোষারোপ করা হয় তখন আমরা ইহাকে দলিল মনে করি না, তেমনিভাবে ইহারা যখন একে অন্যাকে "স্বরোপিত বৃক্ষ” বলে তাহাও আমাদের নিকট অর্থহীন এবং আমরা উহাকে প্রমাণিত সত্য বলিয়া মনে করি না। কিন্তু ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর নিজস্ব একটি ভাষা থাকে। যদি উহা কিছু বলে তবে তাহা নিশ্চয়ই শুনিতে হইবে।
দেওবন্দী ফিরকার নদওয়াতুল উলামা (আলেমগণের সংস্থা) সম্বন্ধে ঐতিহাসিক ঘটনা হইতে প্রমাণিত হয় যে, ইংরেজরা তাহাদিগকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল। তাহারাই ইহাদিগকে বৃত্তি প্রদান করিতে থাকত। ইহার দ্বারা এই সকল মৌলবী প্রতিপালিত হইতেছিল। ইহারাই আজ ইংরেজদের দুশমন বলিয়া কথিত, বরং প্রথম সারির মুজাহিদ বলিয়া কখিত! এই নদওয়াতুল উলামার ভিত্তিও একজন ইংরেজই স্থাপন করিয়াছিল।
বস্তুত “আন্-নদওয়া” তাহাদের নিজেদের পত্রিকা—ইহা কোন গয়ের নদবীর পত্রিকা নহে—ইহাতে লিপিবদ্ধ আছে:
“২৮শে নভেম্বর, ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার (অর্থাৎ নদওয়াতুল উলামার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের) ভিত্তি প্রস্তর রাখেন সংযুক্ত রাজ্যের (ইউ-পি-এর) গভর্নর বাহাদুর হিজ অনার লেফটেন্যান্ট স্যার জন স্কট হাউস, কে, সি, এস, আই, ই।” (আন্-নদওয়া, ডিসেম্বর, ১৯০৮ খৃঃ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)।
উপরোক্ত কথাটির পরবর্তী অংশ ভাবিয়া চিন্তিয়া দেখবার দাবী রাখে। মনে হয় যে, তাহাদের হৃদয়ে এই কাঁটার ঘা বিধিল যে, মুসলমানরা যখন উপরোক্ত কথাগুলি পড়িবে তখন তাহারা বলিবে যে, যে নদওয়ার ভিত্তি ইংরেজ গভর্নর স্থাপন করিয়াছে, উহার দ্বারা ভবিষ্যতে কি উপকার সাধিত হইবে এবং ইহার উদ্দেশ্যই বা কি?
বস্তুতঃ এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাহারা একটি অত্যন্ত ভয়ংকর কথা বলিয়াছে এবং কথা বলিতে তাহারা আদৌ লজ্জাবোধ করে নাই। এই কথাটি সকল মুসলমানের হৃদয়ে ভয়ানক একটি জখমের সৃষ্টি করিয়াছে।
একজন ইংরেজ কর্তৃক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করানোর সমর্থনে এবং ইহার কারণ দর্শাইতে গিয়া বলা হইয়াছে:
“আলেমগণ বলেন যে, (মদীনার) 'মসজিদে নববী'-এর মিম্বারও একজন খৃষ্টান মহিলা তৈয়ার করিয়াছিল।” (আন্-নদওয়া, ডিসেম্বর, ১৯০৮ খৃঃ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)।
যেহেতু, নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক, তাহাদের মতে মসজিদুন্ নববীর মিম্বারও একজন খৃষ্টান মহিলা তৈয়ার করিয়াছিল, সেহেতু 'আন্-নদওয়া' এর নির্মাণ যদি খৃষ্টান করিয়া থাকে, তাহা হইলে ইহাতে কি আসে যায়? কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাহাদিগকে ইহাও স্বীকার করিতে হইয়াছে যে:
“যাহা হউক, বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গণ একজন ইংরেজের অনুগ্রহের ফলশ্রুতি।” (আন্-নদওয়া, ডিসেম্বর ১৯০৮ খৃঃ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)।
দেওবন্দী ফিরকার নদওয়াতুল উলামা (আলেমগণের সংস্থা) সম্বন্ধে ঐতিহাসিক ঘটনা হইতে প্রমাণিত হয় যে, ইংরেজরা তাহাদিগকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল। তাহারাই ইহাদিগকে বৃত্তি প্রদান করিতে থাকত। ইহার দ্বারা এই সকল মৌলবী প্রতিপালিত হইতেছিল। ইহারাই আজ ইংরেজদের দুশমন বলিয়া কথিত, বরং প্রথম সারির মুজাহিদ বলিয়া কখিত! এই নদওয়াতুল উলামার ভিত্তিও একজন ইংরেজই স্থাপন করিয়াছিল।
বস্তুত “আন্-নদওয়া” তাহাদের নিজেদের পত্রিকা—ইহা কোন গয়ের নদবীর পত্রিকা নহে—ইহাতে লিপিবদ্ধ আছে:
“২৮শে নভেম্বর, ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার (অর্থাৎ নদওয়াতুল উলামার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের) ভিত্তি প্রস্তর রাখেন সংযুক্ত রাজ্যের (ইউ-পি-এর) গভর্নর বাহাদুর হিজ অনার লেফটেন্যান্ট স্যার জন স্কট হাউস, কে, সি, এস, আই, ই।” (আন্-নদওয়া, ডিসেম্বর, ১৯০৮ খৃঃ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)।
উপরোক্ত কথাটির পরবর্তী অংশ ভাবিয়া চিন্তিয়া দেখবার দাবী রাখে। মনে হয় যে, তাহাদের হৃদয়ে এই কাঁটার ঘা বিধিল যে, মুসলমানরা যখন উপরোক্ত কথাগুলি পড়িবে তখন তাহারা বলিবে যে, যে নদওয়ার ভিত্তি ইংরেজ গভর্নর স্থাপন করিয়াছে, উহার দ্বারা ভবিষ্যতে কি উপকার সাধিত হইবে এবং ইহার উদ্দেশ্যই বা কি?
বস্তুতঃ এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাহারা একটি অত্যন্ত ভয়ংকর কথা বলিয়াছে এবং কথা বলিতে তাহারা আদৌ লজ্জাবোধ করে নাই। এই কথাটি সকল মুসলমানের হৃদয়ে ভয়ানক একটি জখমের সৃষ্টি করিয়াছে।
একজন ইংরেজ কর্তৃক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করানোর সমর্থনে এবং ইহার কারণ দর্শাইতে গিয়া বলা হইয়াছে:
“আলেমগণ বলেন যে, (মদীনার) 'মসজিদে নববী'-এর মিম্বারও একজন খৃষ্টান মহিলা তৈয়ার করিয়াছিল।” (আন্-নদওয়া, ডিসেম্বর, ১৯০৮ খৃঃ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)।
যেহেতু, নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক, তাহাদের মতে মসজিদুন্ নববীর মিম্বারও একজন খৃষ্টান মহিলা তৈয়ার করিয়াছিল, সেহেতু 'আন্-নদওয়া' এর নির্মাণ যদি খৃষ্টান করিয়া থাকে, তাহা হইলে ইহাতে কি আসে যায়? কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাহাদিগকে ইহাও স্বীকার করিতে হইয়াছে যে:
“যাহা হউক, বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গণ একজন ইংরেজের অনুগ্রহের ফলশ্রুতি।” (আন্-নদওয়া, ডিসেম্বর ১৯০৮ খৃঃ, ৪র্থ পৃষ্ঠা)।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।