স্বরোপিত বৃক্ষ নিজেই কথা বলে
দেখুন, ‘স্বরোপিত বৃক্ষ’ কিভাবে বলিতেছে যে, “আমিই হইলাম স্বরোপিত বৃক্ষ।” “নদওয়াতুল উলামা” মুসলমানদের শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তথা হইতে ঐ সকল মৌলবী বাহির হইতেছে, যাহাদিগকে আহমদীদের বিরুদ্ধাচরণের জন্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। ঐ স্থানই হইল ইহাদের প্রকৃত কেন্দ্র। বর্তমানে পাকিস্তানে যে ইসলামের সীলমোহর লাগানো হইতেছে, ইহাতে প্রকৃতপক্ষে এই নজদী (ওহাবী ফিরকাকে) উপরে উঠানো হইতেছে এবং ইহারাই হইল ঐ দল, যাহারা নদওয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক রাখে। ইহাদিগকে আহলে হাদীসও বলা হইয়া থাকে। অর্থাৎ ইহারা দুইটি পৃথক ফিরকা। কিন্তু মৌলিকভাবে এবং কার্যতঃ ইহারা এক দল! ১৯০৮ সালের জুলাই মাসের ৫ ম খণ্ডে "আল্-নদওয়ায়" স্পষ্টভাবে বলা হইয়াছে যে, ইহাদের উদ্দেশ্য কি? বলা হইয়াছে:
“নদওয়া যদিও রাজনীতির সহিত সম্পূর্ণ রূপে সম্পর্কহীন, তথাপি যেহেতু ইহার প্রকৃত উদ্দেশ্য হইল জ্ঞান-দীপ্ত আলেম সৃষ্টি করা, সেহাতেই এই ধরনের আলেমদের একটি জরুরী কর্তব্য ইহাও যে, তাহারা সরকারী প্রশাসনের বরকত ও অনুগ্রহরাজী সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞাত থাকিবে এবং দেশে সরকারের বিশ্বস্ততার চিন্তাধারাকে প্রসারিত করিবে।”
ইহাকেই ইংরেজীতে বলা হয় (cat is out of the bag) অর্থাৎ বিড়াল খলিয়া হইতে বাহির হইয়া পড়িল। সুতরাং ইহাই তাহাদের অবস্থা। তাহারা কিরূপ মিথ্যা ও ধোকাবাজির সহিত হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম ও আহমদীয়া জামায়াতের বিরুদ্ধে আক্রমণ করিতেছে। কিন্তু তাহারা নিজেদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা গোপন করিতেছে। ইহা তাহারা স্বয়ং স্বীকার করিয়াছে এবং ইহার উদ্দেশ্য সম্বন্ধেও বলিয়াছে। কে তাহাদের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছে? এই সকল প্রমাণ ঐতিহাসিকভাবে বিদ্যমান আছে। ইহাতে কোন আহমদীর হাত নাই এবং নাতো ইহাতে কোন সর্বসম্মত মতৈক্য স্থাপন করার প্রয়োজন আছে। ইহা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যে, নজদীয়ত আন্দোলন অবিরতভাবে ইংরেজদের সমর্থন লাভ করিয়াছে এবং তাহাদের এই চুক্তিপত্র ইতিহাসের পুস্তকে মুদ্রিতাবস্থায় বিদ্যমান রহিয়াছে। ইহার আসল লেখাগুলি এখানে লাগুনের লাইব্রেরীগুলিতে মওজুদ রহিয়াছে এবং এইগুলি হইতে আপনারা দেখিয়া নিতে পারেন যে, ইংরেজরা রীতিমত সন্ধি করিয়া আহলে-হাদিস আন্দোলন অর্থাৎ ওহাবী আন্দোলন এবং বর্তমান সৌদি সরকারের প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে পারস্পরিক একটি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করিয়া দিয়াছে এবং জেহাদের একটি মুভমেন্ট (আন্দোলন) চালাইয়াছে। এই জেহাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে নহে। তাহারাতো ইহাদের নেত। ছিল এবং ইহাদিগকে বাৎসরিক পাঁচ হাজার পাউণ্ড সাহায্যও দিল। তাহা হইলে এই জেহাদের মুভমেন্ট কাহার বিরুদ্ধে চালানো হইয়াছে? এই জেহাদ ছিল তুরস্কের মুসলমান সরকারের বিরুদ্ধে। এইভাবে নজদীয়ত আন্দোলন ইংরেজদের সমর্থনে সেখানেও অর্থাৎ (সৌদি আরবেও কার্যকরী করা হইল এবং অতঃপর ভারতবর্ষেও ইহার চারা রোপিত হইল। আজ এই আন্দোলনই সমগ্র পাকিস্তানকে কব্জা করার স্বপ্ন দেখিতেছে। এই আন্দোলনই কখনো বেরলবীদিগকে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ বলিয়া আখ্যায়িত করে, কখনো আহমদীদিগকে আখ্যায়িত করে এবং কখনো শিয়াদের পিছনে লাগিয়া যায়। বর্তমানে পাশ্চাত্য শক্তিগুলির একটি ষড়যন্ত্রের অধীনেই পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ইহাকে পাকিস্তানে চিরকালের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হইতেছে। সাধারণ সরল মুসলমান বুঝিতেছে না যে, তাহাদের সহিত কি করা হইতেছে! ঐ সকল কড়িই আজ এক সূত্রে গ্রথিত হইয়া যাইতেছে। যাহারা গতকাল ইংরেজদের বৃক্ষ ছিল, তাহারা আজও ইংরেজদের বৃক্ষ এবং গতকাল ইংরেজদের সহিত যাহাদের সম্পর্ক ছিল না, আজও তাহাদের কোন সম্পর্ক নাই।
