আহমদীয়াত খোদার হস্তে রোপিত বৃক্ষ
এখন ইহা দেখা প্রয়োজন যে, একথা কি সঠিক যে, হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম প্রকৃতপক্ষেই নিজের খানদানকে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ বলিয়াছিলেন এবং আহমদীয়াতকে স্বরোপিত বৃক্ষ বলেন নাই? তাহা হইলে ইহার প্রমাণ কি? কেননা কেহ কেহ বলে যে, স্বরোপিত বৃক্ষের রেফারেন্স বিদ্যমান রহিয়াছে। আমরা বলি, ইহা তাঁর (আঃ) খানদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু তাহারা মনে করে যে, তাঁর খানদান, আহমদীয়া জামাত এবং তিনি (আঃ) নিজে ইহার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। সুতরাং এই জন্য কোন একটি সুনিশ্চিত প্রমাণ থাকা উচিত যে, আহমদীয়া জামাত কাহার হাতের লাগানো বৃক্ষ? হযরত মসীহ মওউদ আলাইহেস সালাতু ওয়াস সালাম এই বিষয়ে কি বলেন তাহা আমি আপনাদিগকে পড়িয়া শুনাইতেছি। তিনি বলেন:-
“পৃথিবী আমাকে জানে না। কিন্তু তিনি আমাকে জানেন, যিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন। ইহা এই সকল লোকের ভ্রান্তি এবং দুর্ভাগ্য যে, তাহারা আমার ধ্বংস কামনা করে। আমি ঐ বৃক্ষ, যাহাকে প্রকৃত মালিক স্বহস্তে রোপন করিয়াছেন। ...... হে মানবমণ্ডলী! তোমরা নিশ্চিতভাবে জানিয়া রাখ যে, আমার সহিত ঐ হাত রহিয়াছে, যাহা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার সহিত বিশ্বস্ততা রক্ষা করিবে। যদি তোমাদের পুরুষেরা, তোমাদের স্ত্রীলোকেরা, তোমাদের যুবকেরা, তোমাদের বুদ্ধেরা, তোমাদের বয়োঃকনিষ্ঠেরা এবং তোমাদের বয়োঃজ্যেষ্ঠরা সকলে মিলিয়া আমার ধ্বংসের জন্য দোয়া কর, এমনকি সিজদা করিতে করিতে যদি তোমাদের নাক গলিয়া যায় এবং হাত অবশ হইয়া যায় তথাপি খোদা কখনো তোমাদের দোয়া শুনিবেন না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি নিজের কাজকে পূর্ণ করিবেন ততক্ষণ তিনি ক্ষান্ত হইবেন না। ... ... অতএব, নিজেদের প্রাণের উপর যুলুম করিও না। মিথ্যাবাদীদের চেহারা এক রকম এবং সত্যবাদীদের চেহারা অন্য রকম হইয়া থাকে। খোদা কোন কাজকে ফয়সালা ব্যতীত পরিত্যাগ করেন না; যেভাবে খোদা পূর্বে মামুরগণ ও মিথ্যাবাদীদের মধ্যে পরিণামে একদিন ফয়সালা করিয়া দিয়াছেন, সেভাবে তিনি বর্তমানেও ফয়সালা করিবেন। খোদার মামুরগণের আগমনের জন্যও একটি সময় হইয়া থাকে এবং অতঃপর তাহাদের প্রত্যাবর্তনের জন্যও একটি সময় হইয়া থাকে। অতএব নিশ্চিতভাবে জানিয়া রাখ যে, আমি না অসময়ে আগমন করিয়াছি এবং না অসময়ে প্রত্যাবর্তন করিব। খোদার সহিত যুদ্ধ করিও না। ইহা তোমাদের কাজ নয় যে, আমাকে ধ্বংস করিয়া দিবে।” (তোহফায়ে গোলড়াবিয়া, পৃষ্ঠা–১২, ১৩)
“পৃথিবী আমাকে জানে না। কিন্তু তিনি আমাকে জানেন, যিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন। ইহা এই সকল লোকের ভ্রান্তি এবং দুর্ভাগ্য যে, তাহারা আমার ধ্বংস কামনা করে। আমি ঐ বৃক্ষ, যাহাকে প্রকৃত মালিক স্বহস্তে রোপন করিয়াছেন। ...... হে মানবমণ্ডলী! তোমরা নিশ্চিতভাবে জানিয়া রাখ যে, আমার সহিত ঐ হাত রহিয়াছে, যাহা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার সহিত বিশ্বস্ততা রক্ষা করিবে। যদি তোমাদের পুরুষেরা, তোমাদের স্ত্রীলোকেরা, তোমাদের যুবকেরা, তোমাদের বুদ্ধেরা, তোমাদের বয়োঃকনিষ্ঠেরা এবং তোমাদের বয়োঃজ্যেষ্ঠরা সকলে মিলিয়া আমার ধ্বংসের জন্য দোয়া কর, এমনকি সিজদা করিতে করিতে যদি তোমাদের নাক গলিয়া যায় এবং হাত অবশ হইয়া যায় তথাপি খোদা কখনো তোমাদের দোয়া শুনিবেন না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি নিজের কাজকে পূর্ণ করিবেন ততক্ষণ তিনি ক্ষান্ত হইবেন না। ... ... অতএব, নিজেদের প্রাণের উপর যুলুম করিও না। মিথ্যাবাদীদের চেহারা এক রকম এবং সত্যবাদীদের চেহারা অন্য রকম হইয়া থাকে। খোদা কোন কাজকে ফয়সালা ব্যতীত পরিত্যাগ করেন না; যেভাবে খোদা পূর্বে মামুরগণ ও মিথ্যাবাদীদের মধ্যে পরিণামে একদিন ফয়সালা করিয়া দিয়াছেন, সেভাবে তিনি বর্তমানেও ফয়সালা করিবেন। খোদার মামুরগণের আগমনের জন্যও একটি সময় হইয়া থাকে এবং অতঃপর তাহাদের প্রত্যাবর্তনের জন্যও একটি সময় হইয়া থাকে। অতএব নিশ্চিতভাবে জানিয়া রাখ যে, আমি না অসময়ে আগমন করিয়াছি এবং না অসময়ে প্রত্যাবর্তন করিব। খোদার সহিত যুদ্ধ করিও না। ইহা তোমাদের কাজ নয় যে, আমাকে ধ্বংস করিয়া দিবে।” (তোহফায়ে গোলড়াবিয়া, পৃষ্ঠা–১২, ১৩)
আপনার উত্তর যোগ করুন
আপনার উত্তরটি একজন এডমিন রিভিউ করে অনুমোদন করবেন।