“নদওয়া যদিও রাজনীতির সহিত সম্পূর্ণ রূপে সম্পর্কহীন, তথাপি যেহেতু ইহার প্রকৃত উদ্দেশ্য হইল জ্ঞান-দীপ্ত আলেম সৃষ্টি করা, সেহাতেই এই ধরনের আলেমদের একটি জরুরী কর্তব্য ইহাও যে, তাহারা সরকারী প্রশাসনের বরকত ও অনুগ্রহরাজী সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞাত থাকিবে এবং দেশে সরকারের বিশ্বস্ততার চিন্তাধারাকে প্রসারিত করিবে।”
ইহাকেই ইংরেজীতে বলা হয় (cat is out of the bag) অর্থাৎ বিড়াল খলিয়া হইতে বাহির হইয়া পড়িল। সুতরাং ইহাই তাহাদের অবস্থা। তাহারা কিরূপ মিথ্যা ও ধোকাবাজির সহিত হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম ও আহমদীয়া জামায়াতের বিরুদ্ধে আক্রমণ করিতেছে। কিন্তু তাহারা নিজেদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা গোপন করিতেছে। ইহা তাহারা স্বয়ং স্বীকার করিয়াছে এবং ইহার উদ্দেশ্য সম্বন্ধেও বলিয়াছে। কে তাহাদের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছে? এই সকল প্রমাণ ঐতিহাসিকভাবে বিদ্যমান আছে। ইহাতে কোন আহমদীর হাত নাই এবং নাতো ইহাতে কোন সর্বসম্মত মতৈক্য স্থাপন করার প্রয়োজন আছে। ইহা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যে, নজদীয়ত আন্দোলন অবিরতভাবে ইংরেজদের সমর্থন লাভ করিয়াছে এবং তাহাদের এই চুক্তিপত্র ইতিহাসের পুস্তকে মুদ্রিতাবস্থায় বিদ্যমান রহিয়াছে। ইহার আসল লেখাগুলি এখানে লাগুনের লাইব্রেরীগুলিতে মওজুদ রহিয়াছে এবং এইগুলি হইতে আপনারা দেখিয়া নিতে পারেন যে, ইংরেজরা রীতিমত সন্ধি করিয়া আহলে-হাদিস আন্দোলন অর্থাৎ ওহাবী আন্দোলন এবং বর্তমান সৌদি সরকারের প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে পারস্পরিক একটি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করিয়া দিয়াছে এবং জেহাদের একটি মুভমেন্ট (আন্দোলন) চালাইয়াছে। এই জেহাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে নহে। তাহারাতো ইহাদের নেত। ছিল এবং ইহাদিগকে বাৎসরিক পাঁচ হাজার পাউণ্ড সাহায্যও দিল। তাহা হইলে এই জেহাদের মুভমেন্ট কাহার বিরুদ্ধে চালানো হইয়াছে? এই জেহাদ ছিল তুরস্কের মুসলমান সরকারের বিরুদ্ধে। এইভাবে নজদীয়ত আন্দোলন ইংরেজদের সমর্থনে সেখানেও অর্থাৎ (সৌদি আরবেও কার্যকরী করা হইল এবং অতঃপর ভারতবর্ষেও ইহার চারা রোপিত হইল। আজ এই আন্দোলনই সমগ্র পাকিস্তানকে কব্জা করার স্বপ্ন দেখিতেছে। এই আন্দোলনই কখনো বেরলবীদিগকে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ বলিয়া আখ্যায়িত করে, কখনো আহমদীদিগকে আখ্যায়িত করে এবং কখনো শিয়াদের পিছনে লাগিয়া যায়। বর্তমানে পাশ্চাত্য শক্তিগুলির একটি ষড়যন্ত্রের অধীনেই পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ইহাকে পাকিস্তানে চিরকালের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হইতেছে। সাধারণ সরল মুসলমান বুঝিতেছে না যে, তাহাদের সহিত কি করা হইতেছে! ঐ সকল কড়িই আজ এক সূত্রে গ্রথিত হইয়া যাইতেছে। যাহারা গতকাল ইংরেজদের বৃক্ষ ছিল, তাহারা আজও ইংরেজদের বৃক্ষ এবং গতকাল ইংরেজদের সহিত যাহাদের সম্পর্ক ছিল না, আজও তাহাদের কোন সম্পর্ক নাই।
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